তেঁতো স্বাদের জন্য করলা খেতে অনেকেরই আপত্তি আছে! কিন্তু করলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখা, ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে করলা! গরম গরম ভাতের সাথে করলা ডাল হলে কেমন হয়, বলুন তো? জিরা ফোঁড়নে লাউয়ের সাথে করলা দিয়ে ডাল রান্না করে দেখুন। যারা একদমই করলা খেতে চায় না, এবার তারাও খুশি মনে করলা খাবে! এটা খুব বেশি তেঁতো হয় না, আবার পুষ্টিগুণও অক্ষুণ্ণ থাকে। তাহলে, দেরি না করে করলা ডাল রান্নার রেসিপিটি জেনে নিন!
ফোঁড়নের স্বাদে করলা ডাল রান্নার পদ্ধতি
উপকরণ
- মসুরের ডাল- ১/২ কাপ
- মুগডাল- ১/২ কাপ
- করলা- ৩টি
- লাউ কিউব করে কাটা- ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুঁচি- ৩ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
- কাঁচামরিচ- ৫টি
- গোটা জিরা- ১ চা চামচ
- লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
- রসুন কুঁচি- ১ টেবিল চামচ
- তেজপাতা- ২টি
- তেল- ২ চা চামচ
- ধনেপাতা- ২ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
১) প্রথমে দুই প্রকারের ডাল মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। অল্প পানি দিয়ে লাউ ও ডাল একসাথে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার সময় সামান্য লবণ দিতে হবে।
২) অন্য একটি কড়াইয়ে মাঝারী আঁচে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে জিরা ও তেজপাতা দিয়ে দিন।
৩) এবার পেঁয়াজ কুঁচি ও রসুন কুঁচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পাতলা পাতলা করে কেটে রাখা করলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন।
৪) করলা ভাজা ভাজা হলে কড়াইতে সেদ্ধ করে রাখা লাউ ও ডাল একসাথে দিয়ে দিন।
৫) এবার লবণ, কাঁচামরিচ ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। একটু পাতলা ডাল খেতে চাইলে পরিমাণমতো পানি যোগ করুন।
৬) দশ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখে নিন। ডাল মাখামাখা হয়ে আসলে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।
ব্যস, অল্প সময়েই রান্না হয়ে গেলো করলা ডালের যুগলবন্দী! দুপুরে বা রাতের মেন্যুতে গরম ভাতের সাথে করলা ডাল দারুণ মানিয়ে যাবে। আর সাথে যদি কোনো ভর্তা, ভাজা শুকনো মরিচ আর এক ফালি লেবু থাকে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই!
ছবিঃ সংগৃহীত – অর্চনাস কিচেন