নতুনদের জন্য মেক-আপের কিছু বেসিক জিনিস ( পার্ট ২) - Shajgoj

নতুনদের জন্য মেক-আপের কিছু বেসিক জিনিস ( পার্ট ২)

get-the-look-kim-kardashian-contoured-face

আগের অংশে দেখানো হয়েছিল ফাউন্ডেশন দেওয়ার কিছু বেসিক নিয়ম । আজকের পার্টে থাকবে কিভাবে মুখে কোন অংশ কন্ট্যুরিং , কোন অংশে ব্লাস, কোন অংশে হাইলাইটস করা হয়। তাছাড়া নাক শেপ করা, বড় কপালনকে একটু চাপা করা ইত্যাদি।

প্রথমে ছবিতে দেখানো খয়েরি রঙ হলো কন্ট্যুরিং পার্ট, লাল রঙ হলো হাইলাইটস পার্ট এবং বেগুনি রঙ হল ব্লাশ পার্ট।

Sale • Tinted Moisturizer, Lips, Liquid Lipsticks

    [picture]

    কন্ট্যুরিং পার্ট:

    মুখের মোটা গড়নকে পাতলা করার জন্য ৪ জায়গায় কন্ট্যুরিং করার দরকার হয়।

    (১) প্রতিদিনের জন্য হালকা কালারের ব্রাউন শেড ( ত্বকের থেকে এক শেড গাঢ় )

    (২) রাতের পার্টি অথবা ভারী মুখের বেস করতে হলে মুখের ত্বকের থেকে ২/৩ শেড গাঢ় ব্রাউন শেড নিয়ে কন্টরিং করতে হবে।

    কন্ট্যুরিং করার নিয়ম:

    গালের অংশ – মুখের চিকবোনের নিচে (ছবিতে দেয়া আছে ) , কন্ট্যুরিং করার প্রধান অংশ। অন্য কোথায় না করলেও এখানে কন্ট্যুরিং করতে হবে।

    মুখের জ লাইন (jaw line) – মুখের শেপ লম্বাটে অথবা একটু চোখা ফিনিশিং আনার জন্য মুখের থুতনিতে ব্রাশ দিয়ে কন্ট্যুরিং করতে হবে হালকা করে, যাতে বোঝা না যায়। একদম কানের সাইড থেকে শুরু করে, ঠোঁটের কোনার নিচ পর্যন্ত কন্টরিং করতে হবে ( ছবিতে দেয়া আছে)।

    নাকের শেপ – নাকের শেপ লম্বাটে করার জন্য, নাকের দু পাশে একদম-ই হালকা কন্ট্যুরিং পাউডার অথবা ক্রিম নিয়ে, ব্রাশ দিয়ে লম্বা করে লাগিয়ে, ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে।

    কপাল – যাদের কপাল বড়, তাদের কপালকে চাপা করার জন্য হাইলাইটস করার অংশের উপরে দিক থেকে চোখের ভ্রুর উপরে অংশ পর্যন্ত কন্ট্যুরিং করতে হবে। যাদের কপাল ছোট তারা কপালে কন্ট্যুরিং করা থেকে বিরত থাকুন।

    ( মনে রাখবেন, ভারী মেকাপ ছাড়া কখনই গাঢ় রঙ দিয়ে কন্ট্যুরিং করবেন না। মেক-আপ বেমানান লাগবে। মুখের বেস তৈরিতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো কন্ট্যুরিং করা। তাই অনেক বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে।)

    cntব্লাশ অন:

    ব্লাশ অন সাধারণত হালকা গোলাপি বেশি মানায়। তাছাড়া আজকালকার নিউ ট্রেন্ড হল কমলা কালারের ব্লাশ অন। কমলা কালারের ব্লাশ দিলে মুখ কিছুটা ফর্সা দেখায়। পার্টিতে যাওয়ার জন্য গাঢ় কোন কালার দিয়ে ব্লাশ দিতে পারেন।

    ব্লাশ দেয়ার নিয়ম:

    যেখানে কন্টরিং করা হয়েছে তার উপর অংশে, চিক বোনের কিছুটা নিচ থেকে শুরু করে মুখের হেয়ার লাইন পর্যন্ত ব্লাশ দিবেন। হেয়ার লাইন থেকে শুরু করে আপেল পার্ট পর্যন্ত ব্লাশ দিতে হবে। ভালো করে আপেল পার্ট থেকে শুরু করে হেয়ার লাইন পর্যন্ত ( নিচ থেকে উপরে ) ব্লেন্ড করতে হবে।

    হাইলাইটস পার্ট:

    মুখের সেন্টার পয়েন্টগুলো উজ্জ্বল (হাইলাইটস) করার জন্য ব্যবহার করা হয় শিমার পাউডার অথবা ক্রিম ব্লাশ।

    (১) যাদের ত্বকের রঙ ফর্সা তারা সাদা, ন্যাচারাল গোলাপি, হালকা গোল্ড কালারের শিমার কালার নিয়ে হাইলাইটস করতে পারেন।

    (২) যাদের ত্বকের রঙ চাপা তারা ন্যাচারাল অথবা হালকা গোল্ড কালারের শিমার কালার নিয়ে হাইলাইটস করতে পারেন।

    হাইলাইটস করার নিয়ম:

    (১) গালের অংশে – গালের চিক বোনের উপরের অংশে, চোখের নিচে অংশে হাইলাইটস করতে হয়। নাকের সাইডের নিচের অংশ থেকে শুরু করে চিক বোনের উপরের অংশ পর্যন্ত করতে হবে।

    (২) নাকের অংশে – নাকের মাঝখানে ( নজ ব্রিজ ) এ লম্বা করে হাইলাইটস দিতে হবে।

    (৩) কপাল – কপালের মাঝখানে, দুই ভ্রুর মাঝের অংশে হাইলাইটস করবেন।

    (৪) ঠোঁটের উপরে এবং নিচে – ঠোঁটের উপরে এবং নিচে ছবিতে দেখানো অংশে কিউপিড বও এবং টিপ অফ চিনে হালকা করে হাইলাইটস করতে হবে।

    আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

    লিখেছেন – তাপসী

    ছবি – সোশিউমি ডট আইই

    25 I like it
    2 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort