আপনার নখ যদি হয়ে থাকে সাইজে ছোট, মোটা বা অস্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর নখ দেখে যদি আপনার মনে হয় যে এরকম নখই আপনি চান এবং পার্লারে গিয়ে এক্রেলিক নখের পেছনে একগাদা টাকা না ঢালতে চান তাহলে এই আর্টিকেল আপনাকে সাহায্য করবে জানতে কিভাবে সুন্দর নখ পাওয়া যেতে পারে। এই টিপস গুলো আপনারই জন্য দেয়া –
০১. প্রথমেই হাতের নখ কামড়ানো বন্ধ করতে হবে। সেটা যদি কন্ট্রোল না করা যায় তাহলে বাজারে কিছু তিক্ত স্বাদের নেইল পলিশ আছে সেগুলো লাগালে ২য় বার ভুলেও আঙ্গুল মুখে দিবেন না সিওর। কিন্তু বাংলাদেশে এটা সহজলভ্য না হবার কারনে অনলাইন শপিং এর দ্বারস্থ হতে পারেন। (Mavala Switzerland Mavala Stop Cuticle Care Products টি বেশ ভাল মানের এবং অ্যামাজন.কম থেকে অর্ডার করে আনাতে পারেন)
০২. শক্ত নখের জন্য প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধের বিকল্প কিছুই নেই।
০৩. সপ্তাহে ১ বার নখ ফাইল করুন। যাদের নখ দুর্বল তারা মেটাল ফাইলার ইউজ না করে পেপার ফাইলার ইউজ করলে ভাল।
০৪. নখের জিনের উপর নখ ভাঙ্গাটা নির্ভর করে তাই নখ ফাইল করার সময় একই ডিরেকশনে নখ ফাইল করুন, বিভিন্ন ডিরেকশনে ফাইল করলে নখ ফাঁটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
০৫. নখের যত্ন নেবার আগে জেনে নিন আপনার নখের ধরণ। সাধারণত ৫ ধরনের নখ দেখা যায়- শুষ্ক, ভঙ্গুর, ক্ষতিগ্রস্থ, নরম এবং সাধারণ। আপনি যদি সাধারণ নখের অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে অভিনন্দন। এছাড়া যাদের নখ শুষ্ক তারা অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন দিনে ২ বার। আপনার যদি ভঙ্গুর নখ হয় তাহলে আপনার নখের দরকার ময়েশ্চার। ভ্যাসলিন বা ময়েশ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্থ নখ আসলে ডাক্তারের দিকেই আঙ্গুল তুলে আর নরম নখ মানে আপনার নখে ময়েশ্চার খুব বেশি এবং এর প্রধান শত্রু হলো পানি তাই পানি ধরার আগে গ্লাভস পরিধান করা ভাল।
০৬. পানি পান করুন পর্যাপ্ত তাতে আপনার নখের সাথে সাথে শরীরও ভাল থাকবে।
০৭. নখের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিউটিকল একটি বড় ভূমিকা পালন করে তাই তার দিকেও একটু নজর দিন। কিউটিকল ভাল রাখার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে ভ্যাসলিন বা অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। সম্ভব হলে কিউটিকল অয়েল ইউজ করুন।
০৮. লেমন জুস বা দুধের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য নখ ডুবিয়ে রাখতে পারেন তাতে নখে ক্যালসিয়াম বাড়বে যদিও এগুলো খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। হালকা গরম দুধ নখ সাদা করতেও সাহায্য করে।
০৯. নেইল পলিশ লাগানোর আগে বেইজকোট বা নখ শক্ত করে এমন বেইজকোট লাগানো জরুরী। এটা নখ বাড়তেও সাহায্য করে। প্রতিবার নেইল পলিশ উঠানোর সময় নখকে ময়েশ্চারাইজ করুন তাতে রিমুভার ব্যবহারের ধকল কিছুটা সামলানো যাবে।
১০. ভিটামিন ই শুধু চুলের জন্যই ভাল না, এটি নখের বৃদ্ধির জন্যও ভালো তাই নখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ই যুক্ত খাবার অথবা ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।
নখের যত্নে সবচেয়ে বড় কথা হলো শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো একেও ভালবাসুন। নখের আর কি হবে এই ভাবনা না করে এর যত্ন নিন, কখনো কখনো নখও আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। তাই মনোযোগী হন নখের প্রতিও।
লিখেছেনঃ ফোয়ারা ফেরদৌস
ছবিঃ ইন্টারনেট