প্রাইভেট পার্টে রেজর ব্যবহারের সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখছেন তো ?

প্রাইভেট পার্টে রেজর ব্যবহারের সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখছেন তো ?

oo

আন্ডারআর্মস এবং বিকিনি লাইন মেয়েদের শরীরের অন্যান্য প্রতিটি অংশের মতই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে এই অংশগুলো অনেক বেশি স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল হয়ে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এই অবাঞ্ছিত লোম অনেকের জন্যেই অনেক অস্বস্তিকর। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর এই জায়গাগুলো প্রপার ভাবে পরিষ্কার করা না হলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে তেমনি নিজের কাছেও ভাল লাগেনা। তাছাড়া নিয়মিত এই জায়গাগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে ঘামের দুর্গন্ধও বেড়ে যায় অনেক গুণ। আন্ডারআর্মস এবং বিকিনি লাইন ক্লিন রাখতে অনেকেই অনেকে রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে।  এদের মধ্যে শেভিং পদ্ধতি, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশনের ব্যবহার, আবার অনেকেই প্রেফার করেন ওয়াক্সিং। প্রাইভেট পার্টে রেজর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তা আজকে জেনে নেই।

(১) ছেলে মেয়ে ভেদে সঠিক রেজরটি বেছে নিন

স্কিনের যত্নে অনেক ব্যপারে আমরা অনেক বেশি সচেতন! কিন্তু ছোটখাট হলেও খুব জরুরী কিছু ব্যপারে আমাদের থাকে রাজ্যের অনীহা।প্রপারলি আন্ডারআর্ম এবং বিকিনি লাইন ক্লিন করাও তেমনি। মেয়েরা অনেকেই অনেক সময় নিজের জন্যে আলাদা রেজর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বুঝে না। এমনকি হাতের কাছে ছেলেদের রেজর থাকলে, নতুন করে আবার আলাদা রেজর কিনার ঝামেলা এরাতে সেগুলোই ব্যবহার করে। অথচ এর ফলে আমরা মেয়েরা আমাদের কি পরিমাণ ক্ষতি করছি না বুঝেই তা অনেক সময় উপলব্ধি করিনা। মেয়েদের স্কিন স্বভাবতই ছেলেদের স্কিনের চেয়ে অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই একি রেজর যা ছেলেরা ব্যবহার করছে তা যদি মেয়েরা ব্যবহার করে তবে স্কিনে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এদের মধ্যে জ্বলাপোঁরা, ইচিং, লাল হয়ে যাওয়া, ছিলে যাওয়া এই সমস্যাগুলো খুবই কমন। তাই মেয়েদের জন্যে আন্ডারআর্ম এবং বিকিনি লাইন ক্লিন করতে রেজর ব্যবহারের আগে অবশ্যই স্কিন বুঝে নিজের জন্যে উপযুক্ত রেজরটিই বাছাই করে নিতে হবে।

(২) অবশ্যই পরিষ্কার রেজর ব্যবহার করবেন

আমরা অনেকেই এক রেজর প্রায় কয়েক মাস টানা ব্যবহার করি। অথচ এটি কিন্তু খুবই ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই কমপ্লেইন করি রেজর ব্যবহারের পর স্কিন খসখসে লাগে বা প্রপারলি ক্লিন হয়না কেন? এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, সময় মত রেজর পরিবর্তন না করা। একটি রেজর কোন ভাবেই ৩/৪ বারের বেশি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

 (৩) মসৃণ শেইভ পেতে ধারালো ব্লেইড

আমাদের অনেকেরই একটি কমন ভুল ধারণা রয়েছে, বেশি ধারালো রেজর ব্যবহার করলে স্কিন কেটে যেতে পারে। অথচ ব্যপারটি কিন্তু একদমই এমন নয়। উল্টো শেইভ করতে যে রেজরটি ব্যবহার করছেন তা যদি ধারালো না হয় তাতে ব্যথা পাওয়া বা কাঁটা ছেড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় আরও বহু গুণ। তবে রেজর ব্যবহার করতে কেউ যদি খুব বেশি ভয় পেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে  ইলেকট্রিক ট্রিমার ব্যবহার করতে পারেন।

SHOP AT SHAJGOJ

    (৪) শেইভ করার আগে স্কিন ভালোভাবে ক্লিন করে নিন

    স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের স্কিনে কিছু না কিছু পরিমাণ ডার্ট বা ময়লা থেকেই থাকে। ডিরেক্ট রেজর ব্যবহারের আগে স্কিনকে আগে প্রিপেয়ার করে নিতে পারলে খুব ভাল হয়। তাছাড়া শুষ্ক ত্বকে রেজর ব্যবহার করা একদমই উচিৎ নয়। তাই আগে আপনার পছন্দের কোন শাওয়ার জেল বা বডিওয়াশ দিয়ে আপনার আন্ডারআর্মস এবং বিকিনি লাইন পরিষ্কার করে নিন। এতে জায়গাটা মসৃণ থাকবে। চাইলে একদিন আগে একটু স্ক্রাবও করে নিতে পারেন স্কিনটাতে। এতে রেজর অনেক স্মুথলি কাজ করবে এবং ইচিনেস বা অ্যাল্যার্জির  সমস্যাও কমে আসবে অনেকটা।

    (৫) স্টেপ বাই স্টেপ শেভিং

    শেভিং করার সময় অনেকেই বুঝে উঠতে পারিনা কোন দিক থেকে শুরু করবো! এর ফলে অনেক সময় স্কিন কেটেও যায়। শেভিং একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্টেপ বাই স্টেপ সম্পন্ন করতে হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক।

    স্টেপঃ ১

    রেজর ব্যবহার করার সময় সঠিক দিকে রেজর মুভ করতে হবে। সঠিক দিক কোনটি? খুব সহজেই কিন্তু এটি বুঝা যায়। চুলের গ্রোথের ঠিক বিপরীত দিকটাই রেজর মুভ করার রাইট সাইড। আপনার হাতের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন। হেয়ারগুলো বড় হয়ে যেদিক ঢালু হয়ে পড়েছে তার ঠিক বিপরীত দিকে রেজরটি মুভ করতে হবে।

    স্টেপঃ ২

    একবারে অনেকক্ষণ ধরে অনেকবার স্কিনে রেজর টানতে যাবেন না। প্রতি ২ থেকে ৩ বার পর পর হালকা কুসুম কুসুম গরম পানিতে রেজারটি ধুয়ে নিবেন। এতে পরের স্ট্রোকে আরও ভালভাবে ক্লিন হবে। এবং রেজারটিও জীবাণুমুক্ত থাকবে।

     স্টেপঃ ৩

    যেকোন রকম মাইক্রো কাট এড়াতে অবশ্যই আস্তে আস্তে শেভ করতে হবে। যেহেতু বিকিনি লাইন এবং আন্ডারআর্মস দুটিই অনেক সংবেদনশীল এরিয়া। তাই চেষ্টা করবেন সাবধান থেকে ধীরে সুস্থে সেসব অংশটুকু ক্লিন করতে।

    SHOP AT SHAJGOJ

      স্টেপঃ ৪

      ঠিকঠাক মত শেভিং করার পর অবশ্যই জায়গাগুলো ভালমত হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এতে বাড়তি কোন লোম বা স্কিনে কোন অপ্রয়োজনীয় প্রোডাক্টস লেগে থাকলে সহজেই উঠে আসবে।

      স্টেপঃ ৫

      এবার স্কিনটাকে একটি পরিষ্কার টাওয়াল দিয়ে আলতো করে মুছে নিবেন। একদম না শুকিয়ে হালকা ভেজা ভেজা রাখলে ভাল হয়। এসময় অবশ্যই একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ইউজ করে নিবেন। এতে স্কিন ড্রাই হবেনা এবং মসৃণ থাকবে।

      অবাঞ্ছিত লোম শরীরে যেকোন জায়গাতেই বিব্রতকর। কিন্তু কী আর করার? যেহেতু প্রতি মাসেই একবার হলেও এই কাজটি করতেই হয়, তাই চেষ্টা করা ভাল কাজটি যতটুকু পারা যায় গুছিয়ে সচেতন ভাবে করার। আশা করছি, আজকের এই টপিকটি আপনাদের উপকারে আসবে। এভাবে রেজর ব্যবহার করে আন্ডারআর্মস এবং বিকিনি লাইন পরিষ্কার করলে অযথা আর পার্লার বা বাইরের কোন ঝক্কি ঝামেলাও পোহাতে হবেনা। তবে পদ্ধতি যেটাই হোক না কেন, আমাদের এই স্পর্শকাতর অংশগুলোতে যেকোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একটু বেশি সচেতন হবেন।

      স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের জন্য অথেক্টিক প্রোডাক্ট আপনারা চাইলে সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ ভিজিট করতে পারেন, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। আর অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিজের ব্যপারে সচেতন হবেন।

      ছবি- সাটারস্টক

       

       

      345 I like it
      67 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort