ছোট চুল হাওয়ায় উড়ুক নির্ভাবনায়, ক্ষতি কি! - Shajgoj

ছোট চুল হাওয়ায় উড়ুক নির্ভাবনায়, ক্ষতি কি!

small-hair

একজন কর্মজীবী নারী হওয়ার জন্য প্রতিদিনই বাসার বাইরে অনেকখানি সময়ের জন্যেই বাইরে থাকতে হয়। আর ঢাকা-শহরের ধুলোবালির কথা কে না জানে! সেতো এক বিশাল ধুলোর সমুদ্র! প্রত্যেকটা দিন খোলা চুলে একগাদা ধুলো আর ময়লা লেগে সে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। বাতাসে এলোমেলো হয়ে আর অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য চুল খুব আঠালো হয়ে যায়। আর তখন চুলে জটের সৃষ্টি হয়। চুল আঁচড়াতে গেলে চুল ছিঁড়ে যায়। চুলের গোঁড়ায় ময়লা জমে নরম হয়ে চুল পড়ে সেই সমস্যার সম্মুখীন তো মোটামুটি সবাই হয়েই থাকি রোজ। অনেকে তাই চুল কেটে ফেলে চুল পড়া কমানোর জন্য। এখানেই আমার একটু আপত্তি আছে! আমার চুল ছোট, আমি শর্ট হেয়ার কাট খুব পছন্দ করি। লং হেয়ারও আমার খুব ভালো লাগে। অনেকেই ভাবেন ছোট চুলের যত্ন নেয়া খুব সহজ। চুল কখনোই পড়ে না! চুলের যত্ন না নিলেও সমস্যা হয় না! আরো কত কি! কিন্তু আমি বলবো, এই কথাগুলো সম্পূর্ণ ভুল। ছোট চুলেরও অনেক যত্ন নিতে হয়। ছোট চুল খুব তাড়াতাড়ি ময়লা হয় এবং প্রতিদিন শ্যাম্পুয়িং আর কন্ডিশনিং তো অত্যাবশ্যক। কিন্তু এটাও সত্যি যে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে যতই কন্ডিশনার ব্যবহার করা হোক না কেন, চুল কিন্তু খুব দ্রুত রুক্ষ হয়ে যায়।

তার উপর চুল আয়রন করতে হয়। প্রতিদিন এই অতিরিক্ত হিট দিয়ে চুল ধীরে ধীরে লালচে ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। একসময় চুল ভাঙা ও পড়া শুরু হয়।

Sale • Hair Oil, Hair Cream & Masks

    এই সব সমস্যাই আমি ফেইস করেছি। ছোট চুল হওয়া স্বত্তেও এমনও হয়েছে যে, দিনে আমার ১৪০-১৫০ টা করে চুল পড়েছে।  চুল পড়াটা কিন্তু আসলেই খুব কষ্টের এবং এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছি আমি কিছু হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে। এই প্যাকগুলো ছোট-বড় সব চুলের জন্যই উপকারী।

    [picture]

    (১) অ্যালোভেরার ভেতরের জেলটাকে বের করে নিয়ে ব্লেন্ড করে তা সংরক্ষণ করে রাখা যায় ডীপফ্রিজে খুব সহজেই। আমি যেটা করি, ২ টে.চা. ব্লেন্ডেড অ্যালোভেরা, ২ টে.চা. বাদাম তেল, ২ টে.চা. প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার কোকোনাট অয়েল, ২ টে.চা. অলিভ অয়েল এবং ১/৪ চা.চা. ক্যাস্টর অয়েল একসাথে মিশিয়ে মিক্সচারটি মাথার স্কাল্পসহ সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে ১.৫-২ ঘণ্টার মতো রেখে দেই। তারপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে কন্ডিশনার দিয়ে দেই। প্রতি সপ্তাহে একবার এই মাস্ক চুলে লাগাই।  বিশ্বাস করুন, আমার চুল এতটাই কোমল, ঝরঝরে আর মসৃণ হয়ে যায় যে আমিই অবাক হয়ে যাই। আর চুল পড়াতো অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে এই মাস্কটি। একদম যাদুর মতো! আপনারাও এই মাস্কটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি খুবই সহজ বানানো এবং সবগুলো উপকরণও অত্যন্ত সহজলভ্য।

    (২) আমি আরেকটা মিশ্রণ ব্যবহার করে থাকি আবার চুলের ময়েশ্চারটা ধরে রাখার জন্য। পরিমাণমতো মেহেদী গুঁড়ো, একটি ডিমের সাদা অংশ, ৩ টা আমলকী ছেঁচে তার রস আর ১ চা.চা. মেথি গুড়ো একসাথে মেশাই খুব ভালো করে। তারপর একটি পাত্রে ১ চা.চা. তিলের তেল ও ২ টে.চা. প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার কোকোনাট অয়েল নিয়ে তাতে একটা পেঁয়াজের অর্ধেক নিয়ে কেটে বড় কুঁচি করে নিয়ে ওই তেলের মিশ্রণটিতে ছেড়ে দিয়ে মৃদু তাপে হালকা ভেঁজে নেই। পেঁয়াজ কুঁচিগুলোকে চিপে তেলটাকে বের করে তা মেহেদীর মিশ্রণটির সাথে মিশিয়ে এই প্যাকটি পুরো চুলে ভালো করে লাগাই। ৩ ঘন্টার মতো রেখে ভালো করে চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দেই। এই প্যাকটি আমি মাসে ২ বার চুলে লাগাই। এটি চুলের সফটনেস ফিরিয়ে আনতে ব্যাপকভাবে কার্যকরী।

    (৩) এছাড়া ব্লাড সার্কুলেশন ইম্প্রুভমেন্টের জন্য মাথায় হট অয়েল মাসাজের জুড়ি নেই। এক্ষেত্রে আমার প্রথম চয়েজ প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার কোকোনাট অয়েল। তেলটা গরম করে মাথায় ধীরে ধীরে মাসাজ করা, সেতো এক অসাধারণ রিলাক্সেশন এনে দেয়। সাথে মেথি, আমলকী এবং অ্যালোভেরার গুণে চুলও হয়ে উঠে ঝলমলে। মানেই এক তেলেই এক্সট্রা কেয়ার।

    আসলে এ বাজারে ভালো তেল পাওয়াটা খুব মুশকিল। কিন্তু প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার কোকোনাট অয়েল আমার এই ছোট চুলের যত্ন নেয়াটাকে একদম ইজি করে দিয়েছে। সরাসরিই বলছি, তেলটা আসলেই ভালো। চুলের পুষ্টি বজায় রাখা, চুলকে কোমল ও মসৃণ করা এবং হেয়ার রুট মজবুত করে হেয়ারফল কমানো… তাও আবার এই একটা তেল ব্যবহার করে! আসলেই ভাবতেই অবাক লাগে! এই তিনটি বেনেফিটস পর্যায়ক্রমে দেয় মেথি, অ্যালোভেরা এবং আমলকী। আর এই ৩ উপাদান একসাথেই পাওয়া যায় এই প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার কোকোনাট অয়েল-এ!

    আমি সপ্তাহে ৩ বার এই তেল ব্যবহার করি। কারণ আমার ছোট চুল ময়লা দ্রুত হয়, তাই চুল প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে হয়। এতে করে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে যদি এর রেগুলার কন্ডিশনিং না হয়। প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার কোকোনাট অয়েল আমার চুলের নমনীয়তা বজায় রেখে হেলদি হেয়ার নিশ্চিত করে।

    ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেও তাই একটু চুলের যত্ন নিতেই হয়। ঝলমলে সুন্দর চুল কে না চায়, হোক তা বড় কিংবা ছোট! চুলের ফাঁকে আঙুল খেলে মসৃণ চুলের প্রাণবন্ততার সাথে সাথে মনটাও খুব করে খেলে উঠে। তাই আমি যা পেয়েছি, তা আপনাদের সাথেও শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনাদেরও নিষ্প্রাণ চুল তার প্রাণ ফিরে পাবে এমনটি করে।

    লিখেছেন- আনিকা ফওজিয়া

    0 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort