আমরা বাজার থেকে নানান রকম মুখের মাস্ক অনেক টাকা দিয়ে কিনে এনে ব্যবহার করে থাকি যার বেশির ভাগ-ই হলো অকার্যকর এবং নকল। কিন্তু আমরা ঘরে বসেই সেই মাস্ক তৈরি করতে পারি যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কমলা এমন একটি ফল যা সারা বছর ধরে পাওয়া যায়। আমরা কমলা খেয়ে সেটার খোসাটি খুব সহজেই ছুঁড়ে ফেলে দেই। কিন্তু এই ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া জিনিসটি যে আমাদের কত উপকারে আসে তা আমরা অনেকেই জানি না। এমনকি এই খোসা দিয়ে বানানো মাস্ক অনেক নামি দামি পার্লারে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ঘরে বসে ত্বকের ধরন অনুযায়ী কমলার ৩টি মাস্ক তৈরি করবেন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী কমলার ৩টি মাস্ক
স্বাভাবিক ত্বকের মাস্ক
উপকরণ
- কমলার খোসা পাওডার- ২ টেবিল চামচ
- দুধ- ২ টেবিল চামচ
১. প্রথমে কমলা থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর সেই খোসাগুলোকে ২৪-৪৮ ঘণ্টা শুকাতে হবে। তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য রোদে দেওয়া যেতে পারে।
২. পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে খোসাগুলোকে চূর্ণ করে পাউডারের মত করতে হবে। এর জন্য আপনি ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন।
৩. ১ বা ২ টেবিল চামচ খোসা থেকে তৈরি পাউডার এর সাথে সমপরিমাণ দুধ বা পানি মিশান। পেস্ট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। বাতাস ঢুকতে না পারে এমন একটি পাত্রে নিয়ে পেস্টটি ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
ঠান্ডা হয়ে গেলে ঠোঁট আর চোখের অংশ বাদ দিয়ে পুরো মুখে পেস্টটি মাখুন এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর মাস্কটি সাবধানে পানি দিয়ে তুলুন। মাস্ক উঠানোর সময় হাত দিয়ে মুখ ঘষবেন না, এতে ত্বক শুষ্ক আর নিস্প্রাণ হয়ে যেতে পারে।
শুষ্ক ত্বকের মাস্ক
উপকরণ
- আধা কাপ কমলার রস
- তিন টেবিল চামচ টক দই
- দুই টেবিল চামচ মধু
- এক চা চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো
সকল উপাদান একটি ছোট পাত্রে মিশান। মিশ্রণটি বেশি পাতলা বা ঘন যেন না হয়। যদি ঘন হয়ে যায় তাহলে কিছু কমলার রস মিশাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট মাস্কটি মুখে রাখুন তারপর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিমিষেই আপনি আপনার ত্বকের অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের মাস্ক
উপকরণ
- চার ভাগের এক কাপ কমলার রস
- চার ভাগের তিন কাপ চিনি
- এক টেবিল চামচ মধু
- এক টেবিল চামচ কর্নমিল (Cornmeal)
সকল উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন। মাস্কটি ব্যবহারের পূর্বে গরম পানি দিয়ে মুখটি পরিষ্কার করে নিন। এতে আপনার ত্বকটি কোমল হবে। তারপর স্ক্রাবটি পুরো মুখে আঙ্গুল দিয়ে গোল গোল আকৃতি করে ঘষুন। এতে করে স্ক্রাবটি অতিরিক্ত তেল শুষে নিবে। এই স্ক্রাবটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করবেন। তাহলেই আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব অনেকটা কমে যাবে।
ছবি – সংগৃহীত: সাটারস্টক ,মমটাস্টিক.কম, পিনটারেস্ট.কম