অয়েলি আইলিড নিয়ে বলার আগে একটা কথা বলুন… যদি বলি, মেকআপের কোন পার্টটা দেখতে সবচেয়ে বেশী সুন্দর লাগে, তবে উত্তরটা কী হবে? আমি জানি, উত্তরটা হবে চোখের মেকআপ। আই মেকআপ-তো আজকাল কমবেশি সবাই করতে পারি। কিন্তু, সুন্দর একটা আই মেকআপ করে পার্টি বা দাওয়াতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই যদি দেখেন যে আইলাইনার স্মাজ হয়ে গিয়েছে এবং আইলিডের আইশ্যাডো ক্রিজিং করে একদম বাজে অবস্থা হয়ে গেছে, তখন কেমন লাগবে?
সুন্দর দেখানো তো দূরের কথা, দেখতে ভীষণ অদ্ভুত লাগবে। এরকম যদি আপনার সাথে হয়ে থাকে তবে আপনার আইলিড বা চোখের পাতার ধরণ অয়েলি বা তৈলাক্ত। কিন্তু এর সমাধান কী? কিভাবে অয়েলি আইলিড হওয়া সত্ত্বেও চোখের মেকআপ লং লাস্টিং হবে? জানতে চান? আজকের আর্টিকেলটা সেই বিষয় নিয়েই। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই, অয়েলি আইলিড নিয়েই কীভাবে ৮টি দারুণ উপায়ে চোখের মেকআপ স্মাজ হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারবেন।
অয়েলি আইলিড ও এর জন্য স্মাজ প্রুফ মেকআপ টিপস
১. ডাস্টিং
আই মেকআপ শুরুর আগে চোখের পাতায় ব্রাশের সাহায্যে একটু ট্রান্সল্যুসেন্ট পাউডার ডাস্ট করে নিন। এতে চোখের পাতার অয়েলি ভাবটা চলে যাবে।
২. আই প্রাইমার
অবশ্যই চোখের মেকআপ শুরুর আগে একটি ভালো মানের আই প্রাইমার লাগাবেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করবেন যে, ফেইস প্রাইমার,ফাউন্ডেশন বা কন্সিলার দিয়ে কাজ হবে কিনা?
না, ফেইস প্রাইমার, কন্সিলার বা ফাউন্ডেশন দিয়ে হবে না। আপনার আইলিড যেহেতু অয়েলি। তাই ভালো মানের একটি আই প্রাইমার-ই আপনার জন্য ভালো কাজ করবে। আই প্রাইমার-টি আপনার পুরো আইলিড-এ লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এটি আপনার আইশ্যাডো-কে লং লাস্টিং করতে খুবই সাহায্য করবে।
৩. বেকিং
আই প্রাইমার লাগানোর পরে একটি ছোট বিউটি স্পঞ্জে অনেকখানি ট্রান্সল্যুসেন্ট পাউডার নিয়ে আপনার আইলিডে লাগিয়ে নিন। এভাবেই রেখে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন।
ইয়েস, বেকিং-এর কথাই বলছি। আইলিডে এভাবে হালকা বেকিং করে নিলে, আই মেকআপ অনেক বেশি লং লাস্টিং হবে এবং চোখের পাতা অয়েলি হয়ে গিয়ে আই মেকআপ স্মাজ হয়ে যাওয়ার চান্স কম থাকবে।
৪. ম্যাট আইশ্যাডো
আইলিডের ক্রিজের অংশে সবসময় ম্যাট আইশ্যাডো লাগাবেন। আই মেকআপ-এ শিমারি বা গ্লিটারি আইশ্যাডো-এর চেয়ে ম্যাট ধরনের আইশ্যাডো বেশি লাগানোর চেষ্টা করবেন। কারণ, ম্যাট আইশ্যাডো তুলনামূলকভাবে কম স্মাজ হয়। আর খুবই কম পরিমাণে আইশ্যাডো ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।
৫. ব্রাশ ওয়েটিং
আইলিড-এ শিমারি আইশ্যাডো লাগানোর আগে আই মেকআপ-এর ব্রাশটি সেটিং স্প্রেতে ওয়েট করে নিয়ে এরপর তাতে আইশ্যাডো নিয়ে আইলিড-এ লাগাবেন। এতে করে শিমারি আইশ্যাডো খুব ভালোভাবে ফুটবে এবং আইশ্যাডো লং লাস্টিং-ও হবে।
৬. অ্যাঙ্গেল্ড লাইনার ইউজ
অনেকেই আই মেকআপে পেনসিল লাইনার ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তবে এগুলো স্মাজ হয়ে যাওয়ার চান্স বেশী থাকে। তাই পেনসিল লাইনার লাগানোর পরে একটি চিকন অ্যাঙ্গেল্ড লাইনার ব্রাশে পেনসিল লাইনারের সেইম কালারের আইশ্যাডো দিয়ে লাইনিং-এর উপর প্যাটিং মোশনে লাগিয়ে নিন। এতে পেন্সিল লাইনার স্মাজ হওয়ার চান্স কমে যাবে।
৭. জেল লাইনার
অয়েলি আইলিডে আইলাইনার স্মাজ হয়ে যাওয়া একটি কমন ব্যাপার। তাই, লিকুইড বা পেনসিল লাইনারের পরিবর্তে ব্যবহার করুন জেল লাইনার। কারণ, জেল লাইনার আই মেকআপ রিমুভার ছাড়া সহজে রিমুভ/স্মাজ হয় না।
৮. লাস্ট ডাস্টিং
আই মেকআপ শেষে আবারও একটি ব্রাশে খুবই সামান্য একটু ট্রান্সল্যুসেন্ট পাউডার নিয়ে আপনার আইলিডে হালকাভাবে ডাস্ট করে নিন। ভয় নেই, খুব সামান্য পাউডার ডাস্ট করলে আই মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে না। উল্টো, এতে করে আইলিডে থাকা অতিরিক্ত অয়েলি ভাব দূর হবে।
এইতো জেনে নিলেন অয়েলি আইলিড যাদের, তারা কিভাবে খুব সহজেই চোখের মেকআপ স্মাজ হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারবেন। আশা করছি, আপনাদের অনেক বেশি হেল্প হবে।
ছবি- সংগৃহীত: সাটারস্টক