আজকের রিভিউ-এর টপিক, আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ক্রিম যেই রেঞ্জ-এ আয়ুষের আরও একটা প্রোডাক্ট আছে, স্যাফ্রন ফেইস ওয়াশ। সেটা ছিল আমার লেখা সাজগোজে ফার্স্ট রিভিউ। জানি না কেমন হয়েছিল! কিন্তু বেশি চিন্তা না করে সাহস করে ক্রিমটারও রিভিউ লিখে ফেললাম।
ক্রিমটা ফেইস ওয়াশ-এর সাথেই কেনা ছিল। তাই প্রায় ১ মাস ১৩-১৪ দিনের মতো ডেইলি ইউজ করেছি অলরেডি। বাট আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ক্রিম কেমন লাগলো আমার বলার আগে রিলেটেড সব ইনফরমেশন দিয়ে দেই।
আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ক্রিম – দাম?
লিভার আয়ুষ ন্যাচারাল ফেয়ারনেস স্যাফ্রন ফেইস ক্রিম (Lever Ayush Natural Fairness Saffron Face Cream) ৫০ গ্রাম টিউবের দাম পড়েছে ১৫০/- টাকা।
প্রোডাক্ট ক্লেইম
খেয়াল করলাম ফেইস ওয়াশ-এর রিভিউ-টায় আয়ুষের কনসেপ্ট নিয়ে তেমন কিছু লিখি নি… এবার লিখব।
আয়ুষের প্রোডাক্টগুলোর কনসেপ্ট এসেছে ৫০০০ বছর আগের আয়ুর্ভেদিক জ্ঞান থেকে। সেই প্রাচীন রেসিপিতে দেখা গেছে স্কিনের ব্রাইটনেস বাড়াতে, দাগছোপ কমাতে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে জাফরান বা স্যাফ্রন নির্যাস আর কুমকুমাদি তেল।
আয়ুষ স্যাফ্রন নির্যাস আর কুমকুমাদি তেল ইউজ করেছে এখানে।
প্যাকেজিং
ক্রিমটা অস্বচ্ছ টিউবে আসে। এটাই ভালো। জারের মধ্যে যেসব ক্রিম পাওয়া যায় ওগুলো বারবার হাত দিয়ে তুলতে হয় বলে খুবই আনহাইজেনিক হয়। তাই টিউব প্যাকেজিং বেস্ট! ক্যারি করা ইজি। এটার মুখটা স্ক্রু ক্যাপ সিস্টেমের।
আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ক্রিম ইউজ কিভাবে করব?
প্রথমে স্কিন ফেইস ওয়াশ দিয়ে ক্লিন করে নিন (আয়ুষের ২টি আয়ুর্ভেদিক ফেইস ওয়াশ রয়েছে)। এরপর একদম খরখরে হয়ে শুকিয়ে যাবার আগেই ডট করে সারা ফেইসে ক্রিমটা লাগিয়ে নিন। এবার আলতো হাতে ম্যাসাজ করলেই ব্যস… হয়ে গেল!
অবশ্য, আমি টোনার ইউজ করি। তাই আমি আগে টোনার দিয়ে ৩০-৪০ সেকেন্ড ওয়েট করে এই ক্রিমটা উপরের পদ্ধতিতে লাগাই।
আয়ুষ স্যাফ্রন ফেইস ক্রিম নিয়ে আমার যতো কথা
প্রথমেই আমি যেটা নোটিশ করলাম সেটা হল, ক্রিমটার টেক্সচার লাইট ওয়েট।
একদম লাইট বেইজ-এ সাস্পেন্ডেড ছোট ছোট ক্রিম পার্টিকেল, যেগুলো একটু ম্যাসাজ করলে স্কিন-এ সে নরমাল ক্রিমের মতই মিশে যায়। জানি না ছবিতে টেক্সচার কতটুকু এসেছে, তবুও দেখুন।
আমি না প্রথমে ভেবেছিলাম যেহেতু এটা অয়েলি স্কিন স্পেসিফাইড প্রোডাক্ট না সুতরাং এটা অনেক হেভি হবে। আমার স্কিন টাইপ এমনিতে অয়েলি। কিন্তু শীতের সময়ে নরমাল টু ড্রাই। তাই এই একই ক্রিম গরম চলে আসার পরেও ইউজ করা যাবে কিনা ভাবছিলাম।
কিন্তু ক্রিমটা স্কিন-এ ব্লেণ্ড করার ৫-৭ সেকেন্ডের ভেতরেই পুরো ম্যাট একটা লুক চলে আসে!! ড্রাই না কিন্তু! ম্যাট!!
ইউজ করার পরপর স্কিনে একটা ইভেন টোন থাকে। তাই যারা ইনস্ট্যান্ট ব্রাইটনেস-এর জন্য কিছু খুঁজছেন তাদের জন্য এটা কাজ করবে আমার মতে।
আর গত মাসে ইউজ করে আমি স্কিন-এ কোনও ব্রেকআউট বা সাইড ইফেক্ট দেখি নি। বরং আমার মনে হচ্ছে, শীতে আমার ঠোটের দুই পাশে বেশ ডার্ক প্যাচ পড়েছিল (যেটা অনেকেরেই পড়ে, প্রবলেমটা খুবই বিরক্তিকর তাই না?) সেই প্যাচ একটু লাইট হয়েছে।
তাই, আমার মতো যারা ডেইলি ইউজ করার জন্য একটা এভ্রিডে ময়েশ্চারাইজার খুঁজছেন, যেটা থাকবে হাতের নাগালে কিন্তু কোনও ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা সাইড ইফেক্ট থাকবে না তারা এই ক্রিমটা ট্রাই করতে পারেন।
এইতো। হয়ে গেল রিভিউ! আপনাদের মাঝে কেউ এই স্যাফ্রন ফেয়ারনেস ক্রিমটা ইউজ করে থাকলে জানাবেন কেমন লাগলো। আর আয়ুষ ব্র্যান্ডের আরও কিছু প্রোডাক্ট ট্রাই করার চিন্তা করছি। ভালো লাগলে আবার লিখব।
আজ এটুকুই।
ছবি- সাজগোজ