সেক্সুয়ালি একটিভ মহিলাদের জন্যে আজকের এই লেখাটি। খুব দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে, অধিকাংশ মহিলারাই এর খুঁটিনাটি জানেন না। অনেকের অনুরোধ ছিল যেন এ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে একটি প্রবন্ধ সাজগোজে প্রকাশ করা হয়। তাই আজ আসুন জেনে নিই, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এর বিস্তারিত।
[picture]
খাবার বড়ি ৫ ধরনের।
০১. কম্বাইন্ড
০২. সিকুয়েনশিয়াল
০৩. মিনি
০৪. পোস্ট কইটাল
০৫. মেল পিল (গবেষণাধীন)
আজ আমরা মূলত আলোচনা করব প্রথম ধরন নিয়ে। ডাক্তাররা নতুন বিবাহিত মহিলাদের কম্বাইন্ড পিল দিয়ে থাকেন। কম্বাইন্ড কারণ এতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন দুই ধরনের হরমোনই থাকে।
খাবার বড়ির কার্যপ্রণালী :
০১. এল এইচ সার্জ -কে দমিয়ে অভুলেশন-কে বাঁধা দেয়।
০২. সারভাইকেল মিউকাস এর কম্পজিশনে তারতম্য ঘটায়। মিউকাস ঘন, আঠালো, স্বল্প হয়ে যায় এর ফলে স্পার্ম-কে ভিতরে ঢুকতে দেয় না।
০৩. এন্ডোমেট্রিয়াম এর আকার ছোট করে দেয় যা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে ইমপ্ল্যান্ট হতে বাঁধা দেয়।
০৪. ফেলোপিয়ান টিউবের নিঃসরণ এবং নড়াচড়াকে বাঁধা দেয়।
কম্বাইন্ড পিলের মধ্যে যা যা:
জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহারবিধি :
০১. কন্ট্রাসেপ্টিভ(জন্মনিয়ন্ত্রণ)
০২. নন-কন্ট্রাসেপ্টিভ –
- ডিজমেনোরিয়া
- প্রি-মেন্সট্রুয়াল টেনশন
- ডিসফাংশনাল ইউটেরিয়ান ব্লিডিং
- এন্ডোমেট্রিওসিস
- ইডিওপেথিক হিরুসিটিজম
- রেগুলেশন অফ মেন্সট্রুয়াল সাইকেল
খাবার বড়ির উপকারিতা :
০১ .জন্মনিয়ন্ত্রণে প্রায় ১০০% কার্যকরী
০২. ব্যবহারে সহজ
০৩. প্রত্যাবর্তনশীল ( খাওয়া বাদ দিয়ে দিলে আবার কনসিভ করতে পারবে )
০৪. সেক্সুয়াল কাজে কোন বাঁধা থাকে না
০৫. সস্তা এবং সব জায়গায় পাওয়া যায়
০৬. মেন্সট্রুয়াল ব্লাড লস কমিয়ে এনিমিয়াকে রোধ করে
০৭. আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়ার বিরুদ্ধে প্রোটেকশন দেয়
০৮. প্লাস নন কন্ট্রাসেপ্টিভ ভাবে অনেক ( উপরে উল্লিখিত) রোগের প্রতিকারে সাহায্য করে।
#খাবার বড়ির অপকারিতা :
মেজর সাইড এফেক্ট –
- হতাশ অনুভব করা
- উচ্চ রক্তচাপ
- ভেনাস থ্রম্ব এম্বলিজম
- কলেস্টেটিক জন্ডিস
- করোনারি হার্ট ডিজিজ
- এথারোস্ক্লেরোসিস
- পিত্তথলিতে পাথর হওয়া
মাইনর সাইড এফেক্টঃ
- বমি বমি ভাব
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- স্তনে ব্যথা হওয়া
- ব্রণ হওয়া
- অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া
- হাইপারমেনোরিয়া
- এমেনোরিয়া
- যৌন চাহিদা কমে যাওয়া
- লিউকোরিয়া (সাদা স্রাব হওয়া)
কী কী রোগ থাকলে খাওয়া যাবে না :
০১.আর্টারিয়াল অর ভেনাস থ্রম্বসিস
০২. সিভিয়ার হাইপারটেনশন
০৩. পূর্বে স্ট্রোক হয়ে থাকলে
০৪. ভালভুলার হার্ট ডিজিজ
০৫. ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ
০৬. ডায়াবেটিস উইথ ভাস্কুলার কমপ্লিকেশন
০৭. মাইগ্রেইন উইথ ফোকাল নিউরোলজিকেল সিম্পটমস
০৮. একটিভ লিভার ডিজিজ
০৯. চল্লিশের উপরে বয়স
১০. ৩৫ বয়সের নীচে ধূমপায়ী
১১. পূর্বে জন্ডিস হয়ে থাকলে
১২. হাইপারলিপিডেমিয়া ইত্যাদি।
লিখেছেন – শারমিন আখতার চৌধুরী
ছবি – ফিটশুগার.কম