শুনে অবাক হচ্ছেন? অলিভ হোয়াইটেনিং লোশন দিবে ফাউন্ডেশনের কাজ? কিভাবে? পড়েই দেখুন!
“কি সুন্দর ছবিগুলো! কোথা থেকে সেজেছো? ও আচ্ছা নিজে নিজেই সেজেছো? বাহ কি সুন্দর মেকআপ করো তুমি! হাতে একটু ফাউন্ডেশন দিতে পারলে না? হাতদুটো তো কালো দেখাচ্ছে!”
খুব পরিচিত আর বিব্রতকর ঘটনা কিন্তু এটা, তাই না? মুখ সাদা আর হাত-পা কালচে! মেকআপ যারা করেনও না, তাদেরও অনেকেরই এ সমস্যা আছে। যাদের স্কিন ড্রাই তাদের তো সারাবছরই লোশন ব্যবহার করতে হয়। আর যাদের স্কিন নরমাল টু অয়েলি, তাদেরও কিন্তু ওয়েদার চেইঞ্জের সময়টায় লোশন ইউজ করতেই হয়। না হলে হাত, পা আর পুরো শরীরেই রুক্ষ, শুষ্ক আর নিষ্প্রাণ ভাব চলে আসে। কিন্তু লোশন দিলে কালচে দেখায় এ অভিযোগ অনেকেরই। এইসব সমস্যা দূর করতে অর্থাৎ ময়েশ্চারাইজিং-এর পাশাপাশি স্কিনকে একদম ইনস্ট্যান্ট ব্রাইটনেস দিতে আজকে আমার ভীষণ পছন্দের একটা লোশন নিয়ে কথা বলবো। সেটা হচ্ছে অলিভ অয়েল হোয়াইটেনিং বডি লোশন। যেটা ময়েশ্চারাইজিং-এর পাশাপাশি আমাকে একদম ইনস্ট্যান্ট ব্রাইটনেস দেয়!
অলিভ হোয়াইটেনিং লোশন রিভিউ
প্যাকেজিং
উজ্জ্বল সবুজ রঙের বোতলে আসে লোশনটি। লোশন বের করার জন্য বোতলের মুখে পাম্প টিউব লাগানো। ফলে পাম্প টিউবের সাহায্যে ঠিক যতটুকু লোশন দরকার ততটুকুই বের করে ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ ২৫০ মি.লি।
টেক্সচার আর কনসিসটেন্সি
ঘন সাদা রঙের লোশনটি খুব সহজেই স্কিনে ব্লেন্ড করা যায়। আর ব্লেন্ড হওয়া মাত্রই আপনার স্কিনকে সুন্দর একটা ব্রাইটনেস দিয়ে দেয়। “লোশন ব্যবহার করলে হাত পা কালচে লাগে“- এই অভিযোগ কিন্তু প্রায় সবারই। কিন্তু এই লোশনটার ক্ষেত্রে কিন্তু এটা একেবারেই হয় না! কি অবাক হচ্ছেন? নিচের ছবিতে দেখুন!
গন্ধ
এটার স্মেল নিয়ে আমি পার্টিকুলারভাবে অবশ্যই লিখবো। কারণ এই লোশনটা অসম্ভব ভালো লাগার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে এর স্মেল। ভীষণ ইয়াম্মি ভ্যানিলা আর চকোলেট মিক্সড হালকা মিষ্টি একটা সুগন্ধ এর, যা ব্যবহার করার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকে।
যা যা ভালো লেগেছে
১) এর হালকা সহজে ব্লেন্ড হবার মতো টেক্সচার।
২) এর ভীষণ মিষ্টি ভ্যানিলা আর চকোলেট মিক্সড সুগন্ধ। (মাঝে মাঝে মনে হয় একটু খেয়েই ফেলি!)
৩) ইনস্ট্যান্ট ব্রাইটনেস। আমি আমার হাত আর পায়ের অ্যাপিয়ারেন্স নিয়ে ভীষণ পার্টিকুলার। সেজেগুজে কোথাও গিয়ে নোসিলার মতো (এক জায়গায় সাদা, এক জায়গা চকোলেট কালার) নিজেকে প্রেজেন্ট করা আমার ভীষণ অপছন্দ। আগে যেটা হত আমাকে ফাউন্ডেশন ইউজ করতে হত। এখন যেটা একেবারেই করতে হয় না। ফলে আমার ফাউন্ডেশন ব্যবহার তো কমেছেই, খরচও সে কারণে অনেক অনেক বেশি কমে এসেছে।
৪) আমার হাত এবং পায়ের সানট্যান ও অনেকাংশেই দূর করেছে এটা।
৫) এটা ব্যবহার শুরু করার পর থেকে কেন যেন আমার মনে হয়েছে আমার স্ট্রেচ মার্কস বেশ অনেকটা কমেছে। অনেকটা হালকা লাগে এখন দেখতে।
৬) আলাদা করে আর হাতে বা পায়ে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার প্রয়োজন নেই। একটুখানি লোশন অ্যাপ্লাই করলেই আপনাকে ইন্সট্যান্ট ব্রাইটনেস দিবে।
৭) এটি ভীষণ ময়েশ্চারাইজিং। আমি সারাদিন অফিসে এসিতে থাকি। আমি সকালে বাসা থেকে অ্যাপ্লাই করে বের হই। সারাদিনে আর রি-অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন পড়ে না।
যা যা ভালো লাগেনি
ভালো না লাগার মতো কিছুই পাই নি। একটাই সমস্যা, যে এটা সব জায়গায় অ্যাভেইলেবল না।
প্রাপ্তিস্থান ও রেটিং
আমি শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনি। যমুনা ফিউচার পার্ক আর সীমান্ত স্কয়ারে সাজগোজের দুটো শোরুমেই অ্যাভেইলেবল। তবে কেউ চাইলেই ঘরে বসে তাদের অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন।
আমার জন্য এর রেটিং ১০/১০। বাড়িয়ে বলছি না। একবার কিনলে বার বার কিনতে মন চাওয়ার মতোই একটা প্রোডাক্ট। যারা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন না, বা করতে জানেনও না তাদের জন্য একদম পারফেক্ট একটা প্রোডাক্ট এটা।
ময়েশ্চারাইজিং আর ইনস্ট্যান্ট ব্রাইটনেসের পারফেক্ট কম্বিনেশন এই অলিভ হোয়াইটেনিং লোশন। আমি এ পর্যন্ত দুইটা বোতল ব্যবহার করে শেষ করেছি। এখন যেটা ব্যবহার করছি ঐটা শেষ করে আবার কিনবো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আরেকদিন নতুন কোন পছন্দের প্রোডাক্টের রিভিউ নিয়ে হাজির হবো। Stay Beautiful, Stay Gorgeous!
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ