শীতকালই তো হাঁসের মাংস খাওয়ার সময়। শীতকাল শেষ হওয়ার আগেই চেখে দেখতেই হয় নারকেল দিয়ে হাঁসের মাংস ডিশটি। দেরি না করে শিখে ফেলুন গরম গরম হাঁসের মাংস রান্নার কৌশল।ভাত,পোলাও, খিচুড়ি বা পরোটা, রুটি, চিতই পিঠা, ছিটা রুটি যেভাবে মন চায় পরিবেশন করুন।
[picture]
উপকরণ
- একটা হাঁস, এক কেজি বা বেশি (চমড়াসহ)
- পেঁয়াজ বাটা হাফ কাপের বেশী
- পেঁয়াজ কুচি ১ টি
- দারুচিনি এক ইঞ্চি সাইজের ৩/৪ পিস
- এলাচ ৪টি
- লবঙ্গ ৪ট
- আদাবাটা দুই টেবিল চামচ
- রসুনবাটা দেড় টেবিল চামচ
- লাল মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ (ঝাল বুঝে)
- হলুদ গুঁড়া এক চা চামচের কিছু কম
- পোস্ত বাটা আধা চা চামচ
- জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ
- ধনের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
- পরিমাণমতো লবণ
- লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ-৭/ ৮টি
- চিনি ১ চা-চামচ
- কোড়ানো নারকেল-২কাপ
- পরিমাণমতো তেল (বা হাফ কাপের কম)
- গরম পানি পরিমাণমতো
প্রণালী
– চামড়াসহ হাঁসের মাংস টুকরা করে ধুয়ে পানিতে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ঝাঁঝরিতে পানি ছেঁকে রাখুন।
– কোড়ানো নারকেল বেটে প্রথমে আধা কাপ পানি দিয়ে গুলে ঘন দুধ ছেঁকে নিন। ছাঁকা নারকেল আরও দুই কাপ পানি দিয়ে গুলে দুধটুকু ছেঁকে আলাদা রাখুন।
– আধা কাপ পেঁয়াজ কুচি বেটে নিন। ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি তেলে ভেজে নিয়ে বাকি পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস বাদে সব মসলা, মাংস ও পাতলা নারকেলের দুধ দিয়ে কষিয়ে নিন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। প্রয়োজনবোধে আরও পানি মিশিয়ে সেদ্ধ করা যেতে পারে।
– এরপর বাকি তেলে গরম মসলা ফোঁড়ন দিয়ে বাকি পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সেদ্ধ মাংস, চিনি ও লেবুর রস দিয়ে নেড়ে কষান।
– তেল ওপরে এলে নারকেলের ঘন দুধ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে অল্প আঁচে দমে রাখুন তেল ওপরে না আসা পর্যন্ত। একটু পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।
ছবি – টেস্টি ডট কম ডট এইউ
রেসিপি – সামিয়া’জ হোম কিচেন