বিগত বছরগুলোর তুলনায় আজকাল হার্ট এ্যাটাকের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে। সময় মত রোগ নির্ণয় না হলে এ রোগে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুন। হার্ট এ্যাটাকের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে A Quick action can save life.
জেনে নেয়া যাক রিস্ক ফ্যাক্টর সমূহঃ
√ ধূমপান
√ high LDL এবং Low HDL
√ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ
√অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস
√অতিরিক্ত ওজন
√ অত্যাধিক দুশ্চিন্তা এবং রাগ
এছাড়া বৃদ্ধ বয়স এবং পারিবারিক ইতিহাস হার্ট এ্যাটাকের অন্যতম কারণ। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোপজের পর এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এক নজরে প্রধান লক্ষণসমূহঃ
– বুকের বাম পাশে বা মাঝখানে তীব্র ব্যথা ।
– বুকের ব্যথা যা বাম হাতে ছড়িয়ে যায়। অপর হাতে এমন কী দুই হাতেও ব্যথা হতে পারে।
– চোয়ালে বা দাঁতে ব্যথা।
– শ্বাস কষ্ট। শ্বাস কষ্ট বুকের ব্যথার আগে কিংবা পরে অথবা বুকের ব্যথার সাথেও হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে শ্বাস কষ্টই এক মাত্র লক্ষণ হতে পারে।
– এছাড়া পিঠে, কাঁধে বা ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে।
-হঠাৎ ঘাম হওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করা।
-মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব। কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীর বমি হয়।
লক্ষনীয়ঃ
– হার্ট এ্যাটাকের ব্যথা কে অনেকে হার্ট বার্ন ( বুকে জ্বালা পোড়া ) বা হজমের সমস্যা ভেবে ভুল করেন। দীর্ঘ দিন ধরে পেপটিক আলসারের ঔষধ সেবনকারী রোগীর ক্ষেত্রে এই ভুল বেশি হয়।
– বয়স্ক রোগী অনেক ক্ষেত্রে কোন ব্যথা অনুভব করে না।
– ডায়বেটিক রোগীর বেলায় ব্যথা মৃদু হতে পারে। এমন কী কোন রকম ব্যথা নাও থাকতে পারে। ডায়বেটিক রোগীদের ” Silent MI” হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা ছাড়াও যে লক্ষণগুলো আছে সেগুলোর কোনটি মিলছে কিনা সর্তকতার সাথে পর্যবেক্ষন করুন।
লিখেছেনঃ ডাঃ মোশাররাত জাহান কণা
ছবিঃ হেলথইননেশান.কম