চুলের যত্নের জন্য যুগযুগ ধরে বিভিন্ন রকম তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল এ ধরণের তেলগুলো ছাড়াও আরো নানা রকম তেল চুলের জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি। এখন কথা হচ্ছে, চুলের যত্নে যে তেলটি ধৈর্য নিয়ে ম্যাসাজ করছেন সেটি আসলে কতটা খাঁটি? তেলের অবিশুদ্ধতা কিন্তু তেলের সঠিকভাবে কাজ না করার অন্যতম কারণ। ফলে দেখা যায় চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা, মাঝখান থেকে ভেঙে পড়া, রুক্ষ শুষ্ক, দুর্বল হয়ে যাওয়া এ জাতীয় অনেক সমস্যা কমে যাওয়ার পরিবর্তে উল্টো আরো বেড়ে যায়।
মার্কেট থেকে যখন আমরা একটা তেল কিনি তখন দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা হয় তেলটার বিজ্ঞাপন দেখি, নাহলে তার আকর্ষণীয় প্যাকেজিং দেখি এবং তেলের উপাদানগুলো পড়ে ও দেখি না। ফলে দেখা যায় আমরা আসলে ঠিক মতো জানিই না যে আমরা আসলে চুলে কি লাগাচ্ছি। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের মোহতে আমরা এতটাই বিমোহিত হয়ে পড়ি যে টাকা দিয়ে আসলে চুলের যত্ন করার উপাদান না কিনে লং রানে চুলের ক্ষতি করে বসছি সেটা বুঝতে বুঝতে আমাদের অনেক দেরী হয়ে যায় এবং দেখা যায় কি এরপরে আমরা আবার ও মার্কেটে নতুন কোন আকর্ষণীয় ম্যাজিকাল প্রোডাক্টের সন্ধানে চলে যাই। এ কিন্তু একটা চক্র, যেটা সহজে ভাঙতে চায় না। তাই চুলের যত্নে যে তেলটি ব্যবহার করবেন তার বিস্তারিত জেনে নিয়ে তারপর তা কিনুন। আপনাদের এই কাজটি আরো সহজ করে দিতে শপ সাজগোজ নিয়ে এসেছে সকল পিওর তেল যেগুলো চুলের যত্নে ভীষণ উপকারী। চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু তেল যেগুলো শপ সাজগোজ এ এখন পাবেন…
অর্গানিক পিওর তেল বলতে আমরা সেই তেলকে বুঝি যেটার raw ম্যাটেরিয়াল প্রস্তুত করার সময় থেকে পুরো প্রক্রিয়াতেই কোন প্রকার রাসায়নিক জিনিসপত্রের ব্যবহার করা হয় না। তেল প্রস্তুতের পুরো প্রক্রিয়াটাই অর্গানিক থাকে। টেকনিক্যালি বলতে গেলে সে হিসেবে বাজারে যে তেলগুলো পাওয়া যায় তার খুব কমই এমন পিওর। তবুও এই সংমিশ্রণে যতটা কম ভেজাল আর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, সেই তেলগুলো তুলনামূলকভাবে আপনার জন্য ভালো। স্কিন ক্যাফের তেলগুলো অর্গানিক ও পিওর হিসেবে বাজারে বেশ সমাদৃত। এই তেলগুলোও শপ সাজগোজ এ পাবেন। তাও বেশ ভালো ডিস্কাউন্টেই। চলুন দেখে নেই তেলগুলো…
তেলের বিশুদ্ধতা কভাবে নির্ণয় করা যায়, তার অনেক রকম পদ্ধতি আছে। যেমন নারকেল তেলের ক্ষেত্রে যে তেলে নারকেল তেলের পরিমাণ যত বেশি সেই তেল তত বেশি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় জমে যাবে। এছাড়াও আরো কিছু পদ্ধতি আছে, সেসব নিয়ে বিস্তারিত জানাতে আরেকদিন আসবো আপনাদের কাছে।
তেল আপনার মাথার স্ক্যাল্পের ভিতরে প্রবেশ করে চুলের গোঁড়াকে ভেতর থেকে মজবুত করে, স্ক্যাল্পকে ডিপলি নারিশ করে, হেয়ার ফলিকলগুলোকে স্টিমুলেট করে ফলে নতুন চুল গজায় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। তবে এটা তখনই সম্ভব হয় যখন তেলটা বিশুদ্ধ থাকে। তাই চুলের যত্নে তেলের বিশুদ্ধতা কিন্তু খুবই জরুরী। না হলে চুলের উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে বসতে হবে। আর জানেন তো নিশ্চয়ই, মুখের সৌন্দর্য দাঁতে, আর চেহারার সৌন্দর্য চুলে!
So lets return to nature, because that is the only way you can stay gorgeous without any harm.
ছবি – পিন্টারেস্ট ডট কম