অনেক অনেক গয়নাগাটির ঝক্কি পছন্দ না মোটেও, আবার একটু গুছিয়ে তৈরি হতেও ভালো লাগে, তেমন মেয়ের সংখ্যা একেবারে কম তো নয়। তারা প্রায়ই দোটানায় ভোগে, সাজের অনুষঙ্গ বাছতে কপালে ভাঁজ ফেলে, কীভাবে সাজলে স্বস্তিও হবে আর সুন্দরও লাগবে! হালকা গয়নাগুলোই তাদের ভরসা। তাদের পছন্দের হালকা গয়নার দল নিয়েই সাজানো হলো আজকের লেখা।
চোকার পরে সহজেই আনতে পারেন দৃষ্টিনন্দন রূপ। ভারী মালা বা বড় লকেটের চেয়ে চোকার অনেক সময় বেশি আকর্ষণীয় দেখায়। চোকারে লকেট হিসাবে পছন্দের কোনো চার্ম নিজেই জুড়ে দিতে পারেন। সরু সুতার মধ্যে মাঝারি বা ছোট্ট একটা পাথর, গলায় মন্দ লাগে না। কালো সুতার চোকারের সাথে হালকা বা গাঢ় যেকোনো রঙের পাথর মানিয়ে যায়, তেমন কোনো পাথরই বসিয়ে নিতে পারেন চোকারে।
আজকাল রেজিনের গয়নার ট্রেন্ডি ভীষণ। রেজিনের লকেট মানাবে কর্ড বা পুঁতির মালার সাথেও। আর রেজিনের কাজগুলো এত নজরকাড়া হয়, একটা নেকপিসেই সাজ পরিপূর্ণ লাগবে। পমপমের হালকা নেকপিসে রঙ ঝলমলে ভাব ফুটে উঠবে। দিনের বেলা ঘুরতে যাওয়া বা আড্ডাবাজির উপলক্ষে এইগুলো হতে পারে সাজের যথার্থ অনুষঙ্গ।
ছোট এক জোড়া ঝুমকা কানের লতিতে ঝুলবে, গলার হালকা গয়নার সাথে বেশ ছিমছাম ভাব আসে তাতে। অনেক রঙের পুতির কাজকরা দুল, ঝুমকা, শাড়ি কিংবা কামিজের সাথে মানিয়ে যায় সহজেই। পমপমের রেশমি ঝোলা দুলগুলোও দারুণ কাজের হালকা গয়না হিসেবে। পমপমের কানের দুলে রঙের বাহারি ভাব সাজের সাথে মিশে যায় সহজেই। খুবই হালকা গয়না, অথচ জাঁকজমকপূর্ণ দেখাতে পারে। তাই নিত্য ব্যবহারে পমপমকে রাখুন পছন্দের তালিকায়।
রেজিনের আংটি, কিংবা কাঠের উপর রঙের ছোঁয়ায় আঁকা আংটি, আঙ্গুলের কোলে দারুণ দেখাবে যেকোনো সাজের সাথে। ঝকমক করা পাথর বা চিরায়ত সোনালি আর রূপালির নিয়ম বাদে এই আংটিগুলো নিত্যদিনের সাজে সঙ্গী হতে পারে। গলায় আর হাতে আর কিছু না পরে আঙ্গুলে বড়সড় একটা আংটি গলিয়ে নিন, আর কানে এক জোড়া দুল, সাজ দারুণ হতেই হবে!
[picture]
কাঠের চওড়া বালায় কব্জির সাজ হয়ে যেতে পারে। ধাতব বালা হালকা হয় না মোটেও। কয়েক রঙা চিকন চুড়িও চলতে পারে পোশাকের সাথে মিলিয়ে। আবার পোশাকে কয়েক রঙ থাকলে তার থেকে হালকা বা গাঢ় কোনো একটা রঙ বেছে নিয়ে সেই রঙের সব চুড়ি পরা যায়।
নাকের ডগায় একটা চোখে পড়ার মত নাকফুলই বসিয়ে নিন স্রেফ। তাতেই অনেকটা সাজুগুজু সম্পন্ন হচ্ছে আপনার। রূপার নোলক, কিংবা স্বর্ণেরই, বা পাথরের চিকচিক করা বিন্দুসম একটা কিছু। সাজে ভিন্ন মাত্রাও যেমন আসবে, তেমন সাজের আকর্ষণও কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকবে ঐ নাকফুলে। অন্য গয়না পরার ঝক্কি কমে যাবে অনেকটাই।
আজকাল কেশবিন্যাসে অনুষঙ্গ ব্যবহার করা বলতে গেলে হয়ই না। কখনো শাড়ির সাথে হয়তো কিছু আটকানো হয় খোঁপায়। কিংবা জাঁকজমকপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে চুলের সাজে বাড়তি নজর দেয়া হয়। অথচ, সামান্য কাঁটা বা ফ্লোরাল হেয়ারব্যান্ডের ব্যবহার নিত্যের সাজকেই চমৎকার করে তুলতে পারে। অনুষঙ্গগুলো ঠিকঠাক ব্যবহার করতে জানা চাই কেবল!
লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব