তেঁতো করলা খেতে চায় না অনেকেই! অথচ এই করলা খুবই পুষ্টিকর সবজি। এজন্য এটা খাওয়া থেকে বিরতি না নিয়ে বরং করলাকে কিভাবে মজা করে রান্না করা যায়, এদিকে নজর দেয়া উচিত। এই চিংড়ি করলাটা কিন্তু তিতা হয় না। বরং খেতে সুস্বাদু। চলুন তবে আজ চিংড়ি করলা তৈরির পদ্ধতিটি শিখে নেই।
চিংড়ি করলা তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ :
- চিংড়ি– ১/২ কাপ
- করলা- ১ টি বড় (গোল গোল করে চাক করে কাঁটা)
- পেঁয়াজ কুঁচি- ২/৩ কাপ
- আদা-রসুন বাঁটা- ১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ- ৫ টি, মাঝ বরাবর আড়াআড়ি ফালি করে ২ ভাগ করা
- মরিচের গুঁড়ো- ১/২ টেবিল চামচ
- হলুদের গুঁড়ো- ১/২ টেবিল চামচ
- সরিষা বাঁটা- ২ টেবিল চামচ
- সরিষা তেল- ৩ টেবিল চামচ
- পানি- প্রয়োজনমতো
- লবণ- পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালী
– চিংড়ি করলা তৈরি করতে প্রথমে একটি প্যানে সরিষার তেল নিয়ে ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেঁজে নিন। এরপর আদা-রসুন বাঁটা দিয়ে নাড়ুন কিছুক্ষণ।
একটু পানি দিন। মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে ২ মিঃ নাড়ুন। চিংড়ি মাছ ছাড়ুন। ৭ মিঃ রান্না করুন।
– এবার তেল ভেসে উঠার পর সামান্য পানি (১/৩ কাপ) দিয়ে দিন। সরিষা বাঁটা দিয়ে হালকা করে নেড়ে মেশান। এবার মিডিয়াম আঁচে করলা, কাঁচামরিচ ও ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি তাতে ছাড়ুন। ভালো করে নেড়ে ঢেকে দিন। ৫ মিঃ ঢেকে রাখুন।
– চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। করলা যাতে প্যানে পুড়ে লেগে না যায় তাই আঁচ সবসময় কমিয়ে রাখবেন এবং খেয়াল রাখবেন।
– এবার ঢাকনা খুলে নেড়ে দিন। যদি সরিষা বাঁটা বেশি খান তো আরেকটু দিতে পারেন। হালকা নেড়ে আরও ১০ মিঃ ঢেকে রাখুন।
– আধা কাঁচা রাখলে খেতে ভালো লাগবে। তাই নামিয়ে ফেলুন। বেশি ভেঁজে ফেললে নরম নরম ভাবটা থাকবে না, খেতেও ভালো লাগবে না।
ব্যস! রান্না হয়ে গেল মজাদার চিংড়ি করলা। এই আইটেমটি তৈরি করা যেমন সহজ খেতেও তেমনি সুস্বাদু। বাড়ির বাচ্চারা অনেক সময় করলা খেতে চায় না। এটি রান্না করে দিলে আশা করছি বড়দের তো ভালো লাগবেই বাচ্চারাও খুব পছন্দ করে খাবে। তাই দেড়ি না করে আজই তৈরি করুন মজাদার চিংড়ি করলা। আর হ্যাঁ, খেতে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন।
ছবি: সাজগোজ