ব্ল্যাকহেডস একটি কমন স্কিন প্রবলেম! ছেলে মেয়ে সবাই-ই কিন্তু এই সমস্যাটা কম বেশি ফেইস করে। ব্ল্যাকহেডস এর নামটা শুনলেই আমাদের মনের মধ্যে কেমন জানি একটা ভয় কাজ করে, তাই না? কারণ এই নাছোড়বান্দা ব্ল্যাকহেডসগুলো তো সহজে উঠতেই চায় না! ফলে ফেইসের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়, সেই সাথে ত্বক হয়ে যায় অমসৃণ। এমন কী ঐ স্থানে মেকআপও ঠিকমতো বসতে চায় না। এটি এক ধরনের ব্রণ। যখন ত্বকের সিবাম বা অতিরিক্ত তেলের সাথে মৃত কোষ ত্বকে জমে যায়, তখন পোরস ক্লগড হতে পারে। বাইরের ধুলোবালি সিবামের সাথে মিশ্রিত হয়েও রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর এভাবেই ত্বকে কালো দানাদার গুঁটি দেখা যায়।
অয়েলি স্কিন যাদের, তাদের ক্ষেত্রে নাক আর থুতনিতে ব্ল্যাকহেডস বেশি হতে পারে। অনেকেরই চিন এরিয়াতে হোয়াইটহেডস আর ব্ল্যাকহেডস বেশি দেখা দেয়। থুতনির ব্ল্যাকহেডস নিয়ে চিন্তিত? এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, তাই তো? সেটা নিয়ে অবশ্যই লিখবো, তবে তার আগে আমরা জানবো ব্ল্যাকহেডস আসলে কী আর কেনই বা হয় এই ব্ল্যাকহেডস। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
থুতনির ব্ল্যাকহেডস
আমাদের স্কিনের পোরসগুলোতে প্রতিনিয়তই ময়লা জমে। এই ময়লাগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে এর উপর আরও বেশি তেল ও ময়লা জমতে থাকে এবং এক সময় তা বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইজড হয়ে ব্ল্যাকহেডস-এ পরিণত হয়। অনেকসময় ব্যাকটেরিয়ার কারণে, রোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে, ঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার না করলে অথবা হরমোনের সমস্যার কারণেও ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। ব্ল্যাকহেডস যেখানেই হোক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কারণ একই। তবে আপনার থুতনি বা নাকে যদি হয় তাহলে সেটা ফেইসের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব এবং ক্লগড পোরসের কারণেই হয়।
কীভাবে এই ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাবেন?
১. সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন স্ক্রাবিং করতে পারেন। স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ডেড স্কিন সেলস রিমুভ হবে। এভাবে আস্তে আস্তে ব্ল্যাকহেডস কমে যাবে।
২. স্কিন কেয়ারে স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত প্রোডাক্ট ইউজ করতে পারেন। স্যালিসাইলিক এসিড পোরস ক্লিন করে ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করতে বেশ কার্যকরী। স্কিন কেয়ার রেঞ্জে অনেক প্রোডাক্টেই (যেমন- ফেইস ওয়াশ, সিরাম ইত্যাদি) এই উপাদানটি থাকে।
৩. ব্ল্যাকহেডস ইনস্ট্যান্ট রিমুভ করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন নোস পোর স্ট্রিপ। নাকের ব্ল্যাকহেডস তুলতে তো এটি ব্যবহার করেন, চাইলে থুতনিতেও লাগিয়ে নিতে পারেন। একইভাবে এটা থুতনি থেকে জেদি হোয়াইটহেডস, ব্ল্যাকহেডস এগুলো ক্লিন করবে।
৪. AHA, BHA যুক্ত কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করতে বেশ ভালো কাজ করে। তবে যেকোনো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট স্কিন কেয়ারে যোগ করলে সানস্ক্রিন স্কিপ করা যাবে না।
৫. যেহেতু অতিরিক্ত তেল থেকে ব্ল্যাকহেডস হয়ে থাকে, তাই ক্লে মাস্ক এক্ষেত্রে বেশ ভালো অপশন। সপ্তাহে দুই দিন ক্লে মাস্ক ব্যবহার করলে মুখের অতিরিক্ত অয়েল প্রোডাকশন কন্ট্রোলে থাকবেএবং ব্ল্যাকহেডস হওয়ার চান্স কমে যাবে।
বোনাস টিপস
বেসিক স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস কমিয়ে আনতে কিছু কিছু জিনিস খেয়াল রাখবেন। যেমন-
- মেকআপ ভালোভাবে রিমুভ করতে ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে
- দিনে দুইবার মাইল্ড ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে
- বারবার ময়লা হাত মুখে দেওয়া যাবে না
- পোরস ক্লগ করে দেয় এমন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস স্কিপ করাটাই বেটার
ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করতে আমার হলিগ্রেইল প্রোডাক্ট
আমার স্কিন টাইপ অয়েলি, সেজন্য ব্ল্যাকহেডস হওয়ার চান্সও বেশি থাকে। ত্বকের যত্নে আমি সপ্তাহে দুই দিন স্কিন ক্যাফে ডিটক্স হিলিং ক্লে মাস্ক ব্যবহার করি। এটি স্কিনের পোরস থেকে ময়লা দূর করে, ভিজিবল এনলার্জড পোরস কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করে। পানি দিয়ে মিক্স করে অথবা টকদইয়ের সাথে মিশিয়ে এই মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন।
কীভাবে খুব সহজেই থুতনির ব্ল্যাকহেডস দূর করা যায় সেটা আমরা জানলাম। উপরের টিপসগুলো মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করলে ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। হেলদি ও ব্রাইট স্কিন পাওয়ার অন্যতম শর্ত হলো ত্বককে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বা হাইজিন মেনটেইন করা। ত্বক পরিষ্কার থাকলে এই ধরনের স্কিন প্রবলেমও কমে আসবে। আপনারা চাইলে সাজগোজের চারটি ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) থেকে কিনতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টস আর অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন।
ছবি- সাজগোজ