কম তেলে, খুব কম মসলা দিয়ে ঘরে বসেই আমরা গ্রিল চিকেন বানাতে পারি। বাইরের গ্রিল চিকেন-এ অনেক মসলা থাকে, খাওয়াটাও স্বাস্থ্যকর না। মোটামুটি কম বেশি সবাই গ্রিল পছন্দ করে। বাচ্চারাও বায়না ধরে গ্রিল চিকেন খাওয়ার জন্য। একদিন বিকালে বানাতে পারেন মুখরোচক গ্রিল চিকেন খুব কম সময়ের মধ্যে।
গ্রিল চিকেন তৈরির উপকরণ
১। ফার্ম-এর মুরগির থাই, ৪ পিস
২। সরিষা, ২ টেবিল চামচ
৩। পেপারকর্ণ, সামান্য পরিমাণ
৪। ইতালিয়ান সিজলিং, এক চিমটি
৫। বার বি কিউ সস, এক কাপ
৬। তেল, ৬ টেবিল চামচ
৭। লবণ, পরমাণ মত
৮। গোল মরিচ গুঁড়া, আধা চামচ
৯। জয়ত্রী, আধা চামচ
১০। পোস্তদানা, আধা চামচ
১১। জয়ফল, আধা চামচ
১২। আদা বাটা, রসুন বাটা, আধা চামচ
১৩। গরম মসলা, আধা চামচ
১৪। মরিচ গুঁড়া, আধা চামচ
গ্রিল চিকেন প্রস্তুত প্রণালী
ফার্ম-এর মুরগির থাই চামড়াসহ অথবা ছাড়া কেটে নিয়ে, ভালো করে ছুড়ি দিয়ে কেচে নিন (যাদের কোলেস্টোরেল সমস্যা আছে তারা চামড়া পরিহার করুন)। এবার সরিষা (mustered), পেপারকরন, ইতালিয়ান সিজলিং, বার বি কিউ সস, গোল মরিচ গুঁড়াসহ তেল বাদে সব উপকরণ ভালো করে মুরগির সাথে মিশিয়ে ৩ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টা পর একটি ফ্রাইপ্যান-এ একদম সামান্য তেল (৬ টেবিল চামচ) গরম করতে হবে। তারপর মেরিনেট করা মাংস ফ্রাইপ্যান-এ ছেড়ে দিবেন (যেহেতু ফার্ম-এর মুরগিতে অনেক তেল থাকে তাই কম তেলেই ভাজতে হবে)।
প্রথমে মাংস এপিঠ ওপিঠ করে ভাজতে হবে। মাংস হালকা কালচে না হওয়া পর্যন্ত। তারপর মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য ফ্রাই প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে দেখবেন মাংস দিয়ে অনেক পানি বের হয়ে গিয়েছে। মাংসের উপর আবার সামান্য করে বারবিকিউ সস ঢেলে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে, গ্রিল-এর কালার ধারণ করলে নামিয়ে রায়তা দিয়ে পরিবেশন করুন।
রায়তা বানানোর প্রণালী
শসা, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে টক দই-এর সাথে মিশাবেন। ভালো করে মেশানো হলে সামান্য লবণ, চিনি, গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে গ্রিল চিকেন-এর সাথে পরিবেশন করুন।
( বিঃ দ্রঃ পেপারকর্ন, ইতালিয়ান সিজলিং যে কোনো সুপার স্টোর-এই পাবেন।)
পুষ্টিগুণ
১। গ্রিল চিকেন পুড়িয়ে খাওয়া হয় তাই কোলেস্টোরেল অনেক কম থাকে।
২। মুরগিতে আছে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এটি আমাদের হাড় মজবুত রাখে। বিশেষ করে মেয়েদের দুর্বল হাড়ের জন্য।
৩। গ্রিল চিকেন-এ ক্যালরি আছে ১১০, ফ্যাট ২ গ্রাম, কোলেস্টোরেল ৪৫ মি.গ্রা, সোডিয়াম ৩৬০ মি.গ্রা, কার্বহাইড্রেট ২ গ্রাম, সুগার ১ গ্রাম, প্রোটিন ২০ গ্রাম।
৪। তাছাড়া আছে মিনারেল, ভিটামিন বি, রিবোফ্লাবিন যা ত্বকের সমতা রক্ষা করে।
আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে!
ছবিঃ সাজগোজ.কম