পুঁই শাক আমার অনেক অনেক পছন্দের। আর চিংড়ি? চিংড়ি ছোট-বড় কার না পছন্দের! তবে পুঁই চিংড়ি ঝোল করলে কেন যেন আমি খেতে পারি না। তাই আমার মা আমার জন্য চিংড়ির পুরে পুঁই পাকোড়া বানিয়ে দিয়েছে একদিন! কী যে মজা! তাই ভাবলাম এত মজার রেসিপি-টি আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। তাহলে দেখুন আমার মায়ের চিংড়ির পুরে পুঁই পাকোড়া রেসিপি-টি!
চিংড়ির পুরে পুঁই পাকোড়া বানানোর নিয়ম
উপকরণ
(১) লবণ- ১/২ চা চামচ
(২) হলুদ- ১/৪ চা চামচ
(৩) সরিষার তেল- ২৫০ গ্রাম
(৪) পুঁই শাকের বড় পাতা ভাপিয়ে নেয়া- ২০/২৫টি
(৫) কাঁচা মরিচ কুচি- ৪টি
(৬) কর্ণফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ
(৭) ময়দা- ২টেবিল চামচ
(৮) চালের গুঁড়া- ১/২ কাপ
(৯) পানি- ১ কাপ
(১০) শুকনা মরিচ ভাঙা- ১ চা চামচ
(১১) লেবুর রস- ১.৫ টেবিল চামচ
(১৩) বড় পেঁয়াজ কুচি- ১টি
(১৪) পোস্ত দানা- ১/৪ কাপ
প্রণালী
১. প্রথমে ১/৪ চা চামচ হলুদ ও ১/৪ চা চামচ লবণ দিয়ে চিংড়ি মাখিয়ে নিন ও একটি কড়াইতে ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে হালকা করে ভাজুন।
২. এবার এই চিংড়ি পাটায় মিহি করে বেঁটে নিন।
৩. এখন একটি ফ্রাইপ্যান-এ ২টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামী করে ভাজুন।
৪. চিংড়ি বাদামী হয়ে গেলে ১/৪ চা চামচ লবণ, কাঁচা মরিচ কুচি ও ১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ভাজুন।
৫. আধা কাপ পানিতে প্রায় ২-৩ ঘন্টা আগে থেকে চালের গুঁড়া ভিজিয়ে রাখুন।
৬. আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা চালের গুঁড়া, ময়দা, কর্ণফ্লাওয়ার, বাকি লবণ, শুকনা মরিচ ভাঙা ও লেবুর রস ১ টেবিল চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন।
৭. একটি প্লেট-এ পোস্ত দানা ছড়িয়ে রাখুন।
৮. এবার পুঁই পাতায় সামান্য চিংড়ির পুর ভরে মুড়িয়ে নিন।
৯. সবশেষে ব্যাটার-এ পুঁই পাতা পুরসহ ডুবিয়ে পোস্তদানায় গড়িয়ে নিয়ে গরম তেলে ডুবিয়ে ভেজে নিন! অনেকেই পাকোড়ার উপরে কোট করে পোস্ত বা তিল দিলে খেতে পারে না। তাই যাদের পোস্ত দিয়ে কোটিং-এর পাকোড়া পছন্দ না, তারা পোস্তদানা দিয়ে কোট না করলেও পারেন।
ব্যস, হয়ে গেল আপনার চিংড়ির পুরে পুঁই পাকোড়া!
বিকেলের নাস্তায় কী গরম ভাতের সাথে এই পুঁই পাতার পাকোড়া খেতে অসাধারণ লাগে!
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ