ফেইসটাকে একটু স্লিম এবং শার্প দেখাতে কন্ট্যুরিং- এর জুড়ি নেই। বিশেষ করে যাদের ফেইস একটু হেলদি। এছাড়াও ফাউন্ডেশন লাগানোর পরে কিন্ত আমাদের ফেইসটা দেখতে অনেকটাই চিকন লাগে। তখন ফেইসে একটু আলো-ছায়ার খেলা দেখাতেও জরুরি। মেকআপ করার পরে অবশ্যই আমরা সবাই কমবেশি ছবি তুলে থাকি। তো ছবিতে ফেইস এবং মেকআপটা সুন্দর লাগার জন্যেও কন্টুরিং শেড নির্বাচন কিন্তু বেশ দরকারি। কিন্তু আপনি যদি আপনার স্কিন কালারের কথা বিবেচনা না করেই দোকানে গিয়ে দুম করে একটা কন্ট্যুর পাউডার কিনে আনেন এবং ব্যবহার করেন, তবে সেটা মানানসই না হয়ে বরং দেখতে হাস্যকরও লাগতে পারে। তাই কন্টুরিং শেড নির্বাচন করে নিন কন্ট্যুরইং প্রোডাক্ট কেনার আগেই! তাই মাথায় রাখুন কিছু জিনিস যা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এখন ভাবছেন, কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন? চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আপনাদের জানিয়ে দেই, কিভাবে কন্টুরিং শেড নির্বাচন করবেন এবং ৭টি উপায়েই জেনে নিন, আপনার জন্য পারফেক্ট কোনটি?
কন্ট্যুরিং শেড নির্বাচন করবেন যেভাবে
স্কিন কালার অনু্যায়ী কন্ট্যুরিং শেড নির্বাচনে
১) ফেয়ার স্কিনের জন্য
যাদের গায়ের রঙ ফর্সা, তারা অনেক বেশি ডার্ক বা অরেঞ্জ টাইপের কন্ট্যুরিং শেড চুজ করবেন না। এতে দেখতে অনেক বেশি বাজে লাগবে। সবসময় স্কিনের থেকে অল্প কয়েক শেড ডার্কার কালার পছন্দ করবেন। যদি আপনি ন্যাচারাল লুক পেতে চান, তবে কুল টোন বা টোপ টাইপের শেড নির্বাচন করবেন। খুব বেশি ওয়ার্ম শেড দেখতে ন্যাচারাল লাগবে না। আর যাদের স্কিন ফেয়ার, তারা হার্ষ কন্ট্যুরিং করবেন না। ফেয়ার স্কিনে ন্যাচারাল এবং ব্লেন্ডেড কন্ট্যুরিং দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
২) মিডিয়াম স্কিনের জন্য
যাদের স্কিন কালার মিডিয়াম বা শ্যামলা, তাদের জন্য কন্ট্যুরিং শেডের অনেক অপশন রয়েছে। ডার্ক ব্রাউন, অরেঞ্জ, কুল টোন যে কোনোটাই মানানসই হবে। যেহেতু আপনার জন্য রয়েছে অনেক অপশন, তাই শপে গিয়ে টেস্টও করে দেখতে পারেন এগুলোর মধ্যে কোনটি আপনার স্কিনে দেখতে বেশি ভাল লাগছে।
৩) ডার্ক স্কিনের জন্য
যাদের স্কিন কালার ডার্ক, তাদের অনেক বেশি অরেঞ্জ টাইপের শেড চুজ না করাই ভালো। কারণ, সেটা ডার্ক স্কিনে ছায়া না ফেলে উল্টো বাজেভাবে ভেসে উঠতে পারে। ডার্ক স্কিনের অধিকারিণীরা কখনোই খুব বেশী ডার্ক কালার নির্বাচন করে স্কিনটাকে কালো করে ফেলবেন না। সবসময় কন্ট্যুরিং-টাকে ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা করবেন। এইজন্য আপনারা চুজ করতে পারেন নিউট্রাল শেডগুলো।
এক্সট্রা কিছু টিপস
৪) স্কিন টাইপ অনু্যায়ী কন্ট্যুরিং
কন্ট্যুরিং প্রোডাক্টটা কিন্তু স্কিন টাইপ অনুযায়ী কেনাও জরুরি। আপনার স্কিন যদি অয়েলি হয়, তবে অবশ্যই কন্ট্যুরিং পাউডার কিনবেন। আর ড্রাই স্কিন হলে ক্রিম বেইজড কন্ট্যুরিং প্রোডাক্ট কিনবেন। তবে আপনি মেকআপে নতুন হলে ক্রিম কন্ট্যুরিং না করাই ভালো। কারণ, এটার থেকে পাউডার কন্ট্যুরিং বেশি সহজ হবে আপনার জন্যে।
৫) কন্ট্যুরিং প্রোডাক্ট টেস্টিং
কন্ট্যুরিং প্রোডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই স্কিনে টেস্ট করে নিন যে মানাচ্ছে কিনা। যে শেডটি আপনাকে ন্যাচারাল লুক দেয়, সেটিই কেনার চেষ্টা করবেন।
৬) পারফেক্ট ব্রাশ
কন্ট্যুরিং অ্যাপ্লাই ঠিক হবার জন্যে কিন্তু পারফেক্ট কন্ট্যুরিং ব্রাশ জরুরি। এজন্য, কন্ট্যুরিং-এর জন্যে যে ব্রাশগুলো তৈরি, সেগুলোই ব্যবহার করুন। ভুলভাল ব্রাশের ব্যবহার কিন্তু আপনার কন্ট্যুরিং -টাকেই নষ্ট করে দিতে পারে। ভুল ব্রাশের সাহায্যে সুন্দর কন্ট্যুরিং সম্ভব নয়। তাই শুধু কন্ট্যুরিং প্রোডাক্ট নয়, ব্রাশের দিকেও নজর দিন।
৭) ব্রোঞ্জিং এবং কন্ট্যুরিং-এর পার্থক্য বুঝুন
অনেকেই ভাবেন, ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা আর কন্ট্যুরিং একই জিনিস। এটা একদম ই ভুল ধারণা। ব্রোঞ্জার আমাদের আউটার ফেইসকে ওয়ার্ম আপ করে এবং একটা সান কিসড লুক দেয়, যা দিনের বেলায় বেশি ভালো লাগে। আর কন্ট্যুরিং আমাদের ফেইসকে ডিফাইন করে এবং শেইপ দেয়। ফেইসকে পাউডার তাই অবশ্যই ম্যাট হওয়া আবশ্যক। সেখানে ব্রোঞ্জারে কিন্তু শিমার থাকে। তাই অবশ্যই কন্ট্যুরিং পাউডার দিয়ে ব্রোঞ্জিং বা ব্রোঞ্জার দিয়ে কন্ট্যুরিং করতে যাবেন না।
এইতো জেনে নিলেন, কিভাবে নিজের জন্য কন্ট্যুরিং শেড নির্বাচন করবেন এবং পারফেক্ট কন্টুরিং প্রোডাক্টটি খুঁজে পাবেন। আশা করছি, আপনাদের অনেক বেশি হেল্প হবে। আপনি মেকআপের জন্য যদি অথেন্টিক প্রোডাক্ট খুঁজে থাকেন, তবে সাজগোজ হতে পারে আপনার জন্য একটি ভালো অপশন। সাজগোজের দু’টি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে যার একটি সীমান্ত স্কয়ারে ও অপরটি যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত। আর যদি অনলাইনে কিনতে চান তবে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টটি! ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন!
ছবি- সংগৃহীত: প্রিটি গসিপ.কম + সাজগোজ