অফিস বা ইউনিভার্সিটি যেতে লেট? হুটহাট দাওয়াত? ইনস্ট্যান্ট ব্রাইট স্কিন তো মাস্ট! হাতে অল্প সময় থাকলে সবাই চটজলদি রেডি হতে চায়, কারণ ঘণ্টা ধরে মেকআপ করার সময় কোথায়? সবাই চায় একটা ব্রাইট ফ্রেশ লুক যেটা অল্প সময়েই করা যাবে। এই লুক পেতে যে অনেকগুলো প্রোডাক্ট ইউজ করা লাগে, এমনটি কিন্তু নয়! এটা ঠিক যে, হালকা, মার্জিত ও স্নিগ্ধ মেকআপেই কিন্তু মেয়েরা এখন বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর এখনকার ট্রেন্ডই কিন্তু এমন, মনেই হবে না যে মুখে কিছু লাগিয়েছেন। যাদের রেগ্যুলার বাইরে যেতে হয়, তাদের আসলে এমন কিছু স্টেপ ফলো করা উচিত কিংবা এমন প্রোডাক্টস ড্রেসিং টেবিলে বা ব্যাগে রাখা উচিত যাতে ঝটপট রেডি হওয়া যায়। কিন্তু কিভাবে ইনস্ট্যান্ট ব্রাইট লুক পাবেন, চলুন দেরি না করে জেনে নেই তাহলে।
ইনস্ট্যান্ট ব্রাইট লুক পাওয়ার স্টেপগুলো জেনে নিন
অফিস থেকে ফিরেই হয়তো একটা দাওয়াত বা ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস পার্টি কিংবা অনেকে রেগ্যুলার বেসিসে হালকা মেকওভার করেন। কিভাবে চটজলদি নো ফাউন্ডেশন ব্রাইট লুক ক্রিয়েট করা যায়, সেই স্টেপগুলো জেনে রাখা জরুরী। সিম্পল ও ইজি ওয়েতে উজ্জ্বল ও ফ্রেশ লুক পাবার জন্য অবশ্যই বেসিক স্কিন কেয়ার করতে হবে। আপনার ত্বক যদি ময়েশ্চারাইজড ও হেলদি থাকে তাহলে যেকোনো লুকেই আপনাকে স্নিগ্ধ লাগবে।
১) ক্লেনজিং ও এক্সফলিয়েটিং
প্রথমেই ফেইস ভালোভাবে ক্লিন করে নিতে হবে। স্কিনে ময়লা, ঘাম, ডেড সেল থাকলে দেখতে একদমই ফ্রেশ লাগে না। আপনার রেগ্যুলার ফেইসওয়াশ বা ফোম ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। এবার মাইল্ড এক্সফলিয়েটর দিয়ে স্ক্রাব করে নিন।
২) নো ফাউন্ডেশন ব্রাইট লুক
ভারী মেকআপ ছাড়া ইনস্ট্যান্ট ব্রাইট লুক আমরা সবাই পছন্দ করি। এমন একটি ক্রিম যদি হাতের কাছে পাই, যেটা মেকআপের মতোই ফিনিশিং দেবে, তাহলে কেমন হয়? নিউ পন্ডস ইন্সটাব্রাইট টোন আপ মিল্ক ক্রিম আপনার জন্য একদম পারফেক্ট চয়েজ। এটা এতো লাইট ফর্মুলার যে মুখে সুন্দরভাবে বসে যায়। আর সাথে সাথে ব্রাইট ও স্মুথ লুক দেয়। একটা ক্রিম থেকেই অনেক বেনিফিট পাবেন।
অনেকে আবার ফেয়ারনেস ক্রিমের কোয়ালিটি নিয়ে দ্বিধায় থাকে। অনেকেই জানেন যে বাজারে যেসব পাকিস্তানি ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায়, সেগুলো কতটা ক্ষতিকর! ওসব ক্রিমে সাধারণত মার্কারি সহ কিছু হার্মফুল উপাদান থাকে যেগুলোতে চামড়া পাতলা করে ফেলে কিন্তু সাময়িকভাবে স্কিন ফর্সা লাগে। সেইফ ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে স্কিনের যত্ন নিতে হবে। আপনি নির্ভয়ে নিউ পন্ডস ইন্সটাব্রাইট টোন আপ মিল্ক ক্রিম ইউজ করতে পারেন। স্কিনের জন্য বেনিফিসিয়াল উপাদান দিয়েই এটি ফর্মুলেটেড, কিন্তু কি আছে এই ক্রিমে জানতে ইচ্ছা করছে নিশ্চয়!
কি আছে নতুন এই ক্রিমে?
এতে আছে ভিটামিন বি ৩ এর পুষ্টি ও মিল্ক প্রোটিন এসেন্স যেটা ত্বকের কোষগুলোকে ভেতর থেকে সতেজ করে, ত্বকের রঙকে ইভেন করে আর ইনস্ট্যান্ট গ্লোয়িং ফিনিশিং দেয়। চটজলদি নো মেকআপ ব্রাইট লুকের জন্য এর থেকে ভালো অপশন আর কি হতে পারে! সব রকম স্কিনে দারুণ মানিয়ে যায় এটি।
৩) সেটিং পাউডার বা কমপ্যাক্ট দিয়ে সেট করুন
আপনার ত্বক যদি নরমাল টু ড্রাই হয়, তাহলে কিন্তু এক্সট্রা পাউডার লাগানোর কোনো প্রয়োজন নেই। যদি অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে বা তেলতেলে স্কিন হয়, তাহলে আপনার পছন্দমতো সেটিং পাউডার বা কমপ্যাক্ট দিয়ে সেট করে নিবেন। টোন আপ ক্রিম এমনিতেও ইভেন টোন ও ম্যাট ফিনিশিং দেয়, তাই এই ধাপটা স্কিপ করতেও পারেন।
৪) চোখ ও ঠোঁটের সিম্পল সাজ
এবার লোয়ার ল্যাশ লাইনে আপনার পছন্দমতো ন্যুড বা ব্ল্যাক কাজল দিয়ে নিন। অনেকে রেগ্যুলার বাইরে যাওয়ার সময় শুধু আইলাইনার দিতে পছন্দ করে। এই সেইম বেজ নিয়ে কোনো পার্টিতে যেতে হলে একটা স্মোকি বা ড্রামাটিক আইলুক করতে পারেন। আর মাস্কারা দিয়ে নিলেই আই মেকআপ কমপ্লিট। আর ঠোঁটে আপনার পছন্দের টিন্টেড লিপবাম বা ম্যাট লিপস্টিক লাগিয়ে লুকটি সম্পূর্ণ করুন।
ব্যস, চটজলদি উজ্জ্বল ত্বক পেতে কি ব্যবহার করতে পারেন সেটা জেনে নিলেন। সঠিক মাত্রার ময়েশ্চারাইজড ও হাইড্রেটেড ত্বক সবসময়ই গ্ল্যামারাস লাগে। সুন্দর ও ব্রাইট লুকের জন্য রেগ্যুলার বেসিসে টোন আপ ক্রিম ব্যবহার করা যেতেই পারে। ক্লেনজিং করার পর হাতে সময় থাকলে রেডিমেড মাস্ক বা ফেইস প্যাক লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলে, নো মেকআপ ব্রাইট লুকের সিক্রেট এখন আপনারও জানা হয়ে গেলো!
আপনি চাইলে অনলাইনে অথেনটিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে। তাছাড়া, সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপে নিজে গিয়েও কিনতে পারেন, যা যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত।
ছবি- সাজগোজ, ইমেজেসবাজার