আমি মুনা। ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি। ভার্সিটি লাইফ মানেই পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক অনেক এক্সটা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ আর আড্ডা। তার মানে সকাল থেকে সন্ধ্যা বাহিরেই কেটে যায়। সারাদিনের ছোটাছুটিতে ত্বকের যত্ন সেভাবে নেয়াই হয় না। আর বাহিরে বের হলেই তো বাতাসে ধূলোবালি, ময়লা আর বাসের সেই কালো ধোয়া। স্কিন কী হারে পলিউটেড হয় বুঝতেই পারছেন! তার ফলাফলস্বরূপ স্কিন হয়ে উঠছে ডাল আর রাফ। প্রবলেম তো হবেই কিন্তু সারাদিনের ক্লান্তিতে বাসায় ফিরে আর ত্বকের পরিচর্যা সেভাবে করা হয়ে উঠে না। আমার সেনসিটিভ স্কিন-এ মার্কেট-এর যেকোনো সাবান ইউজ করাটাও খুবই হার্মফুল। তাই প্রাচীন আয়ুর্বেদিক সল্যুশন ও আধুনিকতার ছোঁয়া একবারে পেতে আমি বেছে নিয়েছি লিভার আয়ুষ সোপ দু’টো- পিউরিফাইং টারমারিক সোপ এবং ন্যাচারাল ফেয়ারনেস স্যাফ্রন সোপ! আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করব আমার অভিজ্ঞতা!
লিভার আয়ুষ সোপ – প্যাকেজিং
কোনো প্রোডাক্ট চোখে পরার জন্য সবার আগে চাই তার সুন্দর প্যাকেজিং। কিছুটা আঁচ করেছেন নিশ্চয়ই, আমার এই সাবানের প্যাকেজিং পছন্দই হয়েছে। লিভার আয়ুষ– এর পিউরিফাইং টারমারিক সোপ-এর কথা বলি আগে। সুন্দর হলুদ-বাসন্তী রঙের প্যাকেট আর তার উপর আয়ুর্বেদিক থিম ফুটিয়ে কাঁচা হলুদের আকর্ষনীয় ছবি আমাকে বলতে পারেন এক প্রকার কিনতে বাধ্যই করেছে। আর ন্যাচারাল ফেয়ারনেস স্যাফ্রন সোপ-এর প্যাকেজিং টারমারিক এর মতই। শুধু জাফরানের রঙ মেশালে যেমন রঙ হবে অনেকটা তেমন আর কী। আর মেয়াদ, উপাদান তো এমনিতেই থাকে। তবে প্যাকেট-এর গায়ে নালপামারাদি তেল (টারমারিক সোপ) ও কুমকুমাদি তেল (স্যাফ্রন সোপ) লেখা দেখেও বেশ উৎসুক হয়েছি আমি!
লিভার আয়ুষ সোপ – মূল উপাদান ও কার্যকারিতা
মূল উপাদান ইতোমধ্যে বলেছি- লিভার আয়ুষ পিউরিফাইং টারমারিক সোপ-এ রয়েছে কাঁচা হলুদের নির্যাস আর নালপামারাদি তেল এবং লিভার আয়ুষ ন্যাচারাল ফেয়ারনেস স্যাফ্রন সোপ-এ রয়েছে স্যাফ্রন ও কুমকুমাদি তেল। কাঁচা হলুদের গুণাগুণ তো আমরা সবাই জানি। তাও বলি যে হলুদ একটি অ্যান্টিসেপটিক ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা উপশমের জন্যও কার্যকরী। এবার আসুন নালপামারাদি তেল সম্পর্কে জেনে নেই। নালপামারাদি তেল তৈরি হয়েছে উশিরা, পিপুল ও আমলকির মতো কার্যকর আয়ুর্বেদিক উপাদানসমূহ দিয়ে। নালপামারাদি তেল স্কিন-এর র্যাশ সারিয়ে তোলে আর ত্বককে রাখে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল! কুমকুমাদি তেল প্রায় ১৪টি আয়ুর্বেদিক উপাদান দিয়ে তৈরি। এই তেল ত্বকের দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর স্যাফ্রন যে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এটা কারো অজানা নয়।
লিভার আয়ুষ সোপ – স্মেল, টেক্সচার, কালার
বিশ্বাস করুন, লিভার আয়ুষ টারমারিক সোপ-এর প্যাকেট খোলার পর ঘ্রাণ নিতেই আমি খুশি হয়ে গেলাম ! সোপ বার-এর হলুদ রংটাও বেশ আকর্ষনীয়! আর লিভার আয়ুষ ন্যাচারাল ফেয়ারনেস স্যাফ্রন সোপটি হালকা মিষ্টি অরেঞ্জিস কালারের। এর স্মেলটাও মিষ্টি! লিভার আয়ুষ সোপ-এর টেক্সচার নিয়ে আমি বলব- দু’টি সাবানেই ভালো ফেনা হয় আর ব্যবহারের পর ত্বকও ওভার-ড্রাই হয়ে যায় না!
ব্যবহারবিধি ও দরদাম
সাধারণ অন্যান্য সাবান যেভাবে ইউজ করে আমি লিভার আয়ুষ সোপ সেভাবেই ইউজ করেছি! গোসলের সময় আর বাহির থেকে এসে ফ্রেশ হবার জন্য! আর ১০০ গ্রাম সোপ বারের দাম মাত্র ৩৮ টাকা!
লিভার আয়ুষ সোপ নিয়ে পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স
আমার স্কিন পলিউটেড হয়ে ব্রণ, সান-ট্যান, ব্রণের দাগ, ডালনেস বলতে গেলে প্রায় সব প্রবলেম-ই ছিল। প্রথমেই আমি ফোকাস করি আমার ব্রণের উপর। তাই আগে আয়ুষের টারমারিক সোপ ইউজ করি। এই সোপ প্রায় দুই সপ্তাহ ব্যবহার করেই আমার ব্রণের সমস্যা নাই হয়ে যায় সাথে তার ফেলে যাওয়া দাগও কমে! ত্বক উজ্জ্বলও হয়। তারপরেই আমি স্যাফ্রন ন্যাচারাল ফেয়ারনেস সোপ ইউজ করে দেখি। এই সোপ রেগ্যুলার ইউজ করায় আর ডালনেসও দেখতে পাওয়া যায় না!
তো লিভার আয়ুষ আয়ুর্বেদিক সোপ কিনে আপনিও পেতে পারেন বেস্ট স্কিন ট্রিটমেন্ট! আমি কোথায় পেয়েছি? আমার আস্থার জায়গা শপ.সাজগোজ.কম থেকে! এর দু’টো ফিজিক্যাল শপ যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার-এ অবস্থিত, সেখানেও পাবেন। আর তাদের অনলাইন ওয়েবসাইট-তো আছেই।