দৈনন্দিন কাজগুলো ছাড়াও বহু ধরণের কাজ আমাদের পেছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আর এসব কাজের ভিড়ে অনেকেই আমরা নিজেকে একটু গোছালো দেখানোটাকে অসম্ভব মনে করি। ব্যস্ততায় নিজের দিকে নজর দেয়ার জন্যে তো অনেক সময় প্রয়োজন। কিন্তু অতো সময় কই!!
প্রকৃতপক্ষে বেশী সময়ও কিন্তু লাগে না নিজেকে ফিটফাট এবং সুন্দর দেখাতে। কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিলে ১০ মিনিটও কিন্তু লাগে না নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। কীভাবে? চলুন জেনে নিই, ব্যস্ত দিনের ইজি সল্যুশন।
(১) সময় যতটাই ব্যস্ততায় কাটুক না কেন, স্কিনের প্রতি খেয়াল না দিলে কিন্তু চলবে না। স্কিন ক্লিন করে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার কিন্তু লাগাতেই হবে। মুখে একটু ব্রাইট এবং ফ্রেশ লুক আনতে মেকাপের ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে ফাউন্ডেশন এর দিকে একদম যাবেন না। ব্যবহার করুন বিবি ক্রিম অথবা সি সি ক্রিম। কারণ এগুলো ভারী হয় না, হাত দিয়েই সুন্দরভাবে ব্লেন্ড করে নেয়া যায় এবং সময় খুবই কম লাগে। তবে দিনের বেলায় চেষ্টা করুন যে প্রোডাক্ট ই ব্যবহার করেন না কেন, তা যেন এসপিএফ-যুক্ত হয়। তাহলে আর আলাদাভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।
(২) ফেস এ একটা সানকিসড লুক আনতে ফেস এর চারদিকে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটা চাইলে স্কিপও করতে পারেন। তবে ফেস এ একটু কালার যোগ করতে গালে ব্যবহার করুন হালকা রং এর ব্লাশ এবং একটা হেলদি গ্লো এর জন্যে ফেস এর হাই পয়েন্টগুলোতে ব্যবহার করুন হাইলাইটার। এগুলো আপনার লুকে ভিন্নতা এনে দেবে। তবে কিছু গ্লোয়ি/হালকা শিমারী ধরণের ব্লাশ রয়েছে যা গালে, ব্যবহারে একই সাথে ব্লাশ এবং হাইলাইটারের কাজ দিবে। এটা ব্যবহারে আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে এবং সময়ও বাচবে।
[picture]
(৩) এর পরের স্টেপ হলো আপনার আইব্রো। আইব্রো আমাদের ফেসকে ফ্রেম করে। তাই আইব্রো আঁকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চটজলদি আইব্রো আঁকতে আইব্রো পেন্সিল বেছে নিন এবং ন্যাচারালভাবে ছোট ছোট স্ট্রোকের মাধ্যমে আইব্রো এঁকে নিন।
(৪) চোখের মেকাপ করুন আর না করুন আইল্যাশগুলো বাদ দেয়া যাবে না। আইল্যাশে কয়েক কোট মাশকারা লাগিয়ে নিলেই চোখের সাজ অনেকটাই কমপ্লিট হয়ে যাবে।
(৫) ঠোটের জন্যে বেছে নিতে পারেন লিকুইড লিপস্টিকগুলো। যেহেতু আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন, তাই বার বার লিপস্টিক ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। আর লিকুইড লিপস্টিকগুলো লং লাস্টিং হয় বিধায় কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি চাইলে টিন্টেড লিপ বাম দিয়েও কাজ চালাতে পারবেন।
(৬) এবারে চলে আসি আউটফিট’র ব্যাপারে। ব্যস্ততার দিনে এমন কিছু পরুন, যা আপনার জন্যে কমফোর্টেবল হবে। তবে কালাফুল ধরণের পোশাক পরার চেষ্টা করবেন। এতে নিজের মধ্যে একটা ফ্রেশনেস কাজ করে।
(৭) চুলের ক্ষেত্রে বলবো একটা উঁচু পনিটেল আপনার জন্যে পারফেক্ট হবে। তবে চাইলে আপনি বেনী করে নিতে পারেন অথবা উঁচু করে বান বেধে নিতে পারেন। যেটাতে আপনি কমফোর্ট ফিল করেন।
এই তো জেনে নিলেন, ব্যস্ততার দিনে কীভাবে চটজলদি সুন্দরভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করা যায়। আশা করছি এ থেকে একটু হলেও আইডিয়া পাবেন।
মডেল – সানজিদা তন্বী
লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ