দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হই। এমন অনেক সমস্যাই হয় যেগুলোর উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলেও কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যা আমরা খুব সহজেই নিয়ে আসতে পারি আমাদের আওতায়। কীভাবে? সেটা আপনাদের জানাতেই তো আজকের এই লেখা।
০১। অনেক সময় বেকায়দায় বসা বা শোওয়ার জন্য আমাদের হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরে যায়। হাতে ঝি ঝি ধরলে আপনার মাথা এপাশ থেকে ওপাশে দুলান। এতে করে এক মিনিটেরও কম সময়ে ঝিঝি কমে যাবে। ঘাড়ের নার্ভে চাপ পরার জন্য হাতে ঝিঝি ধরে। তাই ঘাড় এদিক ওদিক করার মাধমে ঘাড়ের মাসল শিথিল হয়। পায়ে ঝিঝি ধরে শরীরের নীচের অংশের মাসল সংকোচনের জন্য। এক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন হাঁটা শুরু করুন, ঝিঝি চলে যাবে।
০২। অতিরিক্ত খাবার খেয়ে রাতে ঘুমাতে পারছেন না এসিডিটির সমস্যার জন্য। সেক্ষেত্রে শোওয়ার পদ্ধতিটি পরিবর্তন করুন। বিছানায় ফ্ল্যাট ভাবে না শুয়ে বালিশটা উঁচু করে মাথাটা এমন ভাবে রাখুন যাতে শরীর থেকে মাথা কিছুটা উঁচুতে থাকে। এভাবে থাকার ফলে খাদ্যনালী থেকে পাকস্থলি অনেকটা নীচে থাকে যার ফলে পাকস্থলির এসিড গলায় আসতে পারে না এবং গ্যাস্ট্রিক বা বুকের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
০৩। স্টোভে বা গ্যাসের চুলায় হাত পুড়ে গেলে এখন থেকে বরফ ঘষার পরিবর্তে পোড়া জায়গায় পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে সে জায়গায় হালকা করে প্রেসার দিতে থাকুন। বিশেষজ্ঞদের মতে যদিও বরফের টুকরো সাময়িক ভাবে ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় তবে পোড়া জায়গায় আঙ্গুলের ডগা দিয়ে চাপ দেয়ার ফলে সে জায়গাটা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরে আসে এবং সেখানে ফোস্কা পরার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকখানি।
০৪। কোন কারণে যদি পানির নীচে বেশিক্ষণ থাকার প্রয়োজন পড়ে তাহলে একবারেই বড় নিঃশ্বাস নিয়ে পানিতে ডুব দেবেন না। এর পরিবর্তে অনেক গুলো ছোট ছোট নিঃশ্বাস একবারে নিয়ে তারপর ডুব দিন। এর মাধ্যমে ব্রেইনে এক ধরনের ইলুশন তৈরি হয় এবং ব্রেইন মনে করে এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন রয়েছে, যার ফলে খুব সহজেই পানির নীচে কাটিয়ে দেয়া যায় অতিরিক্ত ১০ সেকেন্ড।
০৫। পার্টিতে গিয়েছেন, অনেক জোরে চলছে মিউজিক। এমন সময় এলো কোন জরুরী ফোন, কিন্তু ওপাশের কোন কথা ভালো মতো শুনতে পারছেন না শব্দের জন্য। এমন কোন পরিস্থিতে পড়লে অবশ্যই ডান কানে সবসময় ফোনে কথা বলুন। কারন আমাদের ডান কানের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি অনেক শব্দের মাঝেও কথা শুনতে বেশি সাহায্য করে, অন্যদিকে বাম কান মিউজিকের শব্দটাকেই শুনতে বেশি সাহায্য করে।
০৬। অতিরিক্ত গরমে দেহের তাপমাত্রা কমাতে শরীরের কুলিং স্পট গুলো যেমন হাতের কব্জি, ঘাড়, গোড়ালির কাছে বা হাঁটুর পেছনের পালস পয়েন্টে পানি ঢেলে খুব সহজেই সারা শরীর ঠাণ্ডা করে নিতে পারেন।
০৭। হঠাৎ করে হেঁচকি শুরু হয়ে গেলে দুই হাতের বুড়ো আঙ্গুল এবং দ্বিতীয় আঙ্গুল দিয়ে দুই চোখের ভ্রুতে আস্তে আস্তে চাপ দিতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হেঁচকি চলে যাবে।
লিখেছেনঃ নাহার
ছবিঃ রিসার্চঅনমেডিকেল.কম, লাইফহ্যাকার.কম, ডেইলিকগনিশন.কম, সেইভএ্যাটএমডি.কম, জর্জেসিয়েন.কম