[topbanner]
ফুলেল নকশায় কাপড়গুলো এই সময়ের খুব জনপ্রিয় ফেব্রিক ট্রেন্ড। যেকোন সময়েই এমন ফুলের নকশা করা কাপড় চলে, তবে গরমের দিনে এর কদর একটু বেশিই থাকে। হরেক রকম ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড়ে বাজার এখন ফুলের রাজ্য হয়ে আছে। এবং বিকোয় প্রচুর এই ফ্লোরাল প্রিন্ট ফেব্রিক। নতুন পোশাক বানানোর পরিকল্পনা থাকলে এই সময়ে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড় রাখতে পারেন কেনাকাটার তালিকায়। কেমন পোশাক বানানো যাবে ফ্লোরাল প্রিন্টের কাপড়ে, তারই কিছু ধারণা নিতে পারেন এখান থেকে।
শার্ট বানাতে চাইলে
সাদার মাঝে এক/দুই রঙের ফুলেল নকশা করা কাপড়ে শার্ট ধাঁচের টপ কিংবা শার্ট দারুণ লাগে। হালকা নকশার মাঝে কাপড়গুলো এমন শার্টের জন্য মানানসই। সাদার মাঝে লালচে কমলা, নীল, ছাই রঙ, গোলাপি রঙগুলোর ফুলেল ছাপে শার্ট বেশ ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক। দর্জিবাড়িতে বানালে শার্ট ধাঁচের টপ বানাতে পারেন এরকম কাপড়ে। সামনে কাপড়ের বোতাম দেয়া, বোতামের রঙ ফুলের রঙের থেকে গাঢ় হলে চমৎকার লাগবে দেখতে।
টিউনিক বা কামিজে ফুলেল কাপড়
একটি রঙ বেছে নিন কাপড়ের রঙ হিসেবে। এবার তাতে হরেক রকম, হরেক রঙের ফুলের মেলায় নকশা করা কাপড় খুঁজুন। কাপড়গুলো জোড়া দিয়ে তৈরি হবে ম্যাক্সি ড্রেস বা টিউনিক, যাই বলুন। একেক ধাপে নকশায় ভিন্নতা, ফুলের রঙে বৈচিত্র থাকবে, কিন্তু কাপড়ের মূল রঙ অভিন্ন হবে। জোড়ার অংশে ইচ্ছে মতো লেইস বসিয়ে নিতে পারেন বা অন্য ফেব্রিকের কাপড়ের ব্যবহারও চলতে পারে।
আনারকলি ধাঁচের কামিজও এমন ঢঙে দারুণ লাগবে। পুরোটাই ফ্লোরাল প্রিন্টে হোক বা সাথে একরঙা কাপড় থাকুক, বেশ লাগবে এরকম একটা কামিজ। সালোয়ার এক রঙের নিয়ে কামিজের কাপড়ের চেয়ে ভিন্ন ধাঁচের প্রিন্টের কাপড়ে ওড়না বানিয়ে নেয়া যায়, তাতে সালোয়ারের কাপড়ের পাড় বসানো হবে। অথবা শিফন ওড়না নেয়া হলো কামিজের সাথে মিলিয়ে কোন এক রঙেই, তাও সুন্দর দেখাবে।
পছন্দ যখন স্কার্ট
ফ্লোরাল প্রিন্টের স্কার্টও অনেকের বেশ পছন্দ। হিজিবিজি জংলী ফুলেল নকশায় স্কার্টগুলো তরুণীদের পছন্দের তালিকায় থাকে। ইচ্ছেমতো টপ, ফতুয়া বা শার্টের সাথে ফ্লোরাল প্রিন্টের স্কার্ট পরার চল গরমের ফ্যাশনেবল এক ড্রেসিং ট্রেন্ড। স্কার্টের ক্ষেত্রে যতো ঘন নকশার কাপড় হয়, ততোই দারুণ দেখায়। এই গরমে ওয়ারড্রোবের নতুন সদস্য হিসেবে এরকম একটি স্কার্ট বানিয়ে নিতে পারেন কিন্তু।
[picture]
গাউনে থাকুক ফ্যাশন
ফ্লোরাল প্রিন্টের গাউন আরেক টপ ট্রেন্ডি পোশাক এই সময়ে। গাউন পোশাকটা খুব প্রচলিত হয়ে গেছে আমাদের দেশে, উৎসবের জন্যই নয় কেবল নিত্যদিনের পরিধেয় হিসেবেই গাউন থাকছে অনেকের পছন্দের তালিকায়। নিয়মিত পোশাক হিসেবে ছিমছাম ধাঁচের গাউনে ফ্লোরাল প্রিন্ট ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে। কাপড়ে ঘন নকশা হোক বা খুব হালকা, সবটাই মানিয়ে যাবে গাউনের জন্য। দুই/তিন রকম নকশার নয় বরং একটাই কাপড় ব্যবহার করুন গাউনে, চাইলে হাতে এবং বুকে একরঙা কাপড়ের জোড়া দেয়া যায়। কেবল ভালো একজন দর্জির সন্ধান জানা লাগবে, চমৎকার একটি গাউন বানাতে খুব ঝামেলা পোহাতে হবে না তাছাড়া।
ছবি – টাউনঅ্যান্ডস্টাইল.কম
লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব