মেরিলিন মনরো | বিনোদন বিশ্বের নক্ষত্র! - Shajgoj

মেরিলিন মনরো | বিনোদন বিশ্বের নক্ষত্র!

Marilyn-marilyn-monroe-979536_1025_768

মেরিলিন মনরো কে চেনেন তো? অনেকে তার নাম সঠিক না জানলেও বিভিন্ন মিডিয়াতে তার কোন ‘আইকনিক’ ছবি দেখেন নি –এমন মানুষ এ যুগে পাওয়া দুষ্কর! সারা বিশ্বজুড়ে কেন এত জনপ্রিয় তিনি? আর তার জনপ্রিয় হবার ইতিহাসটাই বা কী? আর কী বা রয়েছে তার রূপের রহস্য? চলুন জেনে নেয়া যাক বিনোদন জগতে তার বিশ্ব জয়ের ইতিহাস।

১৯২৬ সালের ১লা জুন জন্ম নেয়া এই তারকার আসল নাম কিন্তু মেরিলিন মনরো নয়। বাবা-মা তার নাম দেন নর্মা জিন মর্টেনসন। পরিবারের দারিদ্রতার কারণে মাত্র সাত বছর বয়সে তার মা তাকে আলবার্ট ও ইডা দম্পতির হাতে তুলে দেন লালন-পালনের জন্য।

Sale • Sun Protection, Sheet Mask, Concealer

    ইয়াংক নামে তৎকালীন সেনাবাহিনীর একটি ম্যাগাজিন ছিল। সে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য কিছু ছবি জমা দেন মনরো। দুঃখজনক হলেও একটি প্রচ্ছদেও আসতে পারেন নি মানরো। তাই বলে দমে যাবার পাত্রী নন তিনি। ব্লু বুক মডেলিং এজেন্সিতে তার ছবি জমা দিয়ে রাখেন তিনি। মখমলে সুন্দর ও কার্লি চুলের জন্য তিনি নজরে আসেন প্রতিষ্ঠানটির। কয়েক বছরের মধ্যেই এজেন্সিটির টপ মডেল হয়ে যান মনরো। ডজন খানেক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেন তার আকর্ষনীয় রূপের মাধুর্যে।

    মডেলিং ক্যারিয়ারের সাফল্যের কারণে তিনি টুইনটিথ সেঞ্চুরি ফক্সের বেন লিয়নের চোখে পড়েন। একদিন স্ক্রিন টেস্টের জন্য ডাক পড়ে তার। ব্যাস! শুরু হয়ে যায় তার চলচ্চিত্রের যাত্রা। বেন লিয়ন ভদ্রলোক তখন তার আসল নামে সংশোধন আনেন। ‘মেরিলিন মনরো’ নামকরণ করেন তিনি। তার বিশ্বাস ছিল, জিনের আসল নামের চেয়ে এই নামটি দর্শকদের বেশি টানবে। বলাই বাহুল্য, এই নামটি তার ক্যারিয়ারে দিয়েছিল নতুন এক মাত্রা।

    মেরিলিন মনরোর সবচেয়ে সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে সেরা পাঁচটি বাছাই করতে হলে বলতে হয়ঃ

    ০১. দ্যা সেভেনথ্ ইয়ার ইচ (১৯৫৫)

    ০২. হাউ টু ম্যারি এ মিলিওনিয়ার (১৯৫৩)

    ০৩. জেন্টেলম্যান প্রেফারস্ ব্লন্ডস্ (১৯৫৩)

    ০৪. সাম লাইক ইট হট (১৯৫৯)

    ০৫. নায়াগারা (১৯৫৩)

    গোল্ডেন প্লেট, গোল্ডেন গ্লোব, ফটোপ্লে সহ বহু পুরষ্কার জয় করেছেন মেরিলিন মনরো। হলিউডের ‘ওয়াক অব ফেইম’ এ তারকা সহ নিজের নাম লেখান ১৯৬০ সালে।

    মেরিলিন মনরোর শেষ ছবি ছিল ‘দ্যা মিসফিট’ যা বের হয়েছিল ১৯৬১ সালে। ব্যক্তিগত জীবনে ন্যান্সি মিরাকেল নামের একটি মেয়ে ছিল তার। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আত্নাহুতি দেন মনরো। ‘বারবিচুরেইট’ নামক এক তরল বিষপানে নিজ বাড়িতে আত্নহত্যা করেন তিনি। তবে, তার মৃত্যু নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। অনেকের মতে তাকে খুন করা হয় নিজ বাড়িতে। তবে মেরিলিন মনরো তার ছোট তারকা জীবনে যতটা অর্জন করে গিয়েছেন, নিজস্ব যে স্থান তৈরি করে গেছেন তা হয়তো আর কারো পক্ষে করা সম্ভব নয়।

    কয়েক যুগ পার হয়ে গেলেও মেরিলিন মনরোর সৌন্দর্যের পূজারীগণ এখনও তার রুপের কীর্তন করে চলেছেন। মেরিলিন মনরোর সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রদত্ত হলেও তার কিছু মেক-আপ রহস্যের জন্য তিনি হয়ে ওঠেন সর্বকালের অন্যতম সুন্দরী নারীদের একজন।

    ০১. আকর্ষনীয় ঠোঁটের জন্য মেরিলিন ঠোঁটে ৫ টি ভিন্ন লিপস্টিকের শেড ব্যবহার করতেন। বহুমাত্রিক ফলের জন্য প্রতিটি লেয়ারের পর গ্লসি শেডের প্রলেপ দেয়া হত তার ঠোঁটে। ঠোঁটের উপরিভাগে লাল রঙের গাঢ় শেড ও মাঝামাঝি স্থানে হালকা রঙের শেড ব্যবহার করতেন তিনি।

    ০২. মুখের ফাউন্ডেশনের নীচে মেরিলিন Vaseline প্রয়োগ করতেন যেন তার চেহারা আরো দ্যুতিময় দেখায়। এর ফলে ক্যামেরায় তার চেহারা উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় দেখাত।

    ০৩. মেরিলিন তার চোখে অর্ধেক সেটের আইল্যাশ ব্যবহার করতেন যেন তার চোখ আরো বড় দেখায়। তার উপর কয়েক প্রলেপ মাসকারা দিয়ে আইল্যাশটি চেহারায় মানানসই করে নিতেন।

    ০৪. মেরিলিন মনরোর চেহারার গড়ন ছিল হার্ট শেপের। এই গড়নের সাথে মানিয়ে তার ভ্রু মিনারের মত করে ছাঁটা হত, যেন কপাল বড় দেখায়; চেহারার উপরিভাগে হাইলাইটার ব্যবহার করা হত; এবং চেহারার নিম্নাংশে গাঢ় পাউডারের শেডস দেয়া হত।

    ০৫. মেরিলিনের নাকে ব্লাশ দেয়া হত যেন তার নাক ছোট ও চেহারায় মানানসই দেখায়। এক্ষেত্রে ব্লাশের পূর্বে Vaseline এর প্রয়োগ করা হত।

    ০৬. চোখ বড় করার জন্য কালো কুচকুচে অথবা ব্রাউন রঙের আইলাইনার ব্যবহার করতেন মেরিলিন।

    ০৭. হালকা ধূসর রঙের পেনসিলের সাহায্যে তার ল্যাশের শেষ ভাগে খানিকটা শ্যাডো এঁকে তা ল্যাশের নিচের দিকে এমন ভাবে টানা হত যেন মনে হয় ল্যাশটি উপর থেকে নীচে নেমে যাচ্ছে।

    ০৮. চোখের চারপাশে হাইলাইটার ব্যবহার করা মেরিলিন মনরোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। চোখের কোণে, ভ্রু তে এবং চোখের নীচে হাইলাইটার দিয়ে নিজেকে ফুঁটিয়ে তুলতেন তিনি।

    ০৯. চোখের পাতায় এক ধরনের ক্রিম জাতীয় আইশ্যাডো দিয়ে নিজেকে সাজাতেন মেরিলিন। চোখের পাতা থেকে ভ্রু-এর আগ পর্যন্ত এটা থাকত। আর বাইরের অংশে হালকা ধূসর অথবা হালকা নীল রঙের শ্যাডো দিয়ে নিজের লাস্যময়ী চোখ দুটো আরো কামনাময়ী করে তুলতেন তিনি।

    ১০. মনরো সবসময় গোলাপী অথবা কোরাল ব্লাশ দিয়ে নিজেকে সাজাতেন। তারূণ্যময় রূপের জন্য নিজের এমন স্টাইল পছন্দ করতেন তিনি।

    এখনকার পরিবর্তীত মেক-আপের যুগে সব গুলো টিপস সমান কাজে না লাগলেও কিছু কিছু টিপস আপনাদের সৌন্দর্য চর্চায় সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস।

    শীঘ্রই হাজির হব কোন এক বিশ্ব জয়ীতার সাফল্য গাঁথা আর রূপের রহস্য নিয়ে। ততদিন সুস্থ্য থাকবেন, সুন্দর থাকবেন আর সাজগোজ-এর সঙ্গে থাকবেন।

    লিখেছেনঃ পলাশ

    ছবিঃ ফ্যানপপ.কম

    0 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort