ঝকঝকে সুন্দর ত্বক পেতে কার না ইচ্ছা করে! কিন্তু অধিকাংশ সময় ব্যস্ততার মাঝে নিজের যত্নের সময় হয়ে উঠে না। ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকলে ব্রণ, র্যাশ এগুলো কমে যায়। আমাদের সবারই উচিত একটু সময় করে নিজের যত্ন নেওয়ার। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে খুব কম সময়ে ঘরে বসে ঝটপট স্কিনকেয়ার করেই ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। এটা স্কিনকে রাখবে ফ্রেশ এবং আপনাকে আরো বেশি কনফিডেন্ট ফিল করাবে। তাহলে দেরি না করে জেনে নেই চলুন।
ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পেতে ৫টি ধাপে ঝটপট স্কিনকেয়ার
চলুন জেনে নেয়া যাক ৬ টি ধাপ সম্পর্কে!
১) অয়েল ক্লেনজিং
আমরা রোজ বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন, মেকআপ প্রোডাক্টস ব্যবহার করি। এছাড়া বাইরের ধুলো বালির সাথে ত্বক থেকে বের হওয়া সিবামে স্কিনটা অনেক বেশি ময়লা হয়ে যায়, যা শুধু ফেইসওয়াশ ভালোভাবে ক্লিন করতে পারে না। তাই আমাদের স্কিনের জন্য অয়েল ক্লেনজিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ। স্কিন টাইপ অনুযায়ী যেকোনো ভালো একটা ব্র্যান্ডের অয়েল ক্লিনজার আমাদের বেছে নিতে হবে। প্রথমে হাতটা ক্লিন করে শুকনো করে নিন, এবার পরিমানমতো ক্লিনজার নিয়ে পুরো মুখে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে আমাদের স্কিনের ভেতর থেকে অয়েল বেইজড সব ইমপিউরিটিস, ময়লা বের হয়ে আসবে এবং পোরস ক্লগড হওয়ার চান্স থাকবে না।
২) জেল বা ফোম ক্লেনজিং
ফোম ক্লিনজার মূলত ওয়াটার বেজড হয়ে থাকে যেটা ত্বকের সকল ধুলো ময়লা নিমিষেই দূর করে দেয়। এছাড়া ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরন কমিয়ে ত্বককে করে তোলে ঝকঝকে। তাই যাদের ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত, তাদের জন্য ফোম ক্লিনজার অত্যন্ত উপকারী। অয়েল ক্লেনজিং এর পর জেল বা ফোম বেইজড ক্লিনজার দিয়ে ২/৩ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। খুব বেশি জোরে ম্যাসাজ করবেন না, সার্কুলার মোশনে আলতোহাতে ম্যাসাজ করবেন। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করার টুলও ইউজ করতে পারেন ফেইস ক্লিন করার সময়।
৩) স্ক্রাবিং
আমাদের স্কিনে ডেড স্কিনসেলস তৈরি হয় প্রাকৃতিকভাবে, যা আমাদের স্কিনের ন্যাচারাল গ্লো কমিয়ে দেয়। তাই এক্সফোলিয়েটরের গুরুত্ব অনেক বেশি। বাড়িতে আমরা চালের গুড়া, বেসন দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব বানিয়ে ইউজ করতে পারি অথবা স্কিন টাইপ এর সাথে মিলিয়ে যেকোনো ভালো ব্র্যান্ডের স্ক্রাব নিতে পারি। তবে বলে রাখা ভালো, ফেইসে পিম্পলস থাকলে স্ক্রাবিং করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ক্যামিকেল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করতে পারেন। নরমালি ৩/৪ মিনিট খুব হালকা হাতে দানাদার স্ক্রাব দিয়ে স্কিন এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
৪) টোনার বা রোজ ওয়াটার স্প্রে
স্কিন কেয়ারে টোনারকে কোনোভাবেই ইগনোর করা যায় না। ত্বক ভালোভাবে ক্লিন করার পর টোনার ইউজ করলে আমাদের স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে, ত্বকের টেক্সচার ভালো থাকে, স্কিন হাইড্রেটেড থাকে। টোনার হিসেবে আমরা রোজ ওয়াটার স্প্রে করতে পারি। এছাড়া এখন বিভিন্নরকম টোনার পাওয়া যায়। ব্রণ থাকলে টি ট্রি বা গ্রিন টি যুক্ত টোনার ইউজ করতে পারেন, ব্রাইটনেস চাইলে ফ্রুট বা ন্যাচারাল এক্সট্রাক্ট যুক্ত টোনার ভালো হবে। তবে অ্যালকোহল যুক্ত, ক্ষতিকর ক্যামিকেল আছে এমন প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলবেন।
৫) ব্রাইটেনিং মাস্ক
স্কিন ভালোভাবে ক্লিনিং ও টোনিং শেষে এবার একটা ব্রাইটেনিং মাস্ক ইউজ করতে হবে। সপ্তাহে ২/৩ দিন ফেইস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরা স্কিন ক্যাফের ব্রাইটেনিং মাস্কের সাথে টকদই আর অ্যলোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারি। টকদই আমাদের স্কিন নারিশমেন্ট করতে হেল্প করে। আর অ্যালোভেরা আমাদের স্কিনকে সফট ও গ্লোয়িং করে, সেই সাথে বয়সের ছাপ কমায়। ফেইসমাস্ক লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। সর্বশেষ ধাপ হিসেবে আপনার রেগুলার ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন। আর দিনের বেলা হলে সানস্ক্রিন ইউজ করা কিন্তু মাস্ট!
এভাবে একটু যত্ন নিলেই কিন্তু ঘরে বসে আপনি ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। ডিপ ক্লিনিংয়ের জন্য স্কিন অনেক বেশি প্রাণবন্ত দেখায়। মুখে জমা থাকা ময়লা থেকেই কিন্তু বিভিন্ন রকম প্রবলেম দেখা দেয়। স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের জন্য অথেক্টিক প্রোডাক্ট আপনারা চাইলে সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত, সেখান থেকে কিনতে পারেন আর অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।
ছবি- সাজগোজ
লিখেছেন- সঙ্গীতা রাত্রি