আমাদের শোবার ঘর, বসার ঘর বা খাবার ঘর সব কিছুই আমরা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখি। শুধু রান্না ঘরই থেকে যায় এলোমেলো অগোছালো। অথচ একটু ভেবে দেখুন কর্মজীবী কিংবা গৃহিণী নারী মাত্রই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। আর একটি অগোছালো জায়গায় আপনি কতক্ষণ স্বতঃস্ফূর্ত থাকতে পারবেন। একটি সুন্দর পরিবেশই পারে মানুষের মনকে সজীব রাখতে। আপনি যদি সতেজ থাকেন তাহলেই তো সুস্থ ও সুন্দর থাকবে আপনার প্রিয়জন, সন্তান এবং সর্বোপরি আপনার গোটা পরিবার। তাই আমার মনে হয়, একটি বাসার রান্নাঘর সুন্দর ও গুছানো রাখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। আমি আমার real life experience থেকে পাওয়া কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আপনার রান্নাঘর এ যদি কেবিনেট থাকে তাহলে বাহির থেকে দেখে গোছালো মনে হলেও কেবিনেট খুললেই দেখা যায় প্রয়োজনীয় জিনিস, মশলার পাত্র সব এলোমেলো হয়ে আছে। এই জিনিসগুলো গুছানো না থাকলে তাড়াহুড়োর সময় কাজ করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। আর তাছাড়া আমাদের দেশে high-priced apartment ছাড়া সাধারণ মধ্যম মানের ফ্ল্যাটগুলোতে কিচেন কেবিনেট থাকেও না। সেক্ষেত্রে সমস্যাটা হয় আরও গুরুতর।
রান্নাঘর গুছিয়ে রাখার জন্য আপনি প্রথমেই যেটি করতে পারেন সেটি হল বেশ কিছু প্লাস্টিক ও কাঁচের পট কিনা। চাল, ডাল, বিস্কিট, মুড়ি, অন্যান্য শুকনো খাবার, বিভিন্ন ধরণের মশলা ইত্যাদির জন্য আপনার প্রয়োজন বুঝে বিভিন্ন মাপের পট কিনে খাবার সংরক্ষন করে রাখুন। যদি আপনার বাসায় আগের ব্যাবহার করা দেখতে সুন্দর পাত্র থাকে আপনি সেগুলো ও কাজে লাগাতে পারেন। তবে বাহির থেকে দেখে বোঝা যায় এমন পাত্রে প্রয়োজনীয় জিনিস সংরক্ষন করলে আপনার কোন জিনিস খুঁজে পেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এতে করে কাজ অনেক দ্রুত হয়।
হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা ইত্যাদি সব ধরনের মশলার পটগুলো এক জায়গায় গুছিয়ে রাখুন। এতে রান্না করার সময় কোন কিছু খুঁজে পেতে অসুবিধা হবে না।
কিচেন এ আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ১ টি বা ২ টি কিচেন হ্যাঙ্গার লাগিয়ে নিন। এতে ফ্রাই- প্যান, তাওয়া, ছাকুনি, ছুরি, মগ ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখুন। এতে আপনার কাজ করতে ও যেমন সুবিধা হবে তেমনি আপনার রান্নাঘরটি ও দেখতে অনেক পরিপাটি লাগবে।
আপনার রান্নাঘরকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি লুক দিতে পারে কিচেনের সিঙ্ক এর পাশে hand wash একটি সুন্দর বোতল। এর ফলে আপনি যেমন থাকবেন রোগ জীবাণু থেকে সুরক্ষিত তেমনি ফুটে উঠবে আপনার সুন্দর রুচি।
রান্নাঘরের এক কোণে লাগিয়ে নিন একটি বা দুটি সেলফ। আর তাতে রাখুন আপনার পছন্দের কোন গাছ কিংবা এক গুচ্ছ ফুল অথবা একটি শো-পিছ। আর একটু নান্দনিকতা যোগ করতে চাইলে রান্নাঘরের ওয়াল এ লাগিয়ে দিন সুন্দর কোন painting। এবার দেখুন আপনার সেই চিরাচরিত রান্নাঘরটিকে আপনিই চিনতে পারছেন না।
এবার আর কি! এখন শুধু অপেক্ষা করুন আপনার কোন বান্ধবী কিংবা অফিস কলিগ বেড়াতে এসে আপনার রান্নাঘরটি দেখে কি বলে।
লিখেছেন – রিভা খান
ছবি – সাটারস্টক