হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাচ্ছে? মাত্র ৩টি উপায়েই হবে সল্যুশন!

হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাচ্ছে? মাত্র ৩টি উপায়েই হবে সল্যুশন

1 (32)

খুব শখ করে চুলে পছন্দের কালার করার কিছুদিন পরেই যখন সেই কালার ফেইড হয়ে যেতে শুরু করে, তখন মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে যায়! শুধু তাই না, হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তখন চুলে কিন্তু আর আগের সেই শাইন থাকে না এবং চুল ড্যামেজ হয়ে যায়। তখন মনে হতে থাকে, “শখ করে চুলে কালার করে চুল নষ্ট করে ফেললাম নাকি?” আপনারও কি দিন দিন হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাচ্ছে? হেয়ার কালার লং টাইম ইনট্যাক্ট রাখার উপায় জানতে চান? যাদের কালারড হেয়ার বা ফিউচারে হেয়ার কালার করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আজ শেয়ার করবো কিছু ইফেক্টিভ টিপস! দেখে নিন তাহলে।

হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাচ্ছে! এখন উপায়?

কালার করার কিছুদিন পরই চুল ড্রাই, রাফ ও ফ্রিজি হয়ে যায় অনেকেরই। আচ্ছা, বলতে পারেন কেন এমন হয়? আমিই বলে দিচ্ছি! কালারড হেয়ার সঠিকভাবে মেনটেইন না করার কারণে! যখন চুলে কালার করা হয়, তখন কালার যেন ফেইড না হয় এবং লং টাইম একদম সেইম থাকে তা নিশ্চিত করতে কয়েকটা টিপস অবশ্যই ফলো করতে হবে।

হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাচ্ছে

১) সঠিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস ইউজ করুন

হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো সালফেট ফ্রি হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস যেমন- শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ইউজ না করা। সালফেটের কারণে হেয়ার কালারের মলিকিউলস চুলে না থেকে পানির সাথে বের হয়ে যায়। ফলে দেখা যায় হেয়ার কালার দ্রুত ফেইড হয়ে যাচ্ছে। অনেকে খরচের কথা চিন্তা করে সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিনতে চান না! কিন্তু যদি হেয়ার কালার লং টাইম ইনট্যাক্ট রাখতে চান, তাহলে সালফেট ফ্রি প্রোডাক্টস ব্যবহার করা একদম ম্যান্ডেটরি। হেয়ার কালার ইনট্যাক্ট রাখতে কালারের উপর ডিপেন্ড করে ব্লু ও পার্পেল শ্যাম্পু সপ্তাহে এক বা দুইদিন ইউজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে রেড, ব্রাউনিশের মতো কালারগুলো যেন ফেইড হয়ে অরেঞ্জ হয়ে না যায়, সেজন্যে ব্লু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। আর ব্লন্ড হেয়ার ইয়েলোয়িশ যেন না হয়, সেজন্যে পার্পেল শ্যাম্পু বেছে নিন।

২) ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করুন

চুলে প্রোপার হাইড্রেশনের অভাব? এমন সিচুয়েশনে ড্রাইনেসের মতো হেয়ার ড্যামেজের লক্ষণ দেখা দেয়, যা হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাই উইকে অন্তত একবার চুলে ভালো কোয়ালিটির হেয়ার মাস্ক অ্যাপ্লাই করুন, যেটা ডিপ কন্ডিশনিংয়ের মাধ্যমে আপনার চুলের হারিয়ে যাওয়া ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনবে আর আপনার হেয়ার কালার লম্বা সময় ধরে ইনট্যাক্ট রাখবে। ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক চুলের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত মানে হেয়ার লেন্থে অ্যাপ্লাই করে ১৫-২০ মিনিট পর ওয়াশ করে ফেলুন।

হেয়ার মাস্ক

৩) কেয়ারফুলি হিট স্টাইলিং টুলস ইউজ করুন

বিভিন্ন হেয়ারস্টাইল করতে ব্লো ড্রাইয়ার, হেয়ার স্ট্রেইটনার কিংবা কার্লার তো ইউজ করা হয়ই। কিন্তু হিট প্রোটেক্টিং স্প্রে বা সিরাম ইউজ না করে কালারড হেয়ারে এই টুলগুলো রেগুলার বেসিসে ইউজ করা ঠিক নয়। তাই যদি চান আপনার হেয়ার কালার ফেইড হয়ে না যাক, তাহলে এই টুলগুলো খুব কেয়ারফুলি ইউজ করতে হবে। যেমন- কম হিটে চুল স্ট্রেইট বা কার্ল করা, হিট প্রোটেক্টিং স্প্রে বা সিরাম ইউজ করা ইত্যাদি।

SHOP AT SHAJGOJ

     

    দেখলেন তো, মাত্র ৩টি টিপস ফলো করলেই কিন্তু হেয়ার কালার ফেইড হওয়া আপনি নিজেই প্রিভেন্ট করতে পারবেন। কেমিক্যাল ট্রিটেড হেয়ারের জন্য এখন মার্কেটে কনসার্ন অনুযায়ী ডিফারেন্ট শ্যাম্পু পাওয়া যায়। হেয়ার বেশি ড্রাই ও ফ্রিজি হয়ে গেলে সেগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন, কারণ এগুলো চুলের জন্য খুবই মাইল্ড হয়ে থাকে। রেগুলার ইউজ করলেও চুল রাফ বা ড্রাই হবে না।

    কোন ভুলগুলোর কারণে চুলের রঙ নষ্ট হয়ে যায়?

    হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যায় কেন

    কিছু হেয়ার কেয়ার মিসটেকস এর কারণে চুলের রঙ ফেইড হয়ে যায় আর চুল হয়ে যায় সুপার ড্রাই! হেয়ার কালার ইনট্যাক্ট রাখতে যে কাজগুলো মোটেও করা যাবে না, সেগুলো দেখে নিন এখন।

    চুল ওভারওয়াশ করা

    যদি আপনি প্রতিদিন চুলে হার্শ ইনগ্রেডিয়েন্টযুক্ত শ্যাম্পু ইউজ করেন, তাহলে হেয়ার কালার ফেইড হয়ে যাওয়ার পসিবিলিটি অনেক বেশি থাকে। ওয়াশ করার সময় চুল স্বাভাবিকভাবেই পানি অ্যাবজর্ব করে। এর ফলে চুল শুকানোর সাথে সাথে চুলের কালারও হালকা হতে শুরু করে। তাই মাইল্ড শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে যা আপনার চুলকে ড্যামেজ করবে না। যদি ইমার্জেন্সি হয় বা শাওয়ার নেওয়া পসিবল না হয়, তাহলে ড্রাই শ্যাম্পু ইউজ করতে পারেন।

    গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া   

    গরম পানি কালারড হেয়ারের সবচেয়ে বড় শত্রু। দ্রুত হেয়ার কালার ফেইড হওয়ার একটা কারণ হচ্ছে সরাসরি গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া। আমাদের চুলের উপরের কিউটিকল মূলত হেয়ার কালার হোল্ড করে রাখে। গরম পানির কারণে হেয়ার কিউটিকল থেকে কালার পানির সাথে ধুয়ে যেতে শুরু করে। তাই চুলে কালার করা থাকলে খুব বেশি গরম পানি দিয়ে হেয়ার ওয়াশ না করাই বেটার। চুল ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

    কালার চুলের যত্ন

    সানলাইটে বেশিক্ষণ থাকা 

    সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর কারণে আমাদের চুলের কালারের কেমিক্যাল বন্ড ভেঙে যায়, এর ফলে কালার ফেইডিং নজরে আসে। তাই খুব প্রয়োজন না হলে বেশিক্ষণ সানলাইটের নিচে থাকবেন না। কড়া রোদে ক্যাপ কিংবা হেয়ার স্কার্ফ ইউজ করতে পারেন। তবে সকালের মৃদু রোদে কিছুক্ষণ থাকতে পারেন, এতে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হয়।

    এটুকুই ছিলো আজকের আলোচনা। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে কালার করা চুলের যত্ন নিতে হবে৷ এগুলো ফলো করলে হেয়ার কালার থাকবে ইনট্যাক্ট আর চুল হয়ে উঠবে শাইনি! হেয়ার কালার ফেইড হওয়া নিয়ে আর চিন্তা নেই। এখন মার্কেটে কালারড হেয়ারের জন্য স্পেশাল শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার মাস্ক সবই পাওয়া যায়।

    SHOP AT SHAJGOJ

       

      চুল হেলদি ও শাইনি রাখতে চুজ করতে হবে রাইট হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস। ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্টসে আপনি ইনভেস্ট করলে সেটা বৃথা যাবে না! সাজগোজে বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার মাস্ক কিংবা সিরামের হিউজ কালেকশন অ্যাভেইলেবল। তাই ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ কিংবা আউটলেটে। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

      ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক

      2 I like it
      0 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort