বর ও কনে উভয়ের বিয়ের পোশাক থাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বর-কনে দুজনেই চায় এদিনে তাদের সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। কারণ তাদের ঘিরেই তো সব আয়োজন। তাই বিয়ের পোশাক হওয়া চাই রুচিসম্মত ও ভিন্ন।
কনের পোশাক
সময়ের সাথে সাথে কনের বিয়ের পোশাকেও পরিবর্তন এসেছে। ঐতিহ্যবাহী শাড়ি থেকে এখন লেহেঙ্গা, গাউনও বেছে নেওয়া হচ্ছে বিয়ের পোশাক হিসেবে।
শাড়ির ক্ষেত্রে লাল, সোনালি, কমলা, গোলাপি, মেরুন এই রঙগুলোর উপস্থিতি বেশী দেখা যায়। তবে বৌ-ভাতে এগুলোর বেগুনি, মেজেন্টা, আকাশি এই রঙগুলোর প্রাধান্য বেশী দেখা যায়।বিয়ের শাড়ির ক্ষেত্রে বেনারসী, জর্জেট, সিল্ক, ভেলভেট, কাতান থাকে পছন্দের তালিকায়। বৌ-ভাতের ক্ষেত্রে একটু ট্রেন্ডি হালকা শাড়ির প্রাধান্য থাকে। পার্টি শাড়ি, সিল্ক, বুটিকের শাড়ি নেওয়া যেতে পারে।
বর্তমানে শাড়ির পাশাপাশি বিয়ের পোশাক হিসেবে লেহেঙ্গাও রয়েছে কনেদের পছন্দের তালিকায়। মটকা সিল্কের লেহেঙ্গা শাড়ি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। এতে লেহেঙ্গার সঙ্গে থাকে লম্বা হাতার ডিজাইনার ব্লাউজ। এছাড়া জর্জেট, নেটের লেহেঙ্গার ও চাহিদা রয়েছে।
কোথায় পাব?
মিরপুর বেনারসি পল্লীতে রয়েছে বিয়ের শাড়ির বিশাল সমাহার। ৫ হাজার থেকে ২ লাখ পর্যন্ত দামের শাড়ি পাবেন।
এছাড়া সকলের অতি পরিচিত নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক, ধানমন্ডি হকার্সে ও পাবেন ৫ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের শাড়ি। বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলী স্টার, টুইন টাওয়ার, মৌচাক, এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুলের মার্কেট গুলোতেও পেয়ে যাবেন বিয়ের শাড়ি। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ যেমন- আড়ং, লুবনান, বাংলার মেলা, ইনফিনিটি, রং, অঞ্জন’স, ক্রে-ক্র্যাফট প্রভৃতে শোরুম গুলোতেও পেয়ে যাবেন বিয়ের শাড়ি।
এই জায়গাগুলোতে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের লেহেঙ্গাটিও। এছাড়া অনলাইন শপিং সাইট আজোকের ডিল, স্টাইল ওয়ার্ল্ড, ড্রেস হেভেন ইত্যাদি পেজেও লেহেঙ্গা দেখতে পারেন।
দরদাম
বেনারসির দাম পড়বে ৬ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত। জর্জেটের দাম পড়বে ৫ হাজার থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত। ভেলভেটের দাম পড়বে ২০-৫০ হাজার টাকা। পার্টি শাড়ির দাম পড়বে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত।
ব্রাইডাল লেহেঙ্গার দাম পড়বে ১৫ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ পর্যন্ত।
বরের পোশাক
বিয়েতে কনের সাজ পোশাকের চেয়ে বরের সাজ পোশাকের গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়। বরের বিয়ের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শেরওয়ানি, পাজামা, ওড়না, পাগড়ি, নাগরা। বিয়ের পোশাক হিসেবে শেরওয়ানির জুড়ি নেই। লাল, গোল্ডেন, মেরুন এই রঙের শেরওয়ানির বেশী প্রাধান্য থাকলেও বর্তমানে এগুলোর পাশাপাশি বেগুনি, সবুজ, নীল, কফি, আকাশি এই রঙের শেরওয়ানির চাহিদা বাড়ছে। এসব শেরওয়ানিতে থাকে নানান জরি,পাথর, সুতার কাজ। এর সঙ্গে রয়েছে পাগড়ি। কাতান, জামদানি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় পাগড়ি। পাগড়ির মাথায় পালক ও পাথর বসিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করা হয়। শেরওয়ানির সাথে মিলিয়ে কেনা হয় পাগড়ি। এর সাথে মিলিয়ে কেনা হয় ওড়না। রেশমি কাপড়ের উপর পাথর, জরির কাজ থাকে ওড়নায়। বরের নাগড়া জুতায় ও ব্যবহার করা হয় জামদানি, কাতান কাপড়ের উপর নানা পুঁতি আর পাথরের কাজ।
কোথায় পাব?
বসুন্ধরা সিটি,যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলী স্টার, টুইন টাওয়ার, মৌচাক, এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুলের মার্কেট গুলোতে পাওয়া যাবে শেরওয়ানি, পাগড়ি, ওড়না, নাগড়া। এছাড়া বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ যেমন- আড়ং, লুবনান, বাংলার মেলা, ইনফিনিটি, রং, অঞ্জন’স, ক্রে-ক্র্যাফট প্রভৃতে শোরুম গুলোতেও পেয়ে যাবেন বরের বিয়ের পোশাক।
দরদাম
শেরওয়ানির দাম পড়বে ১২ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পাগড়ি ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। ওড়না পাবেন ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায়। আর নাগড়ার দাম পড়বে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা।
ছবি – সাটারস্টক
লিখেছেন – আফসানা প্রীতি