কালো ? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ… কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ও কালো মেয়ের কালো চোখ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বাঙালি সাজের অন্যতম অনুসঙ্গ কাজল। যুগ যুগ ধরে চোখের সাজে কাজলের ব্যবহার হয়ে আসছে। কাজল সব বয়সী সাজে মানান সই। রাতে কিংবা দিনের অনুষ্ঠানে,হালকা অথবা জমকালো সাজের মাঝে চোখ দুটিকে মোহনীয় করে তুলতে কাজলের বিকল্প পাওয়া ভার। আর তাই কাজল আজকাল আইশ্যাডো,আইলাইনারের পরিবর্তে ও ব্যবহৃত হচ্ছে।
চোখের আকার বুঝে কাজল লাগাতে হবে। আকার ছোটো হলে নাকের পাশ থেকে একটু জায়গা ছেড়ে তারপর কাজল দিতে হবে।চোখের বাইরের দিকে ওপরের অংশে একটু টেনে কাজল পড়লে চোখ বড় দেখায়। বড় চোখের ক্ষেত্রে ওপরে নিচে অথবা টেনে কাজল দেয়া যায়। তাতে চোখ আর ও বড় লাগবে।অনেকের কাজল লাগানোর পর তা ছড়িয়ে যায়। তাই কাজল দেয়ার আগে চোখের নিচে একটু পাউডার লাগিয়ে নিতে পারেন। কাজল দেয়া হতে গেলে বাড়তি পাউডার ঝেড়ে ফেলুন। এরপর নিজের আঙ্গুল দিয়ে কাজল একটু ঘসে নিতে পারেন। তাতে আর ছড়িয়ে পরার ভয় থাকবে না।
[picture]
কালো রঙের পাশাপাশি আজকাল বাজারে বিভিন্ন রঙ ও শেডের কাজল পাওয়া যায়। রুচি, বয়স ও পোশাকের সাথে মিলিয়ে তা ব্যবহার করলে সাজে বৈচিত্র্য আনে। দিনের বেলায় কালো রঙের পাশাপাশি বাদামি রঙের কাজল ব্যবহার করা যেতে পারে। রাতে পোশাকের সাথে মিলিয়ে যে কোনো গাঢ় রঙ যেমন নীল,সবুজ অথবা বিভিন্ন গ্লিটার দেয়া শেডের কাজল দেয়া যেতে পারে।ভ্রূর ক্ষেত্রে কাজল ব্যবহার না করে, বাদামি ভ্রূ পেনসিল বা বাদামি আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।
বাজারে ভিন্ন ভিন্ন ব্র্যান্ডের ও ভিন্ন ভিন্ন দামের পেনসিল অথবা লিকুইড কাজল পাওয়া যায়। হঠাৎ নতুন কোনো ব্র্যান্ডের কাজল ব্যবহার করলে র্যাশ বা জ্বলুনি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিলে উপকার পাওয়া ।আপনার চোখ ও মন বুঝে একেক ধরনের নিতে পারেন একেক সাজ। কখনো চিকন, কখনো টেনে কাজল দিয়ে আপনি হয়ে উঠতে পারেন দৃষ্টিনন্দিত।
লিখেছেনঃ বৈশাখী