গতবার তো আয়ুষের টারমারিক ফেইস ওয়াশের রিভিউ লিখেছিলাম। আজকে ঐ রেইঞ্জেরই অ্যান্টি মার্কস ক্রিম মানে লিভার আয়ুষ টারমারিক ক্রিম নিয়ে লিখব।
আগেরবারও লিখেছিলাম, আমার আম্মু সবসময় বলেন,-“মেকআপ-এর চেয়ে স্কিন কেয়ারটাই বেশি ইম্পরটেন্ট”। কারণ,আমার স্কিনটাই আমার বেস্ট মেকআপ, যেটা আমাকে সবসময় ক্যারি করতে হবে। এক ফ্রেন্ড-এর পরামর্শে প্রথমবার আয়ুষের টারমারিক ফেইস ওয়াশ আর ক্রিমটা কিনি। গত কয়েক মাস ধরেই ইউজ করছি। কেন? বলছি…।
ফ্রেন্ডলি ক্লিয়ার স্কিন-এর জন্য প্রোডাক্ট কিন্তু পাওয়া কিছুটা দুষ্কর। এই ক্রিমে আয়ুর্বেদের গুডনেস তো পাচ্ছিই, স্কিন-এর অবস্থাও আগের চেয়ে বেটার।
[picture]
লিভার আয়ুষ টারমারিক ক্রিম – প্যাকেজিং
লিভার আয়ুষ অ্যান্টি মার্কস টারমারিক ফেইস ক্রিম প্রোডাক্ট-এর আউটলুক নিয়ে একটু কথা বলি, কেমন? সাদা সারফেস-এ হালকা হলদে রঙের ডিজাইনের বডি পার্ট। সাদায় গোল্ডেন বর্ডার দেয়া, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খোলা যায় এরকম ক্যাপের সাথে টিউবে আসে, প্রোডাক্টটি কাগজের বক্সের ভেতর টিউব থাকে। ওপরে কয়েকটা কাঁচা হলুদ এবং একটা কাঠের বাটিতে কাঁচা হলুদের গুঁড়ো, সবুজ পাতার ছবি দেয়া আছে।
দেখলেই আয়ুর্বেদের একটা ফীল আসে। টিউবের পেছনের অংশে ইংরেজিতে এর ব্যবহারবিধি, মূল উপাদান বিষয়ক সমস্ত ইনফরমেশন দেয়া আছে এবং উৎপাদনের তারিখ থেকে দুই বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ দেয়া আছে। ৫০ গ্রাম ও ২৫ গ্রাম-এর ২টি টিউবেই এই ক্রীমটি পাওয়া যায়। ২৫ গ্রামের ছোট্ট টিউবটা অসম্ভব কিউট লাগে দেখতে!
মূল উপাদান এবং তাদের কার্যকারিতা
এতে আছে কাঁচা হলুদের নির্যাস, যেটা ত্বককে দূষণ মুক্ত করে তোলে এবং সেই সাথে অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। আরো আছে কুমকুমাদি তেল। যেটা প্রাচীন আয়ুর্বেদে খুব বেশি ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান। যেটা স্কিনে ব্রণসহ অন্যান্য কারণে হওয়া দাগ হালকা হতে সাহায্য করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, স্কিনে হেলদি একটা গ্লো দেয়। কুমকুমাদি তেল কিন্তু মূলত ১৪টা ইউনিক উপকরণ এবং কার্যকরী তেলের সংমিশ্রণ। আয়ুর্বেদে বিভিন্ন জায়গায় এর ব্যবহার করা হয়।
স্মেল, টেক্সচার, কনসিসটেন্সি, কালার
সত্যি কথা বলতে ফেইস ওয়াশটার মত ক্রিমের স্মেলটাও আমার পছন্দ হয়েছে। অফ হোয়াইট কালারের এই ক্রিমটার কনসিসটেন্সি আমি বলবো মাঝামাঝি ধাঁচের। মুখে এবং গলায় দেয়ার কিছুক্ষণ পর একটা ম্যাট ফীল আসে। গ্রিজিনেস নেই, যেটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। কারণ, আমাদের দেশে যেরকম গরম পড়ে, স্কিন পুরো চটচটে লাগে গ্রিজি কোন ময়েশ্চারাইজার দিলে। সামারের জন্য বেশ পারফেক্ট একটা রেগ্যুলার ময়েশ্চারাইজার হতে পারে এটা।
ব্যবহার করছি যেভাবে
আমি সাধারণত ডেইলি সকালে ও রাতে দুইবেলা এটা ব্যবহার করি। টারমারিক-এর ফেইস ওয়াশটা দিয়ে মুখ ধুয়ে মোছার পর ক্রিমটা নিয়ে ছোট ছোট ডটের সাহায্যে ধীরে ধীরে ফেইসে ট্যাপ করে করে ক্রিমটা ব্লেন্ড করে নেই। হ্যান্ডব্যাগেও আমি ফেইসওয়াশের পাশাপাশি ক্রিমটাও ক্যারি করি এবং অফিস থেকে কোথাও যাবার হলে ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে, ক্রিম লাগিয়ে, কম্প্যাক্ট পাউডার, লিপস্টিক আর কাজল দিয়ে বের হই!
দরদাম
দাম কিন্তু এক্কেবারেই হাতের নাগালে! ২৫ গ্রামের ছোট্ট টিউবটার দাম ৮০/- টাকা এবং ৫০ গ্রামের টিউবটার দাম ১৫০/- টাকা।
আমার এক্সপেরিয়েন্স
আমার স্কিনের ডালনেস অনেকটাই কমেছে। ব্রণের দাগগুলোও কমেছে। ওভারঅল আমার এক্সপেরিয়েন্স বেশ ভালো। আর আমার কাছে পার্সোনালি মনে হয়েছে সেইম রেইঞ্জের ফেইস ওয়াশ ইউজ করে তারপর ক্রিমটা ইউজ করলে বেটার রেজাল্ট পাওয়া যায়।
আর আমি এটা কিনেছিলাম শপ.সাজগোজ.কম-এর অনলাইনে অর্ডার করে। তাছাড়াও যমুনা ফিউচারপার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার-এ অবস্থিত তাদের ফিজিক্যাল শপেও পাবেন।
ছবি- সাজগোজ