যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে!-কথাটা সত্যি বটে। সত্যি হলেই কি তা সহজ হতে হবে? যত সহজ রান্নাকে মনে করা হয় তত সহজ কি তা আদৌ? এতই যদি সহজ হত তবে সকলেই রন্ধন শিল্পী হতো রান্না না জেনেই। বাস্তবে তা কোনদিন হয় বলুন? কতো কতো পদের সুস্বাদু রান্না! কিছু না হয় মায়ের কাছে শেখেন, সেগুলোই কি শিখে বসে থাকেন?
উহু, নতুন নতুন মজার মজার রান্না শিখতে আজ কিনছেন রান্নার বই তো কাল দেখছেন টিভিতে রান্নার অনুষ্ঠান। বাহ! এতেই কত সহজে রান্না শিখে ফেলেছেন! কেন, শেখেন নি?
কোথায় সমস্যা বলুন তো! ওই পরিমাণমতো যে বলে তাতে? নাকি আরও নির্দিষ্ট করে যে বলে দেয় ২০০ গ্রাম, ১৫০ মিঃ লিঃ তাতে? আসলেই তো এই পরিমাণমতো পরিমাপের ব্যাপারটা বোঝাই মুশকিল। রান্না করতে কি আর ওয়েট মেশিন দিয়ে বারবার মেপে দেখব নাকি?
পুরোই যেন চুল ছিঁড়ে ফেলার মতো অবস্থা। রান্না আর মজা হবে কী করে? বছরের পর বছর ঠেকে শিখে? কিন্তু প্রশংসা পেতে কার দেড়ি সহ্য হয় বলুন? সে জন্যই আজ সব মুশকিল আসান করতে দিচ্ছি হাতের কাছে সমাধান।তেল, নুন, আটা, ময়দা সবকিছুর ঠিকঠিক মাপ করতে পারব সকলেই। রান্নার উপকরণ মাপার জন্য রান্নাঘরে ব্যবহার করা হয় এমন কাপ, গ্লাস, ছোট চা চামচ, তেলের টিন ইত্যাদির কাছাকাছি পরিমাপ দেওয়া হলো:
আরও কিছু উপকরণের কাছাকাছি মাপ ছক করে দেওয়া হলো :
আশা করি আমাদের হাতের কাছেই আছে চুলের পরিচর্যা শেষে নারকেল তেলের টিন অথবা কনডেন্সড মিল্ক এর টিন। শেষ হয়ে গিয়েছে? ফেলে দিবেন তো! শেষ হয়েও সে টিনের ব্যবহার হল না তো শেষ। সবগুলো না ফেলে একটা দুটো রেখেই দিন। রান্নায় মাপজোক এ কাজে লাগবে। আর গ্লাস, কাপ, চা-চামচ তো আছেই প্রিয় রান্না ঘরটায়। এখন তবে কিসের ভয়? রান্নার মাপ নিয়ে আর তো কোন সংশয় রইল না। এবার নেমেই পড়ুন কোমড় বেঁধে! আত্নীয়-স্বজন আর প্রতিবেশীদের দাওয়াত করে তাঁক লাগিয়ে দিন আর প্রশংসা কুড়োন। এভাবে একদিন, দুদিন দিনে দিনে সেইদিন আসবে যেদিন আর আপনার মেপে রান্না করতে হবে না। দাদী-নানি আর মায়ের রান্নার মাপ দেখে যেমন অবাক হয়ে যান, তেমনটি আপনিও একদিন এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।
ছবি সংগৃহীতঃ অ্যাপ্রন ফ্রি কুকিং.কম;