আজকে রিভিউ দেবো কোস্টাল সেন্টস এর বেস্ট সেলিং প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে একটির। এটি হল কোস্টাল সেন্টস কন্টোর ব্লাশপ্যালেট। যারা নতুন মেকাপ করা শুরু করছেন বা যারা নিয়মিত মেকাপ করেন এমনকি অনেক প্রফেশনাল মেকাপ আর্টিস্টরাও এই প্রোডাক্টটি পছন্দ করছেন মেকাপের জন্য। কোস্টাল সেন্টস এর আরও প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেও এই প্রোডাক্টটি যারাই ব্যবহার করেছেন তারা এর সুনাম করতে ভোলেননি কখনো। কালো রঙের ম্যাট কেসের এই ছোট প্যালেটে কী আছে এমন? চলুন দেখে নিই-
[picture]
কন্টোর ব্লাশ প্যালেটটিতে আছে মোট ৬ টি কালার। ফেসে মেকাপের সময় কন্টোর, হাইলাইট আর ব্লাশ এর সব কাজ যদি একবারে সেরে ফেলতে চান, তবে এই কন্টোর ব্লাশ প্যালেট আপনার জন্য আদর্শ। এতে রয়েছে হাইলাইটের জন্য ৩ টা কালার, কন্টোর এর জন্য একটি ব্রাউন শেডের কালার আর ২টা রেগুলার পিঙ্ক কালারের ব্লাশ। ৬ টা কালারই অনেক বেশি পিগমেনটেড।
প্রথমে আসি প্যালেটের হালকা কালার এর হাইলাইটার গুলোতে। প্রথম হাইলাইট কালারটা হল সাদা। ম্যাট ফিনিশের এই হাইলাইটার দিয়ে আপনি চেহারার যেসব জায়গা হাইলাইট করতে চান তা খুব সহজেই মার্ক করে নিতে পারেন। অয়েলি স্কিনের অধিকারীরা হাইলাইট এর পর্ব এটা দিয়ে সেরে ফেলতে পারবেন। দ্বিতীয় হাইলাইট পাউডারটা হল একটু ওয়ার্ম পিঙ্কিশ আর পিচি টোনের। ব্লাশের রঙ হালকা করতে খুব সহজেই এটার সঙ্গে মিক্স করে ইউজ করতে পারেন। চাইলে ফেস পাউডার হিসেবে পাউডার ব্রাশের সাহায্যে হালকা করে পুরো মুখে বুলিয়ে নিতে পারেন, একটা ম্যাট লুক আসবে। এর পরের তৃতীয় হাইলাইট কালারটাতে হালকা ফ্যাকাশে হলদে আভা রয়েছে। আমার ইয়ালো আন্ডার টোনের ত্বকে হাইলাইটার হিসেবে চমৎকার কাজ করে এটি। চোখের নিচে কন্সিলার দেওয়ার পরে সেটিং পাউডার হিসেবে আমার খুব প্রিয় এটি। ব্যবহার করি হাইলাইটার হিসেবেও। এমনকি ফাউনডেশন দেওয়ার পরে পাউডার হিসেবেও খারাপ না। ম্যাট হওয়ার কারণেই প্রেসড পাউডার হিসেবে এই লাইট কালার গুলো আমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করি। ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখলে আলাদা করে আর ফেস পাউডার নেওয়ার প্রয়োজন হয়না।
এবার আসি কন্টোরের ব্রাউন শেডের কালারটায়। ফর্সা ত্বকের অধিকারীরা হয়ত মনে করতে পারেন যে এই ব্রাউন টোনের কালারটা তাদের স্কিনে কন্টোরের জন্য বেশ ডার্ক হয়ে যাবে। এমনকি আমিও তাই মনে করেছিলাম। স্কিন টোন অনুযায়ী প্রথমবার ইউজ করার আগে একবার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন যে ব্রাশে কত টুকু পরিমাণ প্রোডাক্ট নিলে তা আপনার চেহারাকে পারফেক্ট কন্টোর লুক এনে দিতে পারবে। ফর্সা ত্বকের অধিকারীদের জন্য অল্প আর উজ্জ্বল শ্যামলাদের জন্য তার থেকে একটু বেশি পরিমাণ নিয়ে কন্টোর করতে হবে তাহলে চেহারার আকৃতিটা সুন্দর ভাবে ফুটে উঠবে। এক্ষেত্রে Angled Blush brush ইউজ করলে সুবিধা হবে।
ব্লাশের জন্য এই প্যালেটে রয়েছে ২ টি কালার। একটি হল মিডিয়াম পিঙ্ক আরেকটি হল মভ আন্ডারটোনের একটু গাঢ় শেডের পিঙ্ক। হালকা ও গাঢ় রঙ দুটোই যথাক্রমে দিনে আর রাতে ব্যবহার করা যায়, তবে মিডিয়াম পিঙ্কটা কুল আন্ডার টোনের স্কিনে আর মভ শেডের পিঙ্কটা ওয়ার্ম আন্ডারটোনের স্কিনে ভালো যাবে। হালকা রঙটা “নো মেকাপ লুক” এর জন্য পারফেক্ট। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা রেগুলার এবং প্রফেশনাল; দুই রকম মেকাপ ব্যবহারকারীরা যেন ব্যবহার করতে পারেন তাই ব্লাশের রঙে এই সামান্য তফাৎটুকু করা হয়েছে। প্যালেটের এই ব্লাশগুলো ম্যাট হলেও খুব সামান্য শিমারের ছোঁয়া রয়েছে এতে, যেটা স্কিনে এপ্লাই করার পরে চকচকে ভাব না এনে বরং একটা ন্যাচারাল হেলদি গ্লো এনে দেয় চেহারায়। স্কিন টোন অনুসারে মিক্স আর ম্যাচ করে ব্লাশ গুলো ইউজ করতে পারবেন অনায়াসেই। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটা হল ব্লাশ দুটি অনেক বেশি পিগমেনটেড। যার কারণে খুব অল্প পরিমাণ ব্লাশ প্রয়োজন হয় যদি না আপনি খুব ভারী মেকাপ করেন। তাই সফট ব্রিসলের ব্লাশ ব্রাশে অল্প পরিমাণ ব্লাশই গালে হালকা গোলাপি আভা ছড়াতে যথেষ্ট।
ভাবছেন কোথায় পাবেন? কোস্টাল সেন্টস এর ওয়েব সাইটে অর্ডার করলেই পাবেন। দেশে পাবেন যমুনা ফিউচার পার্কের Sapphire এ। দাম পড়বে ২৬৫০ টাকা। চাইলে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে অর্ডার করতেও পারেন।
লিখেছেনঃ চৌধুরী তাহাসিন জামান
ছবিঃ কোস্টালসেন্টস.কম