কসমেটিকস কেনার সময় আমরা কেউই সাধারণত লেবেলটি পড়ে দেখিনা। হোক সে শ্যাম্পু, কাজল বা লিপস্টিক। কসমেটিসকের খটমট উপকরণগুলোর মানে বেশীর ভাগ সময়েই বোঝা যায় না তাই মন দিয়ে না পড়লে মনে থাকারও কথা না। তবে কোন কসমেটিকে কী উপকরণ কতটা পরিমানে আছে সেটা জানা খুবই দরকারী।
চুল স্ট্রেট রাখা বা সহজে ম্যানেজ করার জন্যে ফরমালডিহাইড কার্যকর কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে থাকলে এর টক্সিক কেমিকেল থেকে চোখ নাখ ও গলায় ইরিটেশন হতে পারে। হেয়ার স্ট্রেটনিং প্রডাক্টে ফরমাল ডিহাইড ১২ শতাংশ পরিমানে থাকলে তা বেশ চিন্তার কারণ। দীর্ঘদিন ধরে এই টক্সিক কেমিকেল ব্যবহার করলে তা ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া অ্যাজমা, বার্থ ডিফেক্ট বা অন্ধত্বও হতে পারে।
নেইল পলিশেও থাকে এই ফরমালডিহাইড সুতরাং নেইল পলিশ কেনার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে।
শ্যাম্পুর মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম লরেথ সালফেট থাকলে তা শরীরের জন্যে ক্ষতিকর। এতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তার মাত্রা সহনীয় থাকে। যেসব শ্যাম্পু বা কসমেটিকে 1.4 dioxane বা প্রেজারভেটিভ quaternium-15 , DMDM hydantion, immidazolidinyl urea, diazolidimyl urea আছে সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
প্রায় ৬০% লিপস্টিকে লেড রয়েছে। লেড থেকে অ্যানিমিয়া, গ্রোথ রিটার্ডেশন বা খিঁচুনির হতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলা বা বাচ্চাদের লেড আছে এমন লিপস্টিক এড়িয়ে চলাই ভাল।
ডে মশ্চারাইজারে রেটিনল পমিটেট , রেটিনল, ল্যানোলিন্টে থাকলে অ্যালার্জি হতে পারে। সানস্ক্রিনে অক্সিবেনজন , টাইটানিয়াম অক্সাইড থাকলেও অ্যালার্জি হতে পারে।
মাস্কারার মিথাইলপারাবেন অ্যালুমিনিয়াম পাউডার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে ।
ভুল সবই ভুলঃ
- অনেকে মনে করেন কসমেটিক যেহেতু ত্বকের ওপরে লাগানো হয় তাই শরীরের ভিরতে কোন ক্ষতি করেনা । কিন্তু আসলে অনেক সময় প্রসাধনী তে এমন কিছু কেমিকেল থাকে যা হরমোন ডিসরাপচার করতে পারে। স্পার্ম ড্যামেজ বা রিপ্রডাক্টিভ সিস্টেমেও সমস্যা করতে পারে।
- বেশীর ভাগ মানুষই মনে করেন ন্যাচারাল বা অরগেনিক প্রসাধনী সব সময়ে ভাল। ন্যাচারাল লেবেলের কসমেটিকে অনেক সময় প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে সিন্থেটিক উপাদান বেশী থাকে। ন্যাচারাল উপাদান বলতে তারা কী ব্ঝায় সেটা সাধারনত লেখা থাকে না । প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক উপদানের থাকে কৃত্রিম প্রেজারভেটিভ থাকে।
লিখেছেনঃ এডমিন
ছবিঃ মেরী
মডেলঃ বুলা