পারফেক্টলি মেকআপ করার জন্য বিভিন্ন রকম টুলস যেমন- ব্রাশ, বিউটি স্পঞ্জ ইত্যাদি আমরা সবাই ইউজ করি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এসব মেকআপ টুলস ক্লিন করার ব্যাপারে সেভাবে সচেতন নয়। যদি আপনারা রেগুলার বেসিসে এগুলো ক্লিন না করেন, তাহলে সেখান থেকে স্কিনে বিভিন্ন জার্মস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে। যা থেকে পরে অ্যালার্জি কিংবা ব্রণের মতো স্কিন কনসার্ন ক্রিয়েট হয়৷ তাই আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো মেকআপের অ্যাসেনশিয়াল টুলস ক্লিন করার সঠিক ও সহজ উপায় সম্পর্কে।
মেকআপের অ্যাসেনশিয়াল টুলস ক্লিনিং প্রসেস
অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কীভাবে মেকআপ ব্রাশ, বিউটি ব্লেন্ডার, আইল্যাশ কার্লার পরিষ্কার করতে হবে। চলুন এক এক করে জেনে নেই মেকআপ টুলস ক্লিন করার রাইট প্রসেস।
মেকআপ ব্রাশ
যেকোনো মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার জন্য মেকআপ ব্রাশ একদম ম্যান্ডেটরি। এই মেকআপ ব্রাশগুলো বিভিন্ন শেইপ ও সাইজের হয়। যেমন- ফেইস মেকআপের জন্য ফাউন্ডেশন ব্রাশ, কনসিলার ব্রাশ, কন্ট্যুর ব্রাশ, ব্লাশ ব্রাশ, হাইলাইটার ব্রাশ ইত্যাদি। একই সাথে আই মেকআপের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্রাশ। যেমন- আইব্রো ব্রাশ, ব্লেন্ডিং ব্রাশ, পেন্সিল ব্রাশ ইত্যাদি।
মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার পর এই ব্রাশগুলোতে কিন্তু মেকআপ রেসিডিউ লেগে থাকে। এই কারণে পরবর্তীতে এটা থেকে যেন স্কিনে ব্রেকআউটস না হয়, তাই এই ব্রাশগুলো সবসময় রাখতে হবে নিট অ্যান্ড ক্লিন। বিউটি এক্সপার্টদের মতে প্রতি মাসে অন্তত দু’বার মেকআপ ব্রাশ ক্লিন করা উচিত।
মেকআপ ব্রাশ ক্লেনজিং স্টেপস
১) মেকআপ ব্রাশ ক্লিন করার জন্য যেকোনো ভালো কোয়ালিটির ক্লেনজার অথবা কোনো মাইল্ড লিকুইড সোপ বেছে নিতে পারেন।
২) শুরুতেই যে ব্রাশটি ক্লিন করবেন সেটি হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। তারপর হাতের তালুতে অল্প একটু লিকুইড সোপ বা ক্লেনজার নিন।
৩) তারপর ব্রাশের ব্রিসলগুলো আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সাধারণত বেশিরভাগ মেকআপ ব্রাশই বেশ সফট হয়ে থাকে। এই কারণে খুব কেয়ারফুলি এগুলো ক্লিন করতে হবে যাতে ব্রাশের ব্রিসলস ভেঙে যাওয়ার চান্স না থাকে।
৪) কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ব্রাশটি ভালোমতো ধুয়ে নিন।
৫) ধোয়ার পর তোয়ালের সাহায্যে ব্রাশটি খুব সাবধানে মুছে নিন যেন এক্সট্রা পানিটুকু ঝরে যায়। ব্রাশটি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কিন্তু ব্যবহার করবেন না।
৬) এখন মেকআপ ব্রাশ ক্লেনজিং টুল কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো বেশ ইফেক্টিভ। সহজেই ক্লিন করা যায়, এক্সট্রা কোনো ঝামেলা নেই!
বিউটি স্পঞ্জ
ফাউন্ডেশন, কনসিলার, ক্রিম কন্ট্যুর কিংবা লিকুইড ব্লাশ ইত্যাদি ফেইসে স্মুথলি ব্লেন্ড করতে বিউটি স্পঞ্জের কোনো তুলনাই হয় না। আমাদের সবার কাছে অন্তত একটি হলেও বিউটি স্পঞ্জ রয়েছে, তাই না? যেহেতু এটি মেকআপের অ্যাসেনশিয়াল টুলস, তাই দীর্ঘদিন ধরে ইউজ করতে চাইলে কীভাবে এটি প্রোপারলি ক্লিন করা যায় তা জানা আবশ্যক। বিউটি স্পঞ্জ প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার অবশ্যই ক্লিন করতে হবে।
বিউটি স্পঞ্জ ক্লিন করার স্টেপস
১) প্রথমেই বিউটি স্পঞ্জ বা ব্লেন্ডার পানিতে ভালোমতো ভিজিয়ে নিন। এই কাজটি একটু সময় নিয়ে করতে হবে। কারণ স্পঞ্জ যদি ভালোমতো না ভেজে, তাহলে কিন্তু প্রোপারলি ক্লিন হবে না।
২) এবার স্পঞ্জের উপর মাইল্ড লিকুইড সোপ নিয়ে নিন। তারপর স্পঞ্জটি স্কুইজ করে কিংবা চাপ দিয়ে দিয়ে ক্লিন করতে থাকুন, যাতে সব মেকআপ রেসিডিউ স্পঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসে।
৩) চাইলে ওভেনে ২০ সেকেন্ড গরম করে নিন পানিসহ, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ক্লিন হয়ে যাবে। এবার স্পঞ্জটি নরমাল পানিতে ধুয়ে নিন এবং ভালোমতো শুকিয়ে নিন।
আইল্যাশ কার্লার
আমরা অনেকেই আইল্যাশ কার্লার ইউজ করে ল্যাশ কার্ল করতে পছন্দ করি। যেহেতু এই মেকআপ টুলটি সরাসরি আমাদের চোখের পাপড়িতে ইউজ করা হয়, তাই হাইজিন মেনটেইন করতে প্রতিমাসে অন্তত একবার এটি ক্লিন করতে হবে।
ল্যাশ কার্লার ক্লিন করবেন কীভাবে?
১) শুরুতে আইল্যাশ কার্লারটি পানিতে ভিজিয়ে নিন। আইল্যাশ কার্লার ক্লিন করার জন্য পানিতে লিকুইড সোপ বা লিকুইড গ্লাস ক্লিনার মিক্স করে নিন।
২) তারপর হাতের আঙুল কিংবা নরম ব্রাশের সাহায্যে কার্লারটি ক্লিন করে নিন। এবার পরিষ্কার কাপড় দিয়ে এটি মুছে নিতে হবে।
এভাবে আপনারা খুব ইজিলি নিজেদের প্রয়োজনীয় মেকআপ টুলস অল্প সময়ে ক্লিন করে নিতে পারবেন। আমি জানি, রেগুলার বিজি শিডিউলের মধ্যে এসব টুলস ক্লিন করতে বেশ আলসেমি লাগে। কিন্তু স্কিনের কথা ভেবে হলেও মেকআপের অ্যাসেনশিয়াল টুলস ক্লিন করুন, এতে কিন্তু আপনারই ভালো হবে!
শেষ কথা
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন। সেটি হলো খুব বেশি দিন কিন্তু এই টুলগুলো ইউজ করা যাবে না। যেমন- যদি কোনো ব্রাশের ব্রিসল খুলে পড়তে থাকে কিংবা বিউটি স্পঞ্জ ফেটে ফেটে যায়, তাহলে সেগুলো আর ব্যবহার না করে নতুন করে পারচেজ করুন।
বেস্ট কোয়ালিটির বিউটি টুলস ও মেকআপ প্রোডাক্টস রিজনেবল প্রাইসে পারচেজ করার জন্য ভিজিট করতে পারেন সাজগোজের অ্যাপ, ওয়েবসাইট কিংবা ফিজিক্যাল স্টোরে। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক