এই গরমে ত্বক কখনও টানটান হয়ে যাচ্ছে আবার কখনও তেলতেলে। এমন আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই এই সময়ের জন্য উপযোগী একটি ফেসিয়াল-এর কথা বলবো আজ। যার ফলে এই বিরূপ আবহাওয়াতেও আপনার ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল। এই ফেসিয়াল (Facial) আপনার রাতের রূপচর্চার রুটিন-এর অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। বরফ ত্বকের ব্লাড ফ্লো (Blood flow) বাড়িয়ে দেয় কয়েক’শ গুণ আর মলিন লুক-এর বদলে আপনার ত্বকে ছড়িয়ে দেয় গোলাপি আভা। এই ফেসিয়াল-এর উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। ত্বকের রন্ধ্রের সাইজ ছোট করে, ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনে, ত্বকের চুলকানি ও ফোলা ভাব কমায়, চোখের নীচের কালো দাগও দূর করে। তো, চলুন দেখে নেই কিভাবে করতে হয় আইস কিউব ফেসিয়াল!
আইস কিউব ফেসিয়াল করার পদ্ধতি
প্রথম ধাপ -আইস কিউব ফেসিয়াল
এই ফেসিয়াল আপনি দুইটি পদ্ধতিতে করতে পারেন
১ম পদ্ধতি – শুধু পানির আইস কিউব
আপনি শুধুমাত্র বরফের কিউব ব্যবহার করে ফেসিয়াল-টি করতে পারেন। আইস কিউব ট্রে-তে পানি দিয়ে তা ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখতে হবে বরফ সরাসরি মুখে ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার পাতলা কাপড়ের মধ্যে দিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
আইস কিউব বানানোর পদ্ধতি
উপকরণ
- শুধু পানি– পরিমাণমতো
- আইস কিউব ট্রে- ১ টি
প্রস্তুত প্রণালী
১. একটি আইস কিউব ট্রে-তে পরিষ্কার পানি ঢেলে ফ্রিজে রেখে জমিয়ে তা মুখে ব্যবহার করতে পারি।
২য় পদ্ধতি – শসা এবং গোলাপ জলের আইস কিউব
শুধু বরফ ছাড়াও বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। বরফের সাথে শসা এবং গোলাপ জলের মত উপকারি উপাদান নিতে পারেন। এই ফেসিয়াল-এর উপাদানগুলো সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
শসা এবং গোলাপজল দিয়ে আইস কিউব তৈরির পদ্ধতি
উপকরণ
- শসা- ২টি
- গোলাপজল- ১ বোতল
- আইস কিউব ট্রে- ১ টি
প্রস্তুত প্রণালী
১. খোসা ছাড়িয়ে শসা ছোট ছোট টুকরো করে নিন।
২. একটি পাত্রে সমান পরিমাণে শসা ও গোলাপ জল নিবেন। কিন্তু সমান সমান হতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
৩. কয়েক মিনিটের জন্য উপকরণ গুলো সেদ্ধ করুন। তারপর ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য মিশ্রণটি রেখে দিন।
৪. ঠাণ্ডা হলে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। তারপর গোলাপজল এবং শসার জুস আইস কিউব ট্রে-তে ঢেলে ফ্রিজে রেখে জমতে দিন।
প্রত্যেক রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে একটি আইস কিউব সার্কুলার মোশন-এ পুরো মুখে ঘষবেন ততক্ষণ, যতক্ষণ পর্যন্ত না বরফটি গলে যায়। আপনি চাইলে আরো অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারেন আইস কিউব-এর সাথে যেমন কমলার রস, লেবুর রস ইত্যাদি। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার স্কিন-এ সেটি স্যুট করে কিনা।
দ্বিতীয় ধাপ- ময়েশ্চারাইজিং
উপকরণ
- জন্সন বেবি লোশন- ১ বোতল
- গরম পানি- পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালী
(১) ফেসিয়াল শুরু করার আগে একটি বড় গামলা বা সিঙ্ক-এ গরম পানি ভর্তি করে ফেলুন।
(২) তারপর লোশন-এর বোতলের মুখ খুব ভালো করে আটকে নেবেন, যেন এর ভেতর কোন পানি না ঢুকতে পারে।
(৩) গামলা বা সিঙ্ক-এ গরম পানির ভেতর বোতলটি দিয়ে দিন যেন বোতলে থাকা লোশন উষ্ণ গরম হয়ে যায়।
(৪) আইস কিউব ফেসিয়াল করার পর গরম পানির নীচ থেকে লোশন-এর বোতল বের করে পুরো মুখে হালকা ম্যাসাজ (Massage) করে লোশন লাগিয়ে নিন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিয়মিত ব্যবহারকৃত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
আইস কিউব ফেসিয়াল করার জন্য বয়সের কোন ভেদাভেদ নেই। তবে যদি আপনার অ্যাজমা (Asthma) সমস্যা থেকে থাকে বা ঠান্ডাতে অ্যালার্জি (Allergy) থেকে থাকে অবশ্যই এই ফেসিয়াল পরিহার করবেন।
ছবি- সংগৃহীত: টাইমসঅফইন্ডিয়া.কম