বিভিন্ন কারণে কনুই, ঘাড়ে, আন্ডারআর্ম, গলায় অনেকেরই কালো দাগ পরে যায়। ত্বকের রঙে এই অসামঞ্জস্যতা নিয়ে অনেক সময় আমরা বিব্রত হই। এটা সেটা মেখে আর বিভিন্ন হোম রেমিডি ট্রাই করেও অনেকে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না! তবে এখন কিন্তু আমাদের কাছে একটি রেডিমেড সল্যুশন আছে। যেকোনো সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে আগে আমাদের আগে বুঝতে হবে সমস্যার কারণগুলো কী হতে পারে। আর সেই সমস্যা সমাধানের জন্য ঠিকঠাক প্রোডাক্ট বেছে নেওয়াটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন ইনগ্রেডিয়েন্টস আসলেই প্রবলেমটা ফিক্স করতে পারে সেটাও জেনে নেওয়া জরুরী। ত্বকের জেদি কালো দাগ তুলে ফেলতে ম্যাজিকাল সল্যুশন সম্পর্কে জেনে নেই চলুন!
ত্বকের জেদি কালো দাগ পরার কারণ ও সমাধান
হাইপার পিগমেন্টেশন, ত্বকের ঠিকঠাক যত্ন না নেওয়া, হরমোনাল ঘটিত সমস্যা, স্কিনে মেলানিন বেড়ে যাওয়া, সান ড্যামেজ ইত্যাদি কারণে ত্বকের রঙে অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। বিশেষ করে কনুই, হাঁটু, ঘাড়, গলায় বা শরীরের অন্যান্য জায়গায় জেদি কালো দাগ বা ব্ল্যাক প্যাচ পরে। খুব সহজে বা চট করে এই দাগ যেতে চায় না। ঘাড়ে যদি কালো কালো দাগ থাকে, তাহলে উঁচু করে চুল বাঁধতে বা ডীপ নেক কাটিং ড্রেস পরতে তো একটু বিব্রত লাগবেই! আর কনুইয়ে ব্ল্যাক প্যাচ থাকলে পছন্দের শর্ট হাতা জামাটাও পরা যায় না! ত্বকের জেদি কালো দাগ আমাদের কনফিডেন্স লেভেলটাও কমিয়ে দিচ্ছে।
দাগ তো পরে গেছে, কিন্তু এখন সমাধানটা কী হতে পারে? কোন উপাদানটা ত্বকের জেদি দাগ তুলতে ভেতর থেকে কাজ করে? কিভাবে নিদাগ সুন্দর ত্বক পাবো? জানি, এই প্রশ্নগুলোই মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকেই এই সমস্যার কার্যকরী সমাধান চান, আর তাদের জন্যই আজকের রিভিউ!
ত্বকের জেদি কালো দাগ তুলতে লাইলাক স্পট লাইটনার
লাইলাক বাংলাদেশী ব্র্যান্ড, অনেকেই আপনারা জানেন। দেশীয় যেই ব্র্যান্ডগুলোকে নির্দ্বিধায় ভরসা করা যায়, এমনই একটি ব্র্যান্ড লাইলাক। এর আগে লাইলাকের অনেক প্রোডাক্টই ইউজ করেছি এবং বলতেই হবে যে আমি পুরোপুরি স্যাটিসফাইড। লাইলাক স্পট লাইটনারের ইনগ্রেডিয়েন্স লিস্ট আর এক ফ্রেন্ডের রিভিউ দেখে আমিও ট্রাই করে ফেলি। যেকোনো নতুন প্রোডাক্ট ইউজ করার আগে আমি বরাবরই উপাদানগুলো দেখে নেই। তো আমার এক্সপেরিয়েন্স কেমন ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার এক্সপেরিয়েন্স
লাইলাক স্পট লাইটনার ক্লেইম করে, এটি আনইভেন টোন ঠিক করে, স্কিনের পিগমেনটেশন কমিয়ে ফেলে, স্কিন সেল রিপেয়ার করে, ত্বকের জেদি দাগ হালকা করে দেয়। নিয়মমতো কয়েকদিন ব্যবহার করে আমি নিজেই বুঝতে পেরেছি যে আন্ডারআর্ম, কনুই থেকে কালো প্যাচ বা দাগ ক্রমশ হালকা হচ্ছে। সো, ইট ওয়ার্কস! প্রথম কয়েকদিনে ভিসিবল চেঞ্জ না আসলেও ফিল করছিলাম যে স্কিনের টেক্সচার ভালো হচ্ছে। কালো দাগের পাশাপাশি আমার স্কিন কিছুটা খসখসে টাইপের ছিল। তো, সময় দিলাম এবং আস্তে আস্তে আমি নিজেই এর বেনিফিট দেখতে শুরু করলাম! আমার ঘাড়েও কিছু ব্ল্যাক প্যাচ ছিল। সেখানেও কিন্তু আমি এই ক্রিমটি ব্যবহার করি এবং উপকৃত হই।
আমি যেভাবে ব্যবহার করেছি
স্কিন ভালোভাবে ক্লিন করার পর ডিসকালার এরিয়াতে ক্রিমটি লাগিয়ে মিনিট দুয়েক ম্যাসাজ করে নিই। দিনে দুবার আমি এটি ব্যবহার করছি। ঘাড়, কনুই, আন্ডারআর্ম, হাঁটু অর্থাৎ যে জায়গাগুলোতে জেদি দাগ পরে যায়, সেসব স্থানে ইউজ করি। ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাঁচ টেস্ট করে নিবেন। ত্বকের সেনসিটিভিটি সবার এক রকম হয় না, এটা আমরা সবাই জানি। লাইলাক স্পট লাইটনার ব্যবহারে আমার কোনো রকম ইরিটেশন বা ব্রেক আউট হয়নি, আমার স্কিন টাইপ অয়েলি ও সেনসিটিভ।
কী আছে এই ক্রিমে?
ত্বকের দাগ তুলে ফেলতে সেইফ ও কার্যকরী উপাদান হিসাবে কজিক এসিডের ব্যবহার হয়ে থাকে। একটু রিসার্চ করলেই এই উপাদানের ইফেকটিভনেস ও পজেটিভ রিভিউ দেখতে পারবেন। এই ক্রিমে ন্যাচারাল অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্স আছে। কজিক এসিড, নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন-ই যুক্ত থাকায় স্কিনের পিগমেনটেশন দূর হয়, পাশাপাশি ত্বককে ব্রাইট ও সফট রাখেতেও ভুমিকা রাখে। ভিটামিন-ই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে খসখসে ভাব কমিয়ে ফেলে। নিয়াসিনামাইড দাগ ছোপ কমিয়ে ফেলে স্কিনকে টানটান ও উজ্জ্বল করে। এতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই যেটা স্কিনে কোনো রকম ড্যামেজ করবে। সময় নিয়ে, নিয়মমতো ইউজ করলেই আপনি বেস্ট রেজাল্ট পাবেন আশা করি। এটা ছেলে মেয়ে সবাই ব্যবহার করতে পারবে এবং সব ধরণের ত্বকে মানিয়ে যাবে।
তাহলে জানা হয়ে গেলো, উজ্জ্বল ও দাগহীন ত্বক পেতে কোন উপাদান সত্যিকারে কাজ করবে। ত্বকের জেদি কালো দাগ নিয়ে আর চিন্তা নেই! আপনি চাইলে অনলাইনে অথেনটিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে। তাছাড়া, সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপে নিজে গিয়েও কিনতে পারেন, যা যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত।
ছবি- সাজগোজ