মিষ্টিদই বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় ব্যপক জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন। আসুন শিখে নেই কিভাবে এটি তৈরি করা যায়।
উপকরণ:
- ১ লিটার ফার্মফ্রেশ দুধ
- মিষ্টি দই / টক দই – ২ টেবিল চামচ
- চিনি স্বাদঅনুযায়ী
- জাফরান /অরেঞ্জ ফুড কালার
প্রণালী :-
– ৩ টেবিল চামচ ঠাণ্ডা দুধ নিয়ে তাতে কালার মিশিয়ে নিন।
– দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ১/২ লিটার করুন ।
– এবার জ্বাল দেয়া দুধে অল্প অল্প করে কালার মিশান ।
– সব কালার এক সাথে ঢেলে দিবেন না ।
– দুধ ফুটতে থাকা অবস্থায় জ্বাল কমিয়ে কালার মিশাবেন।
– দুধ নামানোর সময় পরিমান মতো চিনি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন ।
– দুধ ঘন হওয়ার পর চিনি দিবেন তানাহলে বেশি মিষ্টি হয়ে যাবে ।
– আর দইয়ে বেশি চিনি দেয়া লাগে না ২-৩ চা চামচ দিলেই হয়ে যায় ।
– যেকোনো পাত্র ব্যাবহার করতে পারেন তবে মাটির পাত্রই ভাল হয় ।
– পাত্রের গায়ে ভাল করে দইয়ের সাচ/বীজ লাগিয়ে নিন ।
– দুধ কুসুম গরম থাকতে পাত্রে ঢেলে দিন ।
– এবার মাঝখানে এক চা-চামচ দই ঢেলে চেপ্টা কিছু দিয়ে ঢেকে দিন ।
– দুধ অবশ্যই কুসুম গরম থাকতে হবে।
– মোটা কোন কাপড় দিয়ে ভাল করে জড়িয়ে ওভেনে অথবা গরম স্থানে রাখুন ।
– ১০-১২ ঘন্টা পর দই জমাট বেধে যাবে ।
– এবার দই ১-২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন ।
টিপস :-
* নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোন ভাবেই দইয়ের পাত্র খুলবেন না তাহলে দই ঠিক ভাবে জমাট বাঁধবে না ।
* ভাল দই তৈরি করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে টাটকা ও ক্রিম যুক্ত দুধ নিতে হবে ।
* আরেকটি বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে দইয়ের সাচ/ বীজ যেন অবশ্যই ভাল হয় । বেশি দিনের পুরানো দইয়ের সাচ দিয়েও ভাল দই হবে না ।
* সবচেয়ে ভাল ছোট্ট দইয়ের কাপ কিনে টাটকা দই দিয়ে তৈরি করা হলে।
* আপনি যদি আরো দ্রুত দই জমাট বাধাতে চান তবে ওভেন অথবা রাইসকুকার ব্যাবহার করতে পারেন ।
পরিবেশন :-
লাচ্ছি ,রায়তা ,দই বড়া ,মেঙ্গো স্মুদি থেকে শুরু করে লাঞ্চের পর অথবা যেকোনো দই দিয়ে তৈরি খাবারে এই দই ব্যাবহার করতে পারেন
রেসিপিঃ Muhsina Tabassum
ছবিঃ Muhsina Tabassum