চুলে কন্ডিশনার নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের প্রকৃতি উজ্জ্বলতা, সুস্থতা সবকিছুই বৃদ্ধি পায়। কন্ডিশনার ছাড়া আমরা শ্যাম্পু করার কথা ভাবতেই পারিনা। চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান হলো চুলের কন্ডিশনিং করা। কন্ডিশনিং ছাড়া চুল ভেঙ্গে যায়, চুলের ক্ষতি হয় এবং ফ্রিজও হয়ে যেতে পারে। চুলকে জটমুক্ত করতে কন্ডিশনারের জুড়ি নেই। কিন্তু কন্ডিশনার কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমরা জানি কী? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কন্ডিশনার কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
কন্ডিশনার কীভাবে কাজ করে
চুলের বাইরের স্তরে কিউটিকল (Cuticle) নামক সেবাম থাকে। এটি কেরাটিনের (Keratin) একটি প্রলেপ যা চুলকে ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে এবং পানি হ্রাস প্রতিরোধ করে। সারাদিন চুলে যে ঝলমলে ভাব থাকে তা এই কেরাটিনের বদৌলতে। আমরা যখন চুলে স্টাইলিং টুল ব্যবহার করি, চুলে রঙ করি, চুলে বিভিন্ন প্রোডাক্ট লাগাই অথবা শুয়ে থাকি, তখন ধীরে ধীরে এই সেবাম নষ্ট হয়ে যায় আর চুলের ক্ষতি শুরু হয়ে যায়। ঠিক এই সময়ই আমাদের বন্ধু কন্ডিশনারের দরকার হয়। আমরা যখন শ্যাম্পু করে চুলের সুরক্ষিত স্তরটি নষ্ট করি, তখন কন্ডিশনারের অনেক বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কন্ডিশনার তৈলাক্ত স্তরটিকে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখে এবং চুলকে রুক্ষতা থেকে বাঁচায়।
বেশিরভাগ কন্ডিশনারে অল্পকিছু কমন উপাদানের তৈরি তবে সবচেয়ে ভালো কাজ করে ক্যাটায়নিক সারফেক্টেন্ট (Cationic Surfactants) নামক উপাদানটি। প্রত্যেক ক্যাটায়নিক সারফেক্টেন্ট অণুর ধনাত্মক অংশ চুলের ঋণাত্মক চার্জের সাথে আবদ্ধ হয়। এই বন্ধনটি এতই শক্তিশালী যে সারফেক্টটেন্ট পুরোপুরি চুলকে ঘিরে ফেলে এবং স্তর সৃষ্টি করে। এই স্তর কিউটিকলকে ঢেকে রাখে ও সুরক্ষা দেয়।
কন্ডিশনারের অন্যান্য উপাদান ও তাদের কাজ
১. সিলিকন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার শুধুমাত্র চুলে সুরক্ষা দেয় না, চুলে একটি উজ্জ্বল ভাব এনে দেয় যাতে চুলকে ঝলমলে ও হেলদি লাগে।
২. কিছু কিছু উপাদান চুলের কিউটিকল ভেদ করে কর্টেক্সে (Cortex) পোঁছাতে পারে, যেমন প্যানথেনল (Panthenol ) শুধু যে তাৎক্ষনিকভাবে হেয়ার শ্যাফটগুলোর বন্ধন জোরালো করে না, এটি চুলের গভীরে পৌছে চুলের শক্তি বাড়ায়।
ভালো কন্ডিশনারে কোনো ডিটারজেন্ট (Detergent) থাকেনা। ডিটারজেন্ট চুলের উপর অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই কন্ডিশনার কেনার আগে এর উপাদানগুলোয় একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন।
সুত্রঃ ন্যাচারালিকার্লি.কম
ছবি – সংগৃহীত: মেরিফারগুসন, পিনটারেস্ট.কম