চুলের যত্নে কন্ডিশনার অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। চুলের রুক্ষতা দূর করতে এবং চুলকে সফট করে তুলতে আমরা কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। শুধু কি চুলের যত্নেই কন্ডিশনার ব্যবহৃত হয়? একদমই না। চুল ছাড়াও কন্ডিশনার এর বেশ কিছু ব্যবহার রয়েছে। চলুন জেনে নেই।
(১) মেকাপ রিমুভার শেষ। নতুন করে কেনাও হয়নি। অথবা দামী ভালো মেকাপ রিমুভার সবসময় সবার হাতের নাগালে থাকে না। তখন, আপনার বন্ধু হতে পারে কন্ডিশনার। মেকাপ ওয়াইপস/ কটন প্যাডে একটু খানি কন্ডিশনার নিয়ে মেকাপের উপরে হালকা ঘষে মেকাপ তুলে ফেলুন।
(২) অনেক সময় হাতের আঙুলে রিং পরার পরে যখন খুলতে যাওয়া হয়, তখন আর খোলা সহজ হয় না। আঙুলে আটকে যায়। তখন একটু কন্ডিশনার নিয়ে রিং এর চারদিকে লাগিয়ে নিন। দেখবেন, খুব সহজেই রিং খুলে আসছে। এই একই জিনিস চুড়ির ক্ষেত্রেও ট্রাই করতে পারেন।
(৩) মেকাপ ব্রাশ নিয়মিত ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করার ফলে অনেক সময় ব্রাশ গুলোর সফটনেস আর থাকে না। তখন একটা পাত্রে কুসুম গরম পানি নিয়ে, তার মধ্যে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। এবার ব্রাশের ব্রিসেলস-গুলো ওই পানির মিশ্রণে কিছুক্ষণ চুবিয়ে রাখুন। নরমান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রাশগুলোতে সফটনেস ফিরে আসবে।
[picture]
(৪) অনেকসময় চটজলদি বাইরে যাওয়ার সময় দেখা যায় চুলগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। জট বেধে আছে, ড্যামেজ। একটা স্প্রে বোতলে পানি নিয়ে এর মধ্যে সামান্য পরিমানে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রনটি চুলে স্প্রে করে নিন। দেখবেন, চুলের জট কমে এসেছে এবং চুল আগের থেকে ড্যামেজ ফ্রি লাগছে।
(৫) হাত পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলে, একটা বোলে পানি নিয়ে তাতে একটু কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। এবার ওই পানিতে হাত/পা চুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
(৬) নখের যত্নেও কন্ডিশনার খুবই কার্যকরী। ড্যামেজ নখে অল্প একটু কন্ডিশনার নিয়ে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন নখ অনেক বেশী সফট হয়ে যাবে।
(৭) অনেকেই হাত এবং পা শেভ করে থাকেন, যার ফলে অনেক সময় স্কিন ড্যামেজ এবং র্যাশ দেখা যায়। এজন্যে শেভিং এর আগে কিছুটা কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন হাত/পায়ে। পানি দিয়ে অল্প ফেনা তুলে নিন। এবার শেভ করুন। এতে করে স্কিন ড্যামেজ হওয়ার চান্স কম থাকে এবং স্কিন সফট এবং স্মুদ হয়।
এই তো জেনে নিলেন, চুলের কন্ডিশনারের অসাধারণ কিছু ব্যবহারের কথা। আশা করছি, আপনাদের একটু হলেও হেল্প হবে।
ছবি – ডুটেরা ডট কম
লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ