আপনি কি সবসময় ক্লান্ত অনুভব করেন? হজমজনিত সমস্যা, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া কিংবা ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়া—এই সমস্যাগুলোর অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার গাট হেলথ! তাই সুস্থ থাকতে ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে ট্রাই করুন বিট কেভাস। চলুন জেনে নেই বিট কেভাস কীভাবে বানানো যায়।
বিট কেভাস কী?
কেভাসকে প্রোবায়োটিক পানীয় বলা হয়। শুধু বিট নয়, বিটের তৈরি এই প্রোবায়োটিক পানীয় আপনাকে সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী। আমাদের কাছে এই পানীয় খুব বেশি পরিচিত নয়। কিন্তু ইউরোপীয়দের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। পূর্ব ইউরোপের মানুষ প্রথমে কেভাস পান করা শুরু করেছিল। তবে এখন বিশ্বব্যাপী মানুষ এটি পান করা শুরু করেছে এর গুণাগুণের কারণে।
বিট কেভাস হল ফারমেন্টেড এক ধরনের পানীয়, যা গাট হেলথের জন্য দারুণ উপকারী। এটি তৈরি হয় বিটরুট, পানি এবং সামান্য লবণ দিয়ে, যা কয়েকদিন রেখে ফারমেন্ট করানো হয়।
কেন খাবেন?
গাট হেলথ ভালো রাখে: এতে থাকে প্রচুর গুড ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিকস, যা হজমক্ষমতা বাড়ায় ও বদহজম দূর করে। কেভাস ও বিট প্রাকৃতিকভাবে গলব্লাডার পরিষ্কার করে।
ইমিউনিটি বুস্ট করে: বিটরুটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি, যা শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের সংমিশ্রণের কারণে কেভাস প্রাকৃতিকভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: এতে থাকা ডিটক্সিফাইং প্রোপার্টি শরীরের টক্সিন বের করে দিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে।
শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে: বিটরুটে রয়েছে নাইট্রেট, যা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরে শক্তি যোগায়।
হার্ট হেলথের জন্য দারুণ: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও হার্টকে সুস্থ রাখে।
কীভাবে বানাবেন?
- ২-৩টি বিটরুট ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন।
- একটি পরিষ্কার কাঁচের জারে নিন ও পানির সাথে মিশিয়ে দিন।
- সামান্য লবণ বা আদা যোগ করতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য।
- ৩-৪ দিন রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন ফারমেন্ট হওয়ার জন্য।
- হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পান করুন।
প্রতিদিন যেকোনো বেলায় খাওয়ার আগে এক কাপ কেভাস পান করতে হবে। এক মাস পান করার পরই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীর ও ত্বকের পজেটিভ চেঞ্জ! তবে যাদের কিডনির সমস্যায় আছেন, তাদের এই পানীয়টি এড়িয়ে চলতে হবে।
ছবি- সাটারস্টক
লেখা- তানিজা ইসলাম