শুঁটকির নাম শুনলে মুখে পানি আসে না এমন বাঙ্গালির সংখ্যা কমই আছে। আর বৈশাখে শুঁটকি খাওয়া হবে না, টা কি হয়? আমি তো বলবো, মোটেই না! শুঁটকির বড়াটা শুঁটকিরই একটু ভিন্নরকমের আইটেম। গ্রাম দেশে যেমন এর চল আছে, শহরেও অনেকেই খায়। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে ঝাল ঝাল শুঁটকির বড়া… উফফ, মানে ভাবাই যায় না। থাক! আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চটপট জেনে নেই রেসিপিটা।
উপকরণ
- মিষ্টি কুমড়া/লাউ পাতা- ১০ টা
- চ্যাপা শুঁটকি- ৫ টা
- শুকনা মরিচ- ৫ টা
- ধনে পাতা- ৩ টে.চা.
- রসুনের কোয়া- ৫ টা
- পেঁয়াজ কুঁচি- ১ কাপ
- সরিষার তেল
- লবণ
[picture]
প্রণালী
১. একটি বাটিতে পাতা নিয়ে তাতে এক চা.চা. লবণ দিয়ে মেখে ১০ মিঃ রেখে দিন। ১০ মিঃ পর দেখবেন পানি বের হয়েছে। পাতা চিপে পানি নিংড়ে পাতা খুলবেন এবং আরেকটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে পাতা গুলো ধুয়ে আবার চিপে রেখে দিবেন।
২. এবার আসি শুঁটকিতে। একটি ফ্রাইং প্যানে শুকনা মরিচ ও রসুনের কোয়া তেল ছাড়া ভেঁজে নিবেন। যেহেতু শুঁটকি, তাই একটু ঝাল না হলে মজা লাগবে না খেতে। মরিচটা আপনি কতটুকু ঝাল খেতে চান, সে অনুযায়ী নিবেন। ব্রাউন কালার এর দাগ চলে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৩. এবার আরেকটি প্যানে শুঁটকিগুলো অল্প আঁচে তেল ছাড়া ভেঁজে নিন।
৪. এবার ভাঁজা শুঁটকি, মরিচ ও রসুন পানি ছাড়া ব্লেন্ড করে নিন।
৫. ব্লেন্ডেড মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিয়ে তাতে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি ও লবণ দিন। হাত দিয়ে কচলে মেশান। এরপর ধনে পাতা দিয়ে ভাল করে মেশান।
৬. এবার একটা একটা করে পাতা নিয়ে পুরোটা খুলে মাঝে শুঁটকি দিয়ে চারপাশ থেকে কোণাগুলো টেনে এনে আলতো করে ভাঁজ করে ঢেকে দিতে হবে।
৭. এবার চুলায় একটি ফ্রাইং প্যানে সামান্য তেল ছড়িয়ে মাঝারি-মৃদু আঁচে ভাঁজ করা অংশটা নিচে দিয়ে বড়াগুলো ছাড়ুন। এতে ভাঁজ খুলবে না। আর তেল কিন্তু খুব অল্প হতে হবে। ধরেন ১/২ টে.চা. এর মত।
৮. ৫ মিঃ পর বড়াগুলো সাবধানে উলটে দিন যেন ভাঁজ না খুলে যায়।
৯. এবার চুলার আঁচ মৃদু করে ১০ মিঃ ঢেকে রাখুন। এতে পাতা সেদ্ধ হয়ে যাবে।
ব্যস! তৈরি হয়ে গেল মজাদার শুঁটকির বড়া।
লিখেছেন- আনিকা ফওজিয়া