আজকের লেখাটা একটু আলসে মেয়েদের জন্য খুব উপকারী হবে… আপনাদের মধ্যে নিশ্চয়ই অনেকেই আছেন যারা ডার্ক সার্কেল সমস্যায় ভোগেন… এবং যখনি আপনাদের সাজেস্ট করা হয় ডার্ক সার্কেলের সবচেয়ে পপুলার হোম রেমেডি- ‘শসা কুচি’ আমি গেস করতে পারি শসা ছিলে কুচি করে (এত্তকিছু? টাইম কই?) তারপরে সেটাকে চোখে দেয়ার কথা চিন্তা করেই অনেকের রূপচর্চার খায়েশ মিটে যায়!!!
ইয়েস এটা সত্যি যে চোখের নিচের ফোলা, টায়ার্ডভাব ও ডার্ক সার্কেল কমাতে সঠিক লাইফস্টাইল, সঠিক আন্ডার আই ট্রিটমেন্ট ক্রিমের যেমন বিকল্প নেই তেমন শসা কুচিও চোখের নিচের স্কিনের জন্য অত্যন্ত প্রুভেন একটি রেমেডি… কিন্তু আগে যা বললাম! আলসেমির কারণে নিয়মিত কিছুই করে উঠতে পারেন না ও অনেক অনেক টাকা ঠিকই খরচ হয়ে যায় কিন্তু চোখের নিচের স্কিনের কোন উন্নতি চোখে পরে না…
বিগত অনেকদিন ধরে তিব্র গরমে বাইরে থেকে এসে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এই ট্রিকটি আমি ট্রাই করছি। ঝাঁজালো রোদের গ্লেয়ার থেকে আমার চোখকে বাচাতে এটা বেশ ভালো ফল দিয়েছে। সো যারা তিব্র রোদ, গরমে চোখের সেনসিটিভিটি এবং চোখের নিচের স্কিনের ঝুলে পড়া, ফোলা ভাব ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছেন তারা এটা ট্রাই করে দেখলে ভাল ফল পাবেন আশা করি…
[picture]
চলুন দেখি কি কি লাগবে-
(১) একটি ছোট সাইজের আস্ত কচি শসা
(২) ১০-১২ টা কটন প্যাড (যেকোনো ফার্মেসি/ কস্মেটিক শপে পাবেন। আমি এখানে ফ্লোরমারের কটন প্যাড ইউজ করেছি। স্কয়ার/ রাউন্ড যেকোনো শেপ ইউজ করতে পারেন।
(৩) একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ (জিপ লক ব্যাগ পাওয়া গেলে ভালো হয়। আমি জিপলক ইউজ করি)
(৪) কয়েক ফোঁটা পিওর ভিটামিন ই অয়েল (আমি ১ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরের অয়েল ইউজ করেছি)
তারপর কি করব?
আসুন শুরু করি-
– প্রথমে শসাটি ধুয়ে পিল করে (ছিলে নিয়ে) ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেনড করে ফেলুন।
– এবারে এই মিহি শসার পেস্টের ভেতরে ভালভাবে ভিটামিন ই অয়েলটুকু মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই অয়েল আপনার আই প্যাডগুলো একটু বেশিদিন ভালো রাখবে এবং চোখের নিচের শুষ্ক , কালচে ভাব এবং বয়সের ছাপ দূর করবে।
– এবারে আপনার সবগুলো কটন প্যাড একে একে এই শসার পেস্টের মিশ্রণে ভিজিয়ে নিন। চাইলে ৩-৪ মিনিট পাত্রের মধ্যে প্যাডগুলো রেখে দিতে পারেন। ভালোভাবে ভেজার জন্য।
– এবারে কটন প্যাড গুল আপনার জিপলক প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে আটকে দিন। নরমাল স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ব্যাগ ইউজ করলে ভালোভাবে মুখ বেধে রাখুন।
– এবারে প্যাডে ভর্তি ব্যাগটি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার হোমমেড আই প্যাড…!!
কিভাবে ইউজ করব?
– এভাবে তৈরি আই প্যাড প্রায় ৪-৫ দিন ভালো থাকবে।
– যখনি দরকার (বাইরে থেকে এসে/ ঘুমানোর আগে) ২ টি প্যাড বের করে নিয়ে একটি বাটিতে বরফ গলানোর জন্য ৫ মিনিট রাখুন। এরপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য আই প্যাড চোখের উপরে রেখে রিলাক্স করুন।
– শসার টুকরো চোখে দেয়া/ শসা কুচি করে চোখের উপর দেয়ার চেয়ে এই পদ্ধতি অনেক বেশি সময় সাশ্রয়ী এবং ঝামেলাহীন এবং আপনার আশপাশ থেকেধুলোবালি শসার কুঁচিতে লাগার ঝামেলাও নেই।
সুতরাং, আশা করি যারা কাজের ভয়ে শসা কুচির মত ইফেকটিভ উপায় ট্রাই করার সাহস করেন না, তারা এক ধাক্কায় সপ্তাহ পার করার এই সহজ উপায় অবশ্যই ট্রাই করবেন।
মডেল – আফসানা
লিখেছেন – তাবাসসুম মুস্তারি মীম