সাধারণত হার্টের যাবতীয় সমস্যার সম্ভাব্য বয়স পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৭০। কম বয়স্করাও আজকাল কম ঝুঁকিতে নেই। যাদের হার্টের অবস্থা এখনো স্থিতিশীল, ঘনঘন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নেই তাদের জন্য বলা যায় রমজান মাসটা ছিল অনেকটা উপকারীই । কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ, ধূমপান থেকে বিরতি, এ সবকিছু হার্টের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। কিন্তু যাদের বয়স মোটামোটি ৫০ ছাড়িয়েছে এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য রমজান মাস একটি ঝুঁকিপূর্ণ সময়। ঘনঘন বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক-এর স্বীকার হয়েছেন যারা, ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী, যাদের হার্টের মহাধমনীর ভাল্ব সঙ্কীর্ণ, মোট কথা যারা যে কোন রকমের হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের অনেক সতর্ক থাকা উচিত। কিছু জিনিস মাথায় রাখলে এবং তা নিয়মিত মেনে চললে হার্ট-এর রোগীরা থাকতে পারেন অনেকটা ঝুকিমুক্ত।
আসুন তাহলে জেনে নেই কি কি করলে বয়স্করা থাকতে পারেন ঝুঁকি ছাড়া।
(১) প্রতিবেলায় কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করুন। একবারে অনেক পরিমাণ খাবার গ্রহণ শরীরকে স্ফীত করে ফেলে, ওজন দ্রুত বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখে।
(২) খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
(৩) রাতের খাবারের তালিকায় ভাতের চেয়ে বেশি পরিমাণ সবজি ও ফলমূল, কোলেস্টেরল মুক্ত মাংস রাখুন এবং নাস্তায় দুধ-ডিমযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
(৪) প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। হতে পারে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম অথবা হাঁটাহাঁটি।
(৫) প্রত্যেক বেলায় ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করা। এসব খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, অতরিক্ত কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে দেয়। ভাতের বদলে বেশি পরিমাণে সবজি ও ফলমূল, যেমন- ব্রকলি, মটরশুঁটি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ওটমিল, সিরিয়াল(কর্ণ ফ্লেকস) খান।
(৬) অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার না খেয়ে বেকড, গ্রিলড, হাফ গ্রিলড, অল্প তেলে ভাজা খাবার গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে সাফোলা অ্যাকটিভ তেল হতে পারে একটি দারুণ পছন্দ। এটি ৮০% রাইস ব্র্যান তেল ও ২০% সয়াবিন তেলের সমন্বয়ে তৈরি। এতে আছে ওরাইযেনল, যা কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ওজন হ্রাসে সাহায্য করে। এতে আরও আছে ওমেগা ৩ যা মূলত এক প্রকার আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সাফোলা অ্যাকটিভ-এ আরও আছে ভিটামিন এ, ডি ও ই। সাফোলা অ্যাকটিভ তেল লজর্ব টেকনোলজি দ্বারা তৈরি যা ২৯% কম তেল শোষণ নিশ্চিত করে।
(৭) পানি জাতীয় খাবার অবশ্যই বেশি পরিমাণে গ্রহণ করুন। খাবারে তাজা ফলের জুস রাখুন। কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন প্রতিদিন।
এ ছিল আজকের মত আয়োজন। হার্টের দিকে খেয়াল রাখুন, সুস্থ থাকুন।
লিখেছেন- তাহসিন তারান্নুম