আমার বেগুন খেতে কখনোই পছন্দ ছিল না। দেখলেই কেমন জানি লাগতো। একবার আমার এক কাজিনের বাসায় গিয়েছিলাম বেড়াতে। সেখানে সবার প্লেটে দই বেগুন দিয়ে দেয়া হয়, এমনকি আমার প্লেটেও। ওখানে মুরুব্বিদের সাথে খেতে বসেছিলাম বলে নিষেধ করতে পারছিলাম না যে আমি বেগুন খাব না। বাধ্য হয়েই অল্প মুখে নিলাম। তারপর আমি পুরোটা খেতে পারলাম। আমি নিজেই অবাক বেগুন আবার এতো মজারও হয় কীভাবে। ওই কাজিনের কাছ থেকে জেনে আসি দই বেগুনের রেসিপিটি এবং মাকে বলি। এখন আমার মা প্রায়ই এভাবে বেগুন রান্না করেন, কারণ আমি দই বেগুন খেতে পছন্দ করি। যারা বেগুন পছন্দ করেন তাদের তো দই বেগুনের এই আইটেমটি ভালো লাগবেই। আর যারা পছন্দ করেন না তারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনাদেরও ভালো লেগে যেতে পারে আমারই মতোই। তখন দেখবেন বারবার খেতে ইচ্ছে করছে। তবে আসুন জেনে নিই কিভাবে বানাবেন এই মজার দই বেগুন।
দই বেগুন তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ
- বড় বেগুন- ১ টি
- জিরা- ১/২ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ- ৩ টি
- আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
- হলুদের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
- মরিচের গুঁড়া- ১/২ টেবিল চামচ
- দই- ২০০ গ্রাম
- লবণ- স্বাদমতো
- চিনি- ১ টেবিল চামচ
- সরিষার তেল- পরিমাণমতো
- ধনেপাতা কুঁচি- সামান্য
প্রস্তুত প্রণালী
(১) বেগুন গোলগোল টুকরো করে কেটে নিন। এরপর তাতে হলুদগুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন আর কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন।
(২) চুলায় একটি সসপ্যানে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে বেগুনের টুকরোগুলো ভেঁজে নিন। যখন বেগুনের টুকরো বাদামি রঙের হয়ে আসবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
(৩) একটি সসপ্যানে তেল গরম করে নিন আর তাতে জিরা দিন। কিছুক্ষণ জিরা টেলে নিন। তারপর এতে আদা বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন আদাবাটা এবং জিরা তেলে ভেঁজে নিন। এতে কাঁচামরিচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া এবং সামান্য পরিমাণ পানি দিন। এরপর মসলাগুলো ভাঁজতে থাকুন তেলে কিছু সময়ের জন্য। এরপর এতে দই এবং চিনি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।
(৪) এরপর মসলাতে ভাঁজা বেগুন দিয়ে দিন। সবগুলো টুকরোগুলোতে যেন মসলাটা ভালো করে লাগে। চুলায় আরো কিছুক্ষণের জন্য রাখুন। এরপর এতে ধনেপাতা দিয়ে দিন এবং হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে আনুন।
আপনি এই দই বেগুন গরম ভাতের সাথে মজা করে খেতে পারেন। অনেকে পোলাও এবং খিচুড়ির সাথে খেতেও পছন্দ করে এই আইটেমটি।
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; পিকটারিনামা.কম