ডিম এমন একটি খাবার যা একই সাথে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং রূপচর্চায় ও এর জুড়ি মেলা ভার। Rapunzel’র মতো সুন্দর চুল অথবা স্নো হোয়াইট এর মতো মসৃণ চেহারা চাই? সেক্ষেত্রে ডিম আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। আসলে ডিমে আছে লুটিন যা আপনার ত্বক কে প্রাণবন্ত ও হাইড্রেটেড করতে সাহায্য করে। ডিম আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে যা নখ এবং চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ডিমের প্রোটিন ত্বকের টিস্যু মেরামত করে মুখের ত্বক কে টাইট রাখে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে চুলকে আরও স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে যা আমাদের সকলেরই কাম্য। এখানেই শেষ নয়, ডিমে উপস্থিত ভিটামিন এ বলিরেখা এবং ফাইন লাইন্স কমাতেও সাহায্য করে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিমের উপকারিতা লিখে আর শেষ করা যাবে না। তবে আমাদের স্বাস্থ্য এবং রূপচর্চায় ডিম কতটা উপকারী সেই সম্পর্কে আজ আপনাদের কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো।
[picture]
প্রথমেই আসা যাক ডিমের স্বাস্থ্য বিষয়ক গুণগুলো নিয়ে
– ডিমে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবেই ভিটামিন ডি, যা খুব কম খাবারে থাকে এবং একটি ডিমেই রয়েছে ৭০ ক্যালোরি।
– ডিম ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব মহিলারা এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৬ টি ডিম খায়, তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ঝুকি ৪৪% কমে যায়।
– হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ স্টাডি অনুসারে, ডিম খাবার সাথে হার্ট এর রোগের সেরকম উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক নেই বরং একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন একটি ডিম খেলে তা রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং হার্ট এটাক এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে ডিম:
-মুখের অবাঞ্ছিত লোম্কুপ কমাতে ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটে পরিষ্কার ত্বকে মাখুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
– পরিষ্কার এবং নরম ত্বকের জন্য একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তুলা দিয়ে সমানভাবে মুখে মাখুন। শুকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তের মধ্যেই ত্বক টাইট এবং নরম অনুভূত হবে।
– একটি ডিমের কুসুম, আধা কাপ টক দই এবং কয়েক ফোঁটা মধু ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে মাখুন । শুকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে প্রাকৃতিকভাবে।
– একটি ডিমের কুসুম, তিন চা চমচ অলিভঅয়েল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালোভাবে মিক্স করে মুখে এবং ঘাড়ে মাখুন। এ মাস্কটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
চুলের যত্নে ডিম:
– একটি ডিম, আধা কাপ টক দই, এক চা চমচ অলিভ অয়েল/ আমন্ড অয়েল ভালো ভাবে মিক্স করে চুলে ভালোমতো লাগান। ৪০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে করে চুল খুব ভালোমতো কন্ডিশন্ড হবে, উজ্জ্বল এবং সুন্দর হবে।
– নিষ্প্রাণ এবং রুক্ষ চুলের জন্য একটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে ভালোভাবে ফেটে নিয়ে পুরো চুলে মাস্ক হিসেবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই মাস্কটি আপনার চুলের প্রাণ ফিরিয়ে এনে একে করে তুলবে নরম এবং উজ্জ্বল।
– একটি কলা , একটি ডিম , তিন চা চমচ মধু, তিন চা চমচ দুধ, পাঁচ চা চমচ অলিভঅয়েল ভালো ভাবে মিক্স করে ১৫- ২০ মিনিট মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন । এটি চুলের ড্যামেজ সারাতে খুবই কার্যকর একটি মাস্ক।
আশা করি পোস্টটি দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন।
ছবি- হেলথঅ্যান্ডবিউটিমাইব্লগস্পট ডট কম, গুডহাউজকিপিং ডট কম
লিখেছেন – সানিয়া আখতার