রাস্তার পাশে দাড়িয়ে প্রায়ই চানাচুর ভাজা খাওয়া হয় নিশ্চয়ই। স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে অনেক সময় দোকান থেকেও কিনে আনা হয় মুচমুচে চানাচুর। কিন্তু তাও আসলে কতটুকু স্বাস্থ্যকর! তার থেকে যদি নিজের হাতে ঘরেই তৈরি করা যায় এই স্ন্যাক্স তাহলে মন্দ হয় না। কি বলুন? নিজের হাতে চানাচুর বানিয়ে খাবার পর কেউ আর দোকানের কেনা চানাচুর খেতে চাইবে না। গ্যারান্টি!
উপকরণ
- বেসন – ১/২ কেজি
- কালিজিরা – ১ চা চামচ
- খাবার সোডা – ১/২ চা চামচ
- তেল – ১/২ কাপ ( ময়ান)
- পানি – ১/২ কাপের একটু বেশি
- বাদাম – ২৫০ গ্রাম
- চিড়া – ২৫০ গ্রাম
- লবন – স্বাদ মত
- বিট লবন – ১ চা চামচ
- টক লবন – ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া – ২ চা চামচ
- চাট মসলা – ২ চা চামচ
- তেল – ১ ১/২ লিটার ( ভাজার জন্য)
- চানাচুর এর ডিজাইন কামরাঙ্গা, লম্বা ঝুরি, চিকন ঝুরি বুন্দিয়া, বানানোর ডাইস পরিস্কার করে ধুয়ে মুছে শুকিয়ে নিতে হবে।
[picture]
প্রণালী
– টাটকা বেসন চেলে নিতে হবে। এতে কালিজিরা ও তেল দিয়ে ময়ান করে লবন আর পানি দিয়ে ঘন গোলা করে নিতে হবে।
– কড়াইয়ে তেল গরম করে চানাচুর ডাইসের উপর বেসনের গোলা রেখে হাতে চেপে চেপে তেলের উপর ফেলতে হবে।
– ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে কিচেন টাওয়েল এর উপর রাখতে হবে যেন বাড়তি তেল চলে যায়।
– মোটা ডিজাইনগুলো ভাজা হলে বেসনের গোলায় ৪ চামচ পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিতে হবে।
– এটা দিয়েই এবারে চিকন ছাচের ঝুরি বানাতে হবে।
– সবশেষে আবারো অল্প পানি দিয়ে বেসনের গোলাটা পাতলা করে বুন্দিয়া ভেজে নিতে হবে।
– বেসন পর্ব শেষ হলে ঐ তেলেই বাদাম ভেজে নিবো।
– তেল খুব গরম করে চিড়া মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিবো।
– এভাবে সব ভাজা হয়ে গেলেই মুল কাজ শেষ।
– এবার মসলা মেশানোর পালা। বাকি সব মসলাগুলো চানাচুর গরম থাকতে থাকতেই ভালো করে হাতে ডলে মিশিয়ে নিতে হবে।
– ব্যাস হয়ে গেল মজার ঝাল ঝাল চটপটে চানাচুর। খুব টেস্টি হাতে বানানো চানাচুর। আশাকরি এভাবে বানিয়ে দেখবেন সবাই।
শুভ কামনা সকলের জন্য।
ছবি – প্লেসঅফঅরিজিন ডট কম
রেসিপি – খুরশীদা রনী