অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনের জন্য মেকআপ টিপস ও ট্রিকস

অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনের জন্য মেকআপ টিপস ও ট্রিকস

2-1 (1)

মুখে ব্রণ হয়েছে, তাই বলে কি সাজবো না? অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেকআপ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্কিন তেলতেলে হয়ে কালচে দেখাচ্ছে! বিশেষ করে আমাদের যাদের অয়েলি স্কিন, তারাই এই সমস্যাটা বেশি ফেইস করে। আবার অনেকেই বলেন যে ব্রণ হলে একদমই মেকআপ করা যাবে না, তাতে কিন্তু ব্রণ আরও বাড়বে! আচ্ছা, কথাটা কতটুকু সত্যি সেটা নিয়ে কি কখনও চিন্তা করেছেন? একনে প্রন স্কিনে মেকআপের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা তো মেনে চলতে হবেই, এটা ঠিক। অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে মেকআপ এর টিপস অ্যান্ড ট্রিকস শেয়ার করবো আজকের আর্টিকেলে। পারফেক্ট লুক পেতে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে, সেটা জেনে নিন তাহলে।

ব্রণ হলে কি মেকআপ করা যাবে?

প্রসাধনীর কারণে কখনো কখনো ব্রণ হতে পারে, যেটাকে বলা হয় একনে কসমেটিকা। তবে একনে প্রন স্কিনে মেকআপ করা যাবে না, এটা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে শুনে ঠিকঠাক মেকআপ প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে, প্রোপারলি মেকআপ রিমুভ করতে হবে এবং বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করতে হবে। পিম্পল হলেই যে সাজুগুজু করা যাবে না, এমনটা একদমই ভাববেন না! তবে মেকআপ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল ত্বকে ব্রণ হওয়ার চান্স বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ভুলগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

একনে কসমেটিকা

অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে মেকআপ

আমরা সবাই চাই বিশেষ কোনো অকেশনে কিংবা স্পেশাল কোনো দিনে একটু গ্ল্যামারাস লুকে নিজেকে সাজিয়ে নিতে। দেখা যায় ঠিক তখনই ফেইসে শুরু হবে ব্রণের উৎপাত! অয়েলি স্কিনে এমনিতে মেকআপ সেট রাখাটা একটু টাফ, তার উপর যদি ব্রণ ওঠে মনটা খারাপ হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। একনে প্রন স্কিনে মেকআপের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়, কিন্তু আমরা অনেকেই সেগুলো জানি না বা জানার চেষ্টা করি না। তারপর আরও যদি ব্রণ বেড়ে যায়, তখনই আমরা দোষ দিই মেকআপ এর! অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে মেকআপ এর ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো একদমই ইগনোর করা যাবে না, সেটা জেনে নেই চলুন।

১) মেকআপ প্রোডাক্ট সিলেকশন

ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন রাইট মেকআপ আইটেমস। একনে সেইফ ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে কিনা সেটা চেক করে নিতে ভুলবেন না যেন। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, গ্রিন টি এই উপাদানগুলো অয়েল কন্ট্রোল করে এবং ব্রেক আউটস প্রিভেন্ট করতে হেল্প করে। হেভি ক্রিম বেইজড মেকআপ প্রোডাক্ট এড়িয়ে যেতে হবে, কেননা এগুলো খুব সহজেই পোরস ক্লগ করে দেয় এবং স্কিনকে আরও তৈলাক্ত করে দেয়। জেল বা ওয়াটার বেইজড, লাইট ওয়েট ফর্মুলার প্রোডাক্টগুলো বেছে নিন, যেগুলো আপনার ত্বকে ম্যাটিফাইং ইফেক্ট দিবে।

২) স্কিন প্রিপেয়ারিং

মেকআপ করার আগে অবশ্যই ফেইস ক্লিন করে নিতে হবে। আপনার ত্বকে স্যুট করে এমন ক্লেনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। স্কিনে ডেড সেলস থাকলে স্ক্রাবিং করতে হবে, এতে বেইজ মেকআপ স্মুথ হবে। হাতে সময় থাকলে মুলতানি মাটির প্যাক লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত সিবাম প্রোডাকশন কন্ট্রোলে থাকবে, স্কিন ফ্রেশ দেখাবে এবং মেকআপও ভালোভাবে সেট হবে। ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিন। ফেইসে একনে বা বাম্পস থাকলে মেকআপ করার আগে আইস ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।

স্কিন প্রিপেয়ারিং

৩) প্রাইমার অ্যাপ্লাই করা

একনে প্রন স্কিনে খুব তাড়াতাড়ি তেলতেলে হয়ে যাওয়ার টেনডেন্সি থাকে। আপনার স্কিন যদি একনে প্রন ও অয়েলি হয়ে থাকে, মেকআপের প্রথম ধাপেই আপনার প্রয়োজন হবে ভালো মানের একটি প্রাইমারের। প্রাইমার বেইজ মেকআপকে লং লাস্টিং করে, ত্বকের অতিরিক্ত শাইনিভাব কন্ট্রোল করে এবং স্মুথ টেক্সচার দিতে সহায়তা করে। আপনার ফেইসে একনের সাথে সাথে যদি ওপেন পোরস থেকে থাকে, সেটাও মিনিমাইজ করবে প্রাইমার। তাই এই স্টেপটি কোনোভাবেই মিস করবেন না।

SHOP AT SHAJGOJ

     

    ৪) কালার কারেক্টর ও কনসিলারের ব্যবহার

    মেকআপের মাধ্যমে একনে হাইড করার জন্য কালার কারেক্টর খুবই কার্যকরী। এক্ষেত্রে আপনার দরকার হবে গ্রিন কালারের কারেক্টর, খুবই অল্প পরিমাণে নিয়ে জাস্ট পিম্পলের উপর লাগিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলুন। আর ফেইসে যদি কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকে, তবে অরেঞ্জ কালার কারেক্টর ভালো কভারেজ দিতে পারবে। কালার কারেক্টর অ্যাপ্লাই করে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন কিংবা ফাউন্ডেশন দিয়েও সেট করে নিতে পারেন।

    ৫) সঠিক ফাউন্ডেশন সিলেকশন 

    ডিউয়ি ফিনিশের ফাউন্ডেশন আপনার জন্য নয়, আপনার ত্বকের জন্য দরকার ম্যাটিফাইং মেকআপ প্রোডাক্ট। ফাউন্ডেশন কেনার আগে শিওর হয়ে নিন যে সেটি স্পেশালি অয়েলি স্কিনের জন্য ফর্মুলেটেড কিনা। আর ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থাকলে, রেগুলার লুকের জন্য হেভি বেইজ মেকআপ এড়িয়ে চলা ভালো। সেক্ষেত্রে লাইট ওয়েট ক্রিম যেমন সিসি ক্রিম, বিবি ক্রিম ইউজ করা যেতে পারে। আঙ্গুল দিয়ে মেকআপ ব্লেন্ড করলে অনেক সময় স্মুথ হয় না, ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার বা ফাউন্ডেশন ব্রাশের সাহায্যে বেইজ মেকআপ করুন।

    অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে মেকআপ

    ৬) মেকআপ সেট করতে লুজ পাউডার

    ফেইসের টি-জোনে লুজ পাউডার টাচ আপ করতে হবে। এতে মেকআপ অক্সিডাইজ হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে না, মেকআপ লং লাস্টিং হয়। মেকআপ বেকিং এর ব্যাপারে জানেন কি? একটি ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার আর লুজ পাউডার দিয়ে ফেইস বেকিং করে নিতে পারেন। এতে অয়েলি স্কিনে মেকআপ খুব সুন্দরভাবে সেট হয়।

    ৭) সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ লক 

    মেকআপের ফাইনাল স্টেপে সেটিং স্প্রে দিয়ে ফুল মেকআপ লক করে নিন। অয়েলি স্কিনের জন্য এই স্টেপটি কিন্তু মাস্ট। সেটিং স্প্রে মেকআপকে লং লাস্টিং করতে হেল্প করে। ফেইস তেলতেলে হয়ে মেকআপ যাতে গলে না যায়, সেজন্য সেটিং স্প্রে ইউজ করতে বলা হয়।

    অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে মেকআপ এবং বিশেষ সতর্কতা

    মেকআপ স্পঞ্জ ও ব্রাশের পরিচ্ছন্নতা

    এই ভুলটি অনেকেই করেন, যার জন্য ত্বকে ব্রণ আরও বেড়ে যেতে পারে। ব্যবহারের পর মেকআপ স্পঞ্জ ও ব্রাশ ক্লিন না করে রাখলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মাতে পারে। সেই বিউটি টুলস আপনি যখন আবার স্কিনে অ্যাপ্লাই করছেন, এভাবেই কিন্তু ব্রেক আউটসের চান্স বেড়ে যাচ্ছে। একনে প্রন স্কিনে মেকআপ করার সময় হাইজিনের বিষয়টি খুব ভালোভাবে মেনটেইন করার চেষ্টা করবেন। অন্যের ব্যবহার করা স্পঞ্জ বা ব্রাশ ইউজ করবেন না।

    দিনশেষে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করা

    ত্বক পরিষ্কার করা

    এই স্টেপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেটা কোনোভাবেই মিস দেওয়া যাবে না। মেকআপ যদি প্রোপারলি না তোলা হয়, পোরস ক্লগড হয়ে ব্রেক আউট হতে পারে। অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে তো এই চান্স আরও বেশি থাকে। তাই বাসায় ফিরে আগে অয়েল বেইজড ক্লেনজার বা মাইসেলার ওয়াটার বা মেকআপ রিমুভিং ক্লেনজিং প্রোডাক্ট দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এবার ফোম বেইজড ক্লেনজার বা ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ডাবল ক্লেনজিং পদ্ধতি ফলো করলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হবে, একনে বা র‍্যাশ হওয়ার চান্সও কমবে।

    তাহলে জেনে নিলেন, অয়েলি ও একনে প্রন স্কিনে মেকআপ করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখা উচিত। স্কিনে যদি হুট করেই প্রবলেম দেখা দেয়, সাময়িক সময়ের জন্য কেমিক্যাল বেইজড প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকা শ্রেয়। তবে ত্বকের ধরন বুঝে ভালো মানের মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। অথেনটিক মেকআপ প্রোডাক্টস আপনারা চাইলে সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ণ মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকে আর অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন।

    SHOP AT SHAJGOJ

       

      ছবি- সাজগোজ, সাটারস্টক

       

      31 I like it
      4 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort