পড়াশোনা করেছেন মেডিকেলে। কাজও করছেন মেডিকেল কলেজের প্রভাষক হিসেবেই। মডেলিং এর কথা কোথা থেকে এল তাহলে? কথায় বলে, শখের তোলা আশি টাকা! অনিন্দ্যা ফয়সাল খানের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। নেশা যার মডেলিং এর, ডাক্তারি পড়ালেখার শত চাপও তাকে সেখান থেকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ফ্রিল্যান্স মডেল হিসেবে মাত্রই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তিনি। একদিকে ডাক্তারি বা শিক্ষকতার কাজ আবার অন্যদিকে শখের কাজটিকেও বেশ মন দিয়েই করে যাচ্ছেন। চলুন তার কাছেই শোনা যাক কেমন হয় নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মডেলিং পেশা!
শুভেচ্ছা আপনাকে, অনিন্দ্যা। নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
সাজগোজকেও শুভেচ্ছা। আমি সদ্য এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নির পাট চুকিয়ে ঢাকা এসেছি। এখন হবু ডাক্তার দের পড়াই, মানে লেকচারার হিসেবে কাজ করছি একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে। পেশায় ডাক্তার হলেও নেশা হচ্ছে ক্রিয়েটিভ কাজের। ছবি আঁকতে আর পোশাক ডিজাইন করতে ভালোবাসি। মডেলিং, বিতর্ক আর উপস্থাপনা ছাড়াও আরেকটি নেশা হচ্ছে ঘুরে বেড়ানো!
মেডিকেলের শিক্ষার্থী হয়ে হঠাত মডেলিং এর প্রতি উৎসাহ কিভাবে এল? যাত্রা শুরু হল কীভাবে?
উৎসাহ ছিল ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু ডাক্তারি পড়াশোনার তুমুল চাপে ইচ্ছাটি সাময়িকভাবে ধামাচাপা দিতে হয়েছিল। অতঃপর গ্রাজুয়েশন শেষ করে মডেলিং এর পথে যাত্রা শুরু হলো বিখ্যাত ফ্যাশন হাউস রঙের “শারদ সাজে রঙ এর দিদি ২০১৪” প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়ে।
কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? বাংলাদেশে এই পেশায় কী কী সমস্যা আছে বলে আপনি মনে করেন?
কাজের অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত খুব ভালো। সিনিয়র দের প্রচুর সহযোগিতা পেয়েছি এবং পাচ্ছি! তবে বাংলাদেশে যেই সমস্যাটি আছে, তা হল মিডিয়ার প্রতি বক্র দৃষ্টিভঙ্গী। সব পেশাতেই খারাপ-ভালো দুইদিক আছে, একটু সচেতন হয়ে কাজ করলে তা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
আরেকটি সমস্যা হল নতুনদের অপেশাদার মনোভাব। যার জন্য অনেকেই নতুনদেরকে নিয়ে কাজ করতে চান না। আবার উল্টোদিকে, প্রতিষ্ঠিত এজেন্সির অভাবে অনেকেই কোথা থেকে কাজ শুরু করবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে ভুল পথে গিয়ে অযথা হয়রানির শিকার হতে হয়।
ফ্রিল্যান্স মডেলিং এর কেমন সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে?
নতুনদের জন্য গ্রুমিং, কোর্স এবং কাজের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ বাড়ালে ফ্রিল্যান্স মডেলিং এর ভবিষ্যত অনেক ভালো আমাদের দেশে!
বর্তমানে কী করছেন? কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কি?
সমসাময়িককালে কাজ করেছি বাংলা ট্রিবিউন, দি ডেইলি সান পত্রিকার ফিচারে । প্রিন্ট মিডিয়ায় আরো কাজ করার ইচ্ছে আছে। পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনা অভিনয় আর উপস্থাপনা করার।
ডেইলি সানের একটি ফিচারে অনিন্দ্যা
নতুনদের জন্য কোন পরামর্শ আছে? কী ধরণের গুণ বা প্লাস পয়েন্ট থাকা জরুরি এ ধরণের কাজে? কীভাবে শুরু করতে পারে তারা?
আমিও এক অর্থে এই জগতে নতুনই! সাবলীলতা অনেক বড় একটি গুণ এখানে কাজ করার জন্য। পাশাপাশি শেখার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। পর্দার সামনের দিকটি যতটা ঝলমলে, পর্দার পেছনেও ঠিক ততখানিই ডেডিকেশন এর দরকার হয় – এ ব্যাপারটি বোঝা খুব জরুরি!
অনেক ধন্যবাদ, অনিন্দ্যা। আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।
সাজগোজকেও ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেনঃ নুজহাত ফারহানা