ফ্রেশ, হেলদি, ইয়াংগার লুকিং স্কিন কে না পেতে চায়? কিন্তু আমাদের চারপাশে এত পল্যুশন, এতে শরীরের সাথে সাথে আমাদের স্কিনের অবস্থারও বারোটা বেজে যায়। সেই সাথে বাইরে বের হলে ফেইস করতে হয় কড়া রোদ! এদেশের ওয়েদারের জন্য বেশির ভাগ মানুষ অয়েলি অথবা কম্বিনেশন স্কিনের অধিকারী হয়, তবে ড্রাই স্কিনের মানুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। গরমে ড্রাই স্কিন কীভাবে ফ্রেশ ও হাইড্রেটেড রাখা যায়, সেটা নিয়ে তেমন একটা কথাবার্তা হয় না! তাই সামার স্কিন কেয়ার টিপস ফর ড্রাই স্কিন নিয়ে আজকের ফিচার।
গরমে শুষ্ক ত্বকের যত্ন
সুন্দর ত্বক পেতে হলে হেলদি লাইফস্টাইলের পাশাপাশি স্কিন কেয়ারকেও প্রাধান্য দিতে হবে। গরমকালে কীভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে, সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। চলুন আজ জেনে নেই ড্রাই স্কিনের জন্য কয়েকটি ইফেক্টিভ টিপস, যেগুলো ফলো করলে এই সিজনেও আপনার ত্বক থাকবে হেলদি ও ফ্রেশ।
১. সান প্রোটেকশন মাস্ট
স্কিন কেয়ারে সান প্রোটেকশন আমাদের প্রায়োরিটি লিস্টের প্রথমে রাখতে হবে। কারণ আমাদের স্কিন ড্যামেজের জন্য প্রধানত দায়ী হচ্ছে সূর্যের তাপ বা কড়া রোদ। তাই বাইরে বের হবার আগে নিয়মিত সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই এবং ৩/৪ ঘন্টা পরপর রিঅ্যাপ্লাই করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ড্রাই স্কিনের জন্য ক্রিমি ফর্মুলার সানস্ক্রিন বেছে নিতে পারেন।
২. গরমে ড্রাই স্কিন এর যত্নে রাখুন হাইড্রেটিং ক্লেনজার
যেহেতু গরমেও ড্রাই স্কিনে টানটান ফিল হয়, তাই এমন কোনো ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত না যেটা স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল রিমুভ করে স্কিনকে আরও ড্রাই করে ফেলবে। ফেইস ওয়াশ বা ক্লেনজার কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটাতে যেন ময়েশ্চারাইজিং এলিমেন্ট থাকে। স্কিনকে জেন্টলি ক্লিন করবে, ময়েশ্চার লক করে রাখতে সাহায্য করবে, স্কিনকে হাইড্রেটেড রাখবে- এমন একটি ক্লেনজার আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
৩. সঠিক ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করুন
ড্রাই স্কিনের জন্য শীতকালে ক্রিমি হেভি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেও গরমে থিক ময়েশ্চারাইজার এর প্রয়োজন হয় না। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ই, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড অথবা অ্যালোভেরা যুক্ত জেল বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে প্রোপার হাইড্রেশন পাওয়া যাবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরও ড্রাইনেস ফিল হলে কী করবেন, জানতে চান? খুব বেশি ড্রাই স্কিন হলে জোজোবা অয়েল ইউজ করা যেতে পারে, এটি পোরস ক্লগ না করে স্কিনকে ডিপলি ময়েশ্চারাইজড রাখে।
৪. উইকলি স্কিন কেয়ারে ফেইস মাস্ক অ্যাড করুন
গরমে ড্রাই স্কিন হেলদি রাখতে এমন ফেইস মাস্ক সিলেক্ট করুন যেটা ত্বকে হাইড্রেশন প্রোভাইড করবে। এক্ষেত্রে শিট মাস্ক বেস্ট অপশন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই ইজিলি অ্যাপ্লাই করা যায়। জাস্ট প্যাকেট থেকে বের করে ফেইসে ১৫/২০ মিনিট লাগিয়ে রাখলেই হয়ে যায়। ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করলে স্কিনে সুদিং ও কুলিং ইফেক্ট পাওয়া যাবে।
৫. সপ্তাহে অন্তত একদিন এক্সফোলিয়েশন করা কিন্তু মাস্ট
ড্রাই স্কিনের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, স্কিনে ডেড সেলস জমার প্রবণতা অন্যান্য স্কিন টাইপের থেকে একটু বেশি থাকে। ডেড স্কিন সেলস রিমুভ করে স্কিনের ডালনেস দূর করার জন্য এক্সফোলিয়েশন ছাড়া কোনো অপশন নেই। এক্ষেত্রে স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর অথবা মাইল্ড ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর যেকোনো একটা বেছে নেওয়া যেতে পারে। নরমাল টু ড্রাই স্কিনের জন্য ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটর বা স্ক্রাব বেশ ভালো কাজ করে।
৬. রুক্ষ-শুষ্কভাব দূর করতে বেছে নিন হাইড্রেটিং সিরাম
হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করে স্কিনের এক্সেস ড্রাইনেস থেকে রিলিফ পাওয়া যেতে পারে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম ড্রাই স্কিনের জন্য পারফেক্ট অপশন। এটি ড্রাইনেস দূর করে স্কিনকে ইয়াংগার লুকিং ও গ্লোয়ি করে তোলে। তবে বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন প্রোপারলি ফলো করলে আর বয়স ২০+ হলে তবেই সিরাম ব্যবহার করতে পারবেন।
৭. ফেসিয়াল মিস্ট দিয়ে পাবেন ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন
ড্রাই স্কিনের জন্য ইনস্ট্যান্ট সল্যুশন হতে পারে ফেসিয়াল মিস্ট। সবসময় ব্যাগে একটা ফেসিয়াল মিস্ট ক্যারি করতে পারেন। যখনই মনে হবে স্কিন খুব টানটান ফিল হচ্ছে তখনই মিস্ট স্প্রে করে নিবেন মুখে। ফেসিয়াল মিস্ট ফেইসে ঝটপট ফ্রেশ লুক দেয় এবং সেই সাথে হাইড্রেটিং ইফেক্টও দিবে।
গরমেও ড্রাই স্কিন কীভাবে হেলদি রাখা যায়, এই বিষয়ে টুকটাক অনেকগুলো টিপস আজ আমরা জেনে নিলাম। আর স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন যাতে বডি ডিহাইড্রেটেড না হয়ে যায়। শরীর ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকলে স্কিন এমনিতেই হেলদি দেখাবে। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরা (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ